ব্যাটিং কোচ ও ফিজিও নিয়ে সঙ্কট

স্টাফ রিপোর্টার: আরও একজন বোলিং বিশেষজ্ঞ আনার ব্যাপারে খুব সরগরম এখন ক্রিকেট পাড়া। কিন্তু এরই ফাঁকে প্রায় ফাঁকা পড়ে আছে জাতীয় দলের দুটি বিশেষায়িত পদ। কয়েক মাস হলো চুক্তি হয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত দেশের মাটিতে পা পড়েনি ‘নতুন’ ফিজিওথেরাপিস্ট তিহান চন্দ্রমোহনের। অন্য দিকে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির পরই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) বিদায় করে দিয়েছে ব্যাটিং উপদেষ্টা থিলান সামারাবীরাকে।

গত বৃহস্পতিবার বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন বললেন, ফিজিওর জন্য তারা আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে চান। আর ব্যাটিং কোচ খোঁজার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি। অবশ্য বিসিবির অন্য একটি সূত্র জানালো, ব্যাটিং উপদেষ্টা হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার মার্কও নীলকে একরকম চূড়ান্ত করে ফেলেছে বিসিবি।

বাংলাদেশের সর্বশেষ স্থায়ী ফিজিও ছিলেন ইংল্যান্ডের ডিন কনওয়ে। তার শেষটাও ভালো হয়নি। গত মার্চে শ্রীলঙ্কা সফরের আগে হঠাত করেই বেতন ভাতা বাড়ানোর দাবি তোলেন তিনি। এই দাবিতে সফরেও যাননি। তার এই আচরণের ফলে সে সময়ই বিসিবি চুক্তি শেষ করে দেয় কনওয়ের সঙ্গে। এরপর শ্রীলঙ্কা সফরেই দলের সঙ্গে কাজ করেন শ্রীলঙ্কান ফিজিও তিহান চন্দ্রমোহন। সেই মার্চে চুক্তি হলেও এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশে আসেননি তিনি। এরপর বাংলাদেশ দলের সঙ্গে চন্দ্রমোহন কাজ করেন চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেও। সেখান থেকে সরাসরি অস্ট্রেলিয়া চলে যান তিনি। কথা ছিলো দলের কন্ডিশনিং ক্যাম্পে এসে যোগ দেবেন। কিন্তু সেটা ঘটেনি। এই ফিজিওর ব্যাপারে বিসিবিও ছিলো অন্ধকারে।  তারাও জানতে পারছিলো না, কেন আসছেন না তিনি বা কবে আসবেন। কোনো যোগাযোগও করা যাচ্ছিলো না। অবশেষে জাতীয় দলের কোচ চান্দিকা হাতুরুসিংহে বিসিবিকে জানিয়েছেন, চন্দ্রমোহন অ্যাকসিডেন্ট করে নিজেই অসুস্থ আছেন।

বিসিবির প্রধান নির্বাহী বললেন, ‘আমরা তার জন্য আরও একটু অপেক্ষা করতে চাই। যদিও তার তরফ থেকে আমরা এখনও কিছু জানতে পারিনি। তবে সে আমাদের চুক্তিভুক্ত ফিজিও। চাইলেও নতুন আরেকজনকে নিয়ে আসা যায় না। তাই আমাদের স্থানীয় ফিজিওরাই ক্যাম্প চালাচ্ছেন। দেখা যাক, চন্দ্রমোহন কবে যোগ দেন।’