স্টাফ রিপোর্টার: রাতভর বৃষ্টিতে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামের আউটফিল্ড ভেজা থাকায় পঞ্চম ও শেষদিন একটি বলও গড়ায়নি মাঠে। আর বৈরী আবহাওয়ার কাছে হার মেনে ড্রয়ে শেষ হলো বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ডের ঢাকা টেস্ট। চট্টগ্রামে প্রথম টেস্টটিও অমীমাংসিতভাবে শেষ হয়েছিলো। তবে সেই ড্র মাঠের লড়াইয়ের মাধ্যমে এসেছিলো। দু ম্যাচের টেস্ট সিরিজ শেষ হলো ০-০ ব্যবধানে। দু দলের ছয়বারের মুখোমুখি লড়াইয়ে এবারই প্রথম ফলশূন্যভাবে শেষ হলো সিরিজ। বাংলাদেশ: প্রথম ইনিংস- ২৮২/১০, দ্বিতীয় ইনিংস- ২৬৯/৩, নিউজিল্যান্ড: প্রথম ইনিংস- ৪৩৭/১০, ফল: ম্যাচ ড্র, সিরিজ ০-০ ব্যবধানে অমীমাংসিত।
গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে নয়টায় খেলা শুরুর কথা থাকলেও তা হয়নি। প্রথম সেশন কেটেছে অপেক্ষায়। দ্বিতীয় সেশনেও একই। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বৃষ্টি দেখে কাটিয়ে দিয়েছে দু দলের খেলোয়াড়রা। শেষ পর্যন্ত দুপুর ২টার পর দিনের খেলা বাতিল করা হয়। এতে করে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস শেষ ও নিউজিল্যান্ডের শুরু না হতেই ড্র হলো ঢাকা টেস্ট। আগের দিন সাকিব আল হাসান ও মমিনুল হকের অবিচ্ছিন্ন ৫৭ রানের জুটিতে শেষ হয়। মমিনুল ১২৬ ও সাকিব ৩২ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। গত বৃহস্পতিবার এ জুটির আগে তামিম ইকবালের (৭০) সাথে মমিনুলের ১৫৭ রানের জুটিতে লিড নেয় বাংলাদেশ। টেস্টে তৃতীয় উইকেটে এটিই দেশের সেরা জুটি। স্বাগতিকরা দ্বিতীয় ইনিংসে ১১৪ রানের লিড নিয়ে চতুর্থ দিন শেষ করে।
এদিন দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে টানা দুই সিরিজে শতক করলেন মমিনুল। ২০১০ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টানা শতক হাঁকিয়েছিলেন তামিম। ম্যাচ সেরার সাথে সিরিজ সেরার পুরস্কারও উঠেছে মমিনুলের হাতে। দুই ম্যাচে দুটি শতকসহ বাঁহাতি এ ব্যাটসম্যানের সংগ্রহ ৩৭৬ রান। অমীমাংসিত এ সিরিজে শীর্ষ উইকেট শিকারীও বাংলাদেশের। দ্বিতীয় টেস্টে উইকেটশূন্য থাকলেও চট্টগ্রামে ঘূর্ণি জাদুতে ৮ উইকেট নিয়ে সবার ওপরে সোহাগ গাজী।