নায়কি ভূমিকায় পাকিস্তানকে জেতালেন আফ্রিদি

স্টাফ রিপোর্টার: এশিয়া কাপের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালের স্বপ্ন উজ্জ্বল করেছে পাকিস্তান। শহীদ আফ্রিদির নায়কি ভূমিকায় ও ঝড়ো ব্যাটিঙে চির প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে ১ উইকেটে জিতেছে শিরোপাধারীরা। তিন খেলায় এটি পাকিস্তানের দ্বিতীয় জয়। অন্যদিকে টুর্নামেন্ট টানা দ্বিতীয় হারে শিরোপা পুনরুদ্ধারের স্বপ্ন নিয়ে আসা ভারতের বিদায় প্রায় নিশ্চিত। গতকাল রোববার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেটে ২৪৫ রান করেছে ভারত। জবাবে ২ বল বাকি থাকতে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় পাকিস্তান। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শারজিল খানের সাথে আহমেদ শেহজাদের ৭১ রানের উদ্বোধনী জুটি চমৎকার সূচনা এনে দিলেও ১১৩ রানে চার উইকেট হারিয়ে অস্বস্তিতে পড়ে পাকিস্তান। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে রান-আউট অধিনায়ক মিসবাহ-উল-হক। আফগানিস্তানের বিপক্ষে শতক করা উমর আকমল ফেরেন ৪ রানে। এরপর পঞ্চম উইকেটে শোয়েব মাকসুদের সাথে মোহাম্মদ হাফিজের ৮৭ রানের জুটি দলকে ৪ উইকেটে ২০০ রানের দৃঢ় অবস্থানে দাঁড় করিয়েছিলো। কিন্তু ৩ রানের ব্যবধানে এ দুজনের বিদায়ে খেলায় ফেরে ভারত। ১১৭ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৭৫ রান করে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে ভুবনেশ্বর কুমারের হাতে ধরা পড়েন হাফিজ। রানআউট হয়ে বিদায় নেন মাকসুদ। উচ্চাভিলাষী শট খেলতে গিয়ে উমর গুল ও মোহাম্মদ তালহার বিদায় বিপদ আরো বাড়ায়। শেষ ওভারে প্রয়োজনীয়তা দাঁড়ায় ১০ রান। অশ্বিনের সেই ওভারের তৃতীয় ও চতুর্থ বলে দুটি বিশাল ছক্কা হাঁকিয়ে বলে দলকে পৌঁছে দেয়ার কৃতিত্ব গত শনিবার ৩৪তম জন্মদিন পালন করা আফ্রিদির। ৩৪ রানে অপরাজিত আফ্রিদির ১৮ বলের ইনিংসে ছিলো ২টি চার ও ৩টি ছক্কা। ভারতের পক্ষে অশ্বিন ৩ উইকেট নেন ৪০ রানে। এর আগে তৃতীয় ওভারেই শিখর ধাওয়ানের বিদায়ে শুরুটা ভালো হয়নি টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন ভারতের। তবে রোহিত শর্মার আক্রমণাত্মক ব্যাটিং রান এনে দিচ্ছিলো। যদিও দশম ওভারে দারুণ ছন্দে থাকা অধিনায়ক বিরাট কোহলি বিদায় নিলে বিরাট ধাক্কা খায় ওয়ানডের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। তৃতীয় উইকেটে অজিঙ্কা রাহানের সাথে ৩৬ রানের জুটি গড়ে রোহিত আউট হয়ে গেলে চাপ বেড়ে যায় আরো। অভিষিক্ত মোহাম্মদ তালহার প্রথম ওয়ানডে উইকেটে পরিণত হওয়ার আগে ৫৬ রান করেন রোহিত। তার ৫৮ বলের ইনিংসে ছিল ৭টি চার ও দুটি ছক্কা। এরপর রাহানেও রোহিতকে অনুসরণ করলে স্কোর দাঁড়ায় ১০৩/৪। পঞ্চম উইকেটে দীনেশ কার্তিকের (২৩) সাথে ৫২ ও ষষ্ঠ উইকেটে রবীন্দ্র জাদেজাকে নিয়ে ৫৯ রানের দুটো ভালো জুটি গড়ে ভারতকে লড়াইয়ে ফেরান আম্বাতি রাইডু। সাঈদ আজমলের শিকারে পরিণত হওয়ার আগে ৫৮ রান আসে রাইডুর ব্যাট থেকে। ৬২ বলের ইনিংসটিতে ছিলো ৪টি চার ও একটি ছক্কা। দলকে আড়াইশ’র কাছাকাছি পৌঁছে দিতে ভালো অবদান শততম ম্যাচ খেলতে নামা জাদেজারও। ৫২ রানে অপরাজিত এ অলরাউন্ডারের ৪৯ বলের আক্রমণাত্মক ইনিংসটি ৪টি চার ও দুটি ছক্কায় সাজানো ছিলো। ৪০ রানে ৩ উইকেট নিয়ে পাকিস্তানের সেরা বোলার অফস্পিনার আজমল।