প্রথম দিন শেষে ভারত-শ্রীলঙ্কা সমানে সমানে

 

মাথাভাঙ্গা মনিটর: উদ্বোধনী জুটিতে ১৮৮ রানের শুরুর পরও, মিডল-অর্ডার ব্যাটসম্যানরা বড় ইনিংস খেলতে না পারায় পাল্লেকেলে টেস্টের প্রথম দিন শেষে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৬ উইকেটে ৩২৯ রান করেছে সফরকারী ভারত। দু ওপেনার শিখর ধাওয়ান ১১৯ ও লোকেশ রাহুল ৮৫ রান করে আউট হন। এরপর ব্যাট হাতে নামা পাঁচ ব্যাটসম্যানের কেউই হাফ- সেঞ্চুরির স্বাদ নিতে পারেননি। ভারতের পতন হওয়া ৬ উইকেটের ৫টিই নিয়েছেন শ্রীলঙ্কার দুই বাঁ-হাতি স্পিনার মালিন্দা পুস্পকুমারা ও লক্ষণ সান্দাকান। সিরিজের প্রথম দুই টেস্টের মতো তৃতীয় ম্যাচেও টস ভাগ্যে জয় পান ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলি। ব্যাট হাতে শুরুটা দুর্দান্ত করেন ধাওয়ান ও রাহুল। টোয়েন্টি টোয়েন্টি মেজাজে শুরু করে ওয়ানডে স্টাইলে রানের চাকা ঘুড়াতে থাকেন ধাওয়ান। অন্যপ্রান্তে রাহুল ছিলেন সতর্ক। তাই ভারতের ব্যাটসম্যানদের সামনে অসহায় ছিলেন শ্রীলঙ্কার বোলাররা।

ফলে ১০৬ বলেই ভারতের স্কোর তিন অঙ্কে নিয়ে যান ধাওয়ান ও রাহুল। এরমধ্যে টেস্ট ক্যারিয়ারের চতুর্থ হাফ-সেঞ্চুরি পেয়ে যান ধাওয়ান। হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নেন রাহুলও। টেস্ট ক্যারিয়ারের নবম হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নিয়ে রেকর্ড বইয়ে জিম্বাবুয়ের এন্ডি ফ্লাওয়ার, ওয়েস্ট ইন্ডিজের শিবনারায়ন চন্দরপল, শ্রীলঙ্কার কুমার সাঙ্গাকারা ও অস্ট্রেলিয়ার ক্রিস রজার্সের পাশে বসলেন রাহুল। ফ্লাওয়ার, চন্দরপল, সাঙ্গাকারা ও রজার্সও নিজেদের ক্যারিয়ারে টানা সাত ইনিংসের সবক’টিতেই হাফ- সেঞ্চুরি করেছিলেন।

ধাওয়ানের ৬৪ ও রাহুলের ৬৭ রানের কল্যাণে ২৭ ওভারে বিনা উইকেটে ১৩৪ রান নিয়ে ম্যাচের প্রথম সেশন শেষ করে ভারত। দ্বিতীয় সেশনেও ব্যাট হাতে অবিচল ছিলেন ধাওয়ান ও রাহুল। এতে সেঞ্চুরির স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন তারা। কিন্তু ব্যক্তিগত ৮৫ রানে রাহুলকে থামিয়ে দিয়ে শ্রীলঙ্কাকে প্রথম সাফল্য এনে দেন দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নামা বাঁ-হাতি স্পিনার পুস্পকুমারা। ফলে আবারো সেঞ্চুরি বঞ্চিত হলেন রাহুল। এতে ধাওয়ানের সাথে রাহুলের ১৮৮ রানের জুটিও ভেঙে যায়। শ্রীলঙ্কার মাটিতে ভারতের ওপেনারদ্বয়ের এটিই সর্বোচ্চ রানের জুটি। রাহুল যখন ফিরেন তখন ৯৮ রানে দাঁড়িয়ে ধাওয়ান। তাই কিছুক্ষণ পরই বাউন্ডারি দিয়ে ১০৭তম ডেলিভারিতে ক্যারিয়ার ষষ্ঠ সেঞ্চুরির স্বাদ নেন তিনি। গল-এ সিরিজের প্রথম টেস্টেও সেঞ্চুরি করেছিলেন ধাওয়ান। তাই ২০১১ সালের পর ভারতের হয়ে বিদেশের মাটিতে একই সিরিজে দুই সেঞ্চুরি করার নজির গড়লেন ধাওয়ান। সর্বশেষ ২০১১ সালে ইংল্যান্ডের মাটিতে ওপেনার হিসেবে দুটি সেঞ্চুরি করেছিলেন দ্রাবিড়। তিন অঙ্কে পা দিয়ে শ্রীলঙ্কার স্পিনার পুস্পকুমারার দ্বিতীয় শিকার হয়ে ১১৯ রানেই থেমে যান ধাওয়ান। ১২৩ বল মোকাবেলায় ১৭টি চার হাঁকান তিনি। দলীয় ২১৯ রানে দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে ধাওয়ানের বিদায়ের পর দলীয় স্কোর ৩শ রানে পৌঁছুনোর আগেই আরও ৩ উইকেট হারায় ভারত। চেতেশ্বর পূজারা ৮, অধিনায়ক কোহলি ৪২ ও আজিঙ্কা রাহানে ১৭ রান করে বিদায় নেন। দিনের খেলা শেষ হবার ১২ বল আগে উইকেট পতনের তালিকায় নাম তুলেছেন রবীচন্দ্রন অশ্বিনও। নামের পাশে ৩১ রান রেখে বিদায় নেন তিনি। উইকেটরক্ষক ঋদ্ধিমান সাহা ১৩ ও হার্ডিক পান্ডে ১ রান নিয়ে অপরাজিত আছেন। শ্রীলঙ্কার পুস্পকুমারা ৩টি ও সান্দাকান ২টি উইকেট নেন। বাকি উইকেটটি শিকার করেন বিশ্ব ফার্নান্দো।