বেগমপুর প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা সদরের তিতুদহে মুক্তিপণের দাবিতে মহিদুল ইসলাম নামের এক যুবককে অপহরণ করে অপহরকচক্র। দর কষাকষির একপর্যায়ে ১ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে অবশেষে বাড়ি ফিরেছে মহিদুল। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ গ্রামের কামারপাড়ার বানাত আলীর ছেলে সৌদি প্রবাসী মহিদুল ইসলাম (৩২) ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, সম্প্রতি সৌদি থেকে ছুটিতে বাড়ি এসেছি। গত রোববার সকাল ৭টার দিকে আমার খালা কুলসুম বেগম বলেন, তোর খালু ঝিনাইদহ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে লড়ছে। আমি খালার কথামতো খালা ও তার ছেলে জামালকে সাথে করে নিয়ে আলমসাধুযোগে ঝিনাইদহের উদ্দেশে রওনা দিই। পথিমধ্যে ডাকবাংলা নামক স্থানে পৌঁছুলে খালার মোবাইলফোন পেয়ে মোটরসাইকেলে করে দু যুবক আসে এবং আলমসাধু থামিয়ে পিস্তল ঠেকিয়ে আমাকে মোটরসাইকেলে তুলে নেয়। তারা আমাকে ঝিনাইদহ শহরের অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। কিছুক্ষণের মধ্যে সেখানে আমার খালু, খালা ও জামালসহ ১০/১২ জন অপরিচিত লোক হাজির হয়। আমার মোবাইলফোন দিয়ে খালু বাড়িতে খবর পাঠিয়ে মুক্তিপণের জন্য ২ লাখ টাকা নিয়ে আসতে বলে। বিষয়টি জানাজানি হলে তিতুদহ গ্রামের কয়েকজন মাতবর মাইক্রোবাসযোগে ঝিনাইদহে পৌঁছান। অপহরকচক্রের সাথে দর কষাকষির একপর্যায়ে ১ লাখ টাকা মুক্তিপণ নিয়ে রাত ১১টার দিকে আমাকে ছেড়ে দেয়। পরদিন সোমবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিয়ে তিতুদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সালিসবৈঠক বসে। সালিসে অপহরণের মহিদুলের খালু হাজারি মণ্ডলের ছেলে আসাদুল অপহরণের সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করে। আসাদুল দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় সালিসকারীরা মুক্তিপণের টাকা ফেরত দেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। সালিসবৈঠক থেকে আসাদুল, খালা কুলছুম ও তার ছেলে জামাল টাকা আনার কথা বলে কৌশলে পালিয়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে মহিদুলের পরিবারে আতঙ্ক বিরাজ করছে। বিষয়টি প্রশাসনকে জানানো হয়েছে কি-না জানতে চাওয়া হলে মহিদুলের পরিবারের লোকজন বলেন ক্ষতি হবার ভয়ে জানানো হয়নি। এ বিষয়ে তিতুদহ ক্যাম্প পুলিশের ইনচার্জ এসআই আমিনুল ইসলাম বলেন ঘটনাটি শুনেছি, অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মাথাভাঙ্গা মনিটর: চলমান রাজনৈতিক সহিংসতা ও পাকিস্তান ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফরে অনিশ্চয়তার কারণে ২০১৪ সালের মার্চে অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ভারতে স্থানান্তরের আশঙ্কা রয়েছে। এ জন্য কলকাতার ইডেন গার্ডেন ও রাঁচির ঝাড়খণ্ড প্রাদেশিক ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। একটি সংবাদ মাধ্যম জানায়, বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে অচিরেই টুর্নামেন্টটি এখানে আয়োজন সম্ভব হবে কি-না সে বিষয়ে ঢাকায় এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) এবং আয়োজক কমিটির মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। আর এ বৈঠক শেষেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভবিষ্যত নির্ধারিত হবে। তবে বিকল্প হিসেবে কলকাতা ও রাঁচি এ টুর্নামেন্ট আয়োজনের জন্য প্রস্তুত রয়েছে বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ১৬ মার্চ থেকে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটে অনুষ্ঠেয় টুর্নামেন্টের বাছাইপর্বের ম্যাচ শুরু হবে। আর ২১ মার্চ ভারত ও পাকিস্তানের আকর্ষণীয় ম্যাচের মধ্য দিয়ে মূল টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।