প্রোটিয়াদের উড়িয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করলো ভারত

মাথাভাঙ্গা মনিটর: আগের ম্যাচে শ্রীলঙ্কার কাছে নাস্তানাবুদ হতে হয়েছিল কোহলি বাহিনীকে। গতকাল তারা উল্টো নাস্তানাবুদ করলো প্রোটিয়াদের। ভিলিয়ার্সদের ‘চোকার’ অপবাদ ঘুচলো না। দক্ষিণ আফ্রিকার দেয়া ১৯২ রানের টার্গেটে ৩৮ ওভারেই ৮ উইকেট হাতে রেখে পৌঁছে গেল ভারত। প্রোটিয়া বোলাররা কেবল রোহিত শর্মা (১২) এবং শেখর ধাওয়ানকে (৭৮) আউট করতে পারলো। সেমিফাইনালের মঞ্চে বাংলাদেশের সঙ্গে দেখা হবে কোহলিদের। ওয়ানডের এক নম্বর দল দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানরা এমন একটি ম্যাচে যে বাজে ব্যাটিং করলো তা দেখে হতবাক না হয়ে উপায় নেই। ভারতের বোলিং তোপে ৪৪.৩ ওভারে মাত্র ১৯১ রানেই অলআউট হলো ডি ভিলিয়ার্সের দল। এতে ভারতের বোলারদের যতোটা না কৃতিত্ব তার চেয়ে বেশি ব্যর্থতা প্রোটিয়াদের। আউট হওয়া ১০ জনের মধ্যে ৩ জনই রানআউট হয়েছেন। কিন্তু শুরুটা এমন ছিলো না। টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে সতর্ক শুরু করেছিলেন দুই প্রোটিয়া ওপেনার কুইন্টন ডি কক এবং হাশিম আমলা। ৭৬ রানের জুটি গড়ে ফেলেছিলেন দুজনে। ভারত যখন ব্যাকফুটে চলে যাচ্ছিলো তখনই মায়াবী ঘূর্ণিবলে হাশিম আমলাকে মহেন্দ্র সিং ধোনির গ্লাভসবন্দী করেন অশ্বিন। আউট হওয়ার আগে ৫৪ বলে ৩ চার এবং ১ ছক্কায় ৩৫ রান করেন আমলা। দ্বিতীয় উইকেটেও ৪০ রানের জুটি গড়েন কুইন্টন ডি কক এবং ডুপ্লেসিস। কিন্তু ডি কককে (৫৩) স্পিনার রবীন্দ্র জাদেজা বোল্ড করে দিলে ধস নামে প্রোটিয়া ব্যাটিং লাইনআপে। একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে দক্ষিণ আফ্রিকা। অধিনায়ক ডি ভিলিয়ার্স এ ম্যাচেও ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে মাত্র ১৬ রান করে রানআউট হয়ে যান। এরপর ‘কিলার মিলার’ খ্যাত ডেভিড মিলারও ১ রানেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন। তিনিও রানআউট। প্রথম স্পেলে সাফল্য না পাওয়া জসপ্রিত বুমরাহ এরপর আঘাত হানেন। ফিরিয়ে দেন ক্রিস মরিস (৪) এবং আন্দিল ফেলুকুইয়াওকে (৪)। উইকেট উৎসবে যোগ দেন ভুবনেশ্বর কুমার। পরপর দুই বলে তিনি ফেরত পাঠপান কাগিসো রাবাদা (৫) এবং মরনি মরকেলকে (০)। ইমরান তাহির (১) তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে রানআউট হয়ে ষোলকলা পূর্ণ করেন। ভারতের হয়ে ভুবনেশ্বর কুমার এবং জসপ্রিত বুমরাহ ২টি করে উইকেট নেন। ১টি করে উইকেট নেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন, রবীন্দ্র জাদেজা এবং হার্দিক পান্ডিয়া।

জবাবে শেখর ধাওয়ান আর বিরাট কোহলির ১২৮ রানের দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে হেসেখেলে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত। শেখর ধাওয়ান ৭৮ রান করে ইমরান তাহিরের বলে আউট হলেও অপরাজিত ৭৬ রান করে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন অধিনায়ক বিরাট কোহলি। যুবরাজ সিং ২৩ রানে অপরাজিত থাকেন।