মাথাভাঙ্গা মনিটর: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূলপর্বে খেলা হলো না মাসাকাদজাদের। আফগানদের ১৮৬ রানের পাহাড় টপকাতে গিয়ে বোলারদের তোপের মুখে বিধ্বস্ত হয়ে বাছাইপর্ব থেকেই বিদায় নিলো জিম্বাবুয়ে। আর ৫৯ রানের জয় তুলে নিয়ে ‘বি’ গ্রুপ থেকে মূলপর্ব নিশ্চিত করলো আফগানিস্তান। গ্রুপ পর্বে এ দু দলই দুটি ম্যাচে জয় পায়। তাই দুই দলের জন্যই শেষ ম্যাচটি ছিল ফাইনাল। যে দল জিতবে তারাই খেলবে বিশ্বকাপের মূল পর্বে। এ সমীকরণ সামনে রেখেই নাগপুরের বিদর্ভ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে ফাইনাল ম্যাচে টস জিতে ব্যাট করতে নামে আফগানরা। দু ওপেনার মোহাম্মদ শাহজাদ এবং নূর আলী জাদরানের আক্রমণাত্মক ব্যাটিঙে যেন জানান দেয় আফগানদের বড় সংগ্রহের কথা। তবে রানের পাহাড় গড়তে সবচেয়ে বড় ভূমিকা ছিলো মোহাম্মদ নবীর। তিনি ৩০ বলে ৫২ রান করেন। এছাড়া সামিউল্লাহ শেনওয়ারির ৪৩ এবং মোহাম্মদ শেহজাদের ৪০ রানের ইনিংস গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। নবী তার ঝড়ো ইনিংসটি সাজান ২টি ছক্কা ও ৪টি চারের মারে। জিম্বাবুয়ের সামনে আফগানরা দেয় ১৮৬ রানের পাহাড় টপকানোর চ্যালেঞ্জ। জিম্বাবুইয়ান বোলার তিনাশে পানিয়াঙ্গারা দুর্দান্ত বোলিং করে ৩২ রান খরচে আফগানদের ৩টি উইকেট তুলে নেন। তিরিপান্নে এবং শন উইলিয়ামস ১টি করে উইকেট নেন।
জবাবে মাসাকাদজা বাহিনী ব্যাটিঙে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকেন। আফগান বোলারদের বোলিং তোপে জিম্বাবুয়ের কোনো ব্যাটসম্যানই দাঁড়াতে পারেননি। জিম্বাবুয়ের পক্ষে পেসার তিনাশে পানিয়াঙ্গারা অপরাজিত থেকে সর্বোচ্চ ১৭ রান করেন। দ্বিতীয় ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ছিলো সিকান্দার রাজার। তিনি করেন ১৫ রান। শেষ পর্যন্ত আফগান বোলারদের দুর্দান্ত বোলিঙের সামনে টিকতে না পেরে ২ বল বাকি থাকতেই ১২৭ রানে থামে জিম্বাবুয়ের ইনিংস। সেই সাথে বিদায় নিশ্চিত হয় ডেভ হোয়াইটমোরের শিষ্যদের। আফগান বোলারদের মধ্যে ১১ রানে দিয়ে রশিদ খান ৩টি এবং হামিদ হাসান ১১ রান দিয়ে ২টি উইকেট তুলে নেন। মূল পর্বে আফগানদের মোকাবেলা করতে হবে শ্রীলঙ্কা, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ওয়েস্টইন্ডিজকে।