ফিফার ওয়েবসাইটে বাংলাদেশ

 

স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশেরমাগুরা এখন ফুটবল বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত বিষয়। গতকাল রোববার ফিফা নিজের ওয়েবসাইটে বাংলাদেশকে সবচেয়ে বেশি হাইলাইটস করেছে মাগুরার কৃষক আমজাদ হোসেনেরপতাকার কাহিনী।আমজাদ হোসেনের পতাকার গল্প এখন বড় খবর। সেই খবরপৌঁছে গেছে ঢাকায় জার্মান দূতাবাসেও। ভারপ্রাপ্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত তাইশনিবার সাড়ম্বরে যান তার পতাকা দেখতে। মাগুরা স্টেডিয়ামে হাজির হয়ে আমজাদহোসেনকে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে সংবর্ধনা জানান। এ সময় তার হাতে তুলে দেয়াহয়  জার্মানির পক্ষ থেকে নানা উপহার ও জার্মান জাতীয় ফুটবল ক্লাবের আজীবনঅফিসিয়াল সদস্যপদ।

সারা বাংলাদেশ যখন বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা আরব্রাজিল এই দু শিবিরে বিভক্ত,তখন মাগুরার কৃষক আমজাদ হোসেনের জার্মানিপ্রীতি কেবল ব্যতিক্রমই নয়, দলের প্রতি তার অকৃত্রিম অনুরাগ অবাক করারমতোই।ফাইনালে পৌঁছে যাওয়া জার্মানির ফুটবল দলের সমর্থনে তিনি তৈরি করেছেন প্রায় দু মাইল দীর্ঘ এক জার্মান পতাকা।আমজাদহোসেন কখনো জার্মানি যাননি। তার কেউ জার্মানিতে থাকেন না। জার্মান ফুটবলেরকোনো বিশেষ বৈশিষ্ট্যের কারণেও তিনি এদের সমর্থক নন। জার্মানির সাথে একমাত্র যোগসূত্র হোমিওপ্যাথি।

২০০৬ সালে জার্মানিতে বিশ্বকাপ শুরুহওয়ার পর তিনি সিদ্ধান্ত নেন, জার্মানির ওষুধ খেয়েই যেহেতু তিনি ভালোহয়েছেন,তাই তিনি তাদের একটি উপহার দেবেন। এ পতাকাই হচ্ছে সেই উপহার।এরপর২০১০ সালের দক্ষিণ আফ্রিকায় বিশ্বকাপের আসর বসে। তখন আবারও জার্মান পতাকাবের করেন আমজাদ হোসেন। আবারও কাপড় কিনে তিনি পতাকা বানান। কিন্তু সেবারও  সেমিফাইনালে স্পেনের কাছে হারে জার্মানির।ব্রাজিল বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার পর আবারও পতাকা তৈরির সিদ্ধান্ত নেন আমজাদ হোসেন।প্রায়দেড় লাখ টাকা খরচ করে আমজাদ হোসেন যে পতাকাটি তৈরি করেন, সেটির সঠিকদৈর্ঘ্য তিনি মেপে দেখেননি। তবে, তার অনুমান দুমাইলের কম হবে না। এপতাকা নিয়ে জার্মানির সমর্থনে নানা রকম অনুষ্ঠান আয়োজনে আরও প্রায় লাখখানেকটাকা খরচ করেছেন তিনি।

আর জার্মানি বিশ্বকাপ জয় করতে পারলে বাড়িতেই একটা বড় অনুষ্ঠান করার পরিকল্পনা করছেন আমজাদ হোসেন।তবেরোববার ফিফার আলোচনাতেও উঠে এলেন আমজাদ সেই সাথে বাংলাদেশ।