নেইমারকে নিয়ে বার্সার ঝামেলা

মাথাভাঙ্গা মনিটর: ব্রাজিলিয়ান ক্লাব সান্তোস থেকে নেইমারকে দলে নেয়ার সময় ট্রান্সফার ফি জটিলতা এবং কর ফাঁকির অভিযোগে ফেঁসে যেতে পারে বার্সেলোনা। নেইমারকে আনতে বার্সার কী পরিমাণ অর্থ খরচ হয়েছে এবং কর ফাঁকির অঙ্ক ঠিক কতো, তা বের করার জন্য কর কর্তৃপক্ষকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে স্পেনের একটি আদালত। মাদ্রিদের ওই আদালতের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, নেইমারকে কেনার প্রক্রিয়ার সময় বার্সেলোনার বিরুদ্ধে কর ফাঁকির অভিযোগ এনেছেন বিচারক পাবলো রুস। এ মরসুমের শুরুতে পাঁচ কোটি ৭০ লাখ ইউরো ট্রান্সফার ফির বিনিময়ে বার্সেলোনায় যোগ দেন নেইমার। শুরুতে বার্সার পক্ষ থেকে এ পরিমাণ অর্থের কথাই বলা হয়েছিলো। তবে কিছুদিন পরই এ নিয়ে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়। কারণ নেইমারকে দলে নিতে কতো টাকা খরচ হয়েছে এবং তা কাকে দেয়া হয়েছে, সে ব্যাপারে স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়নরা কখনো পরিষ্কার করে কিছু জানায়নি। এ নিয়ে বার্সার সাবেক সভাপতি সান্দ্রো রোসেলের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। এরই প্রেক্ষিতে গত মাসে পদত্যাগ করেন তিনি। রোসেলের পদত্যাগের পর বার্সা কর্তৃপক্ষ জানায়, এ ফরোয়ার্ডকে দলে নিতে তাদের মোট আট কোটি ৬২ লাখ ইউরো খরচ হয়েছিলো। যার একটা বড় অংশ দেয়া হয়েছিলো নেইমার ও তার পরিবারকে। গতকাল বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে নেইমারের চুক্তির সময় বার্সা কতো টাকা কর দিয়েছে এবং কতো টাকা ফাঁকি দিয়েছে, তা তদন্ত করে বের করার জন্য স্পেনের কর কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এ ব্যাপারে বার্সা অবশ্য শুরু থেকে নিজেদের নির্দোষ দাবি করে আসছে। নেইমার চুক্তিবদ্ধ হওয়ার সময় খরচের বিস্তারিত না জানানোর কারণ হিসেবে চুক্তির গোপনীয়তার শর্তের কথাও জানায় ক্লাবটির কর্তৃপক্ষ।

স্পেনের একটি টেলিভিশনকে সাক্ষাৎকার দেয়ার সময় আরো একবার নিজেদের নির্দোষ দাবি করে বার্সার বর্তমান সভাপতি জোসেপ মারিয়া বার্তুমেউ বলেন, আমাদের কোনো ভাবনা নেই। কারণ চুক্তিটা সম্পূর্ণ স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় হয়েছে। আমরা শুধু নিজেরাই আলোচনা করিনি, খেলোয়াড়টি (নেইমার) ও তার ক্লাব সান্তোসের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শও নিয়েছি। আমরা সবকিছু বৈধভাবেই করেছি। আমরা এখন দু পক্ষের মধ্যে সমঝোতার ধরণ ও চুক্তিটা কী হয়েছিলো, তা সবার কাছে ব্যাখ্যা করার পরিকল্পনা করছি। আমরা সবাইকে দেখাতে চাই যে সবকিছু হয়েছে বৈধ পথে, সঠিকভাবে।