তাইপেকে হারিয়ে মেয়েদের স্বপ্নপূরণ

স্টাফ রিপোর্টার: এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ ফুটবলের বাছাইপর্বে চীনা তাইপেকেই মনে হচ্ছিলো বাংলাদেশের মেয়েদের সামনে সবচেয়ে বড় বাধা। মেয়েদের ফুটবলে ফিফা রেঙ্কিং থেকে শুরু করে মাঠের পারফরম্যান্স-সবদিক থেকেই বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে রাখতে হচ্ছিলো তাদের। কিন্তু আগের তিনটি ম্যাচে ইরান, সিঙ্গাপুর ও কিরগিজস্তানের বিপক্ষে বড় জয়ে উজ্জীবিত বাংলাদেশের মেয়েরা আজ সেই বাধা উড়িয়ে দিয়েছে এক ফুৎকারেই। চীনা তাইপেকে ৪-২ গোলে হারিয়ে আগামী বছর অনুষ্ঠেয় এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ ফুটবলের চূড়ান্ত পর্বেও উঠে গেছে বাংলাদেশ। দুই দলেরই একটি করে ম্যাচ বাকি, তবে শেষ ম্যাচের ফলে এখন আর কিছু আসে যাচ্ছে না। পয়েন্ট সমান হলে দেখা হবে মুখোমুখি লড়াইয়ের ফল। তাতে বাংলাদেশ তো এগিয়েই আছে। আজ ম্যাচের পুরোটা জুড়েই আধিপত্য ছিলো বাংলাদেশের। যদিও প্রথমে গোল খেয়ে বসেছিলো স্বাগতিকেরাই। ১০ মিনিটেই খেলার ধারার বিপরীতেই ওই গোল। একটি প্রতি আক্রমণে রক্ষণভাগের একটি ভুল পাসে দূরপাল্লার শটে গোল করেন তাইপের সু ইউ হুসুন।
বাংলাদেশ খেলায় ফেরে পেনাল্টি গোলে। বাংলাদেশের কৃষ্ণা রানী সরকার বল নিয়ে তাইপের বক্সে ঢুকে পড়তে চাইলে তাকে ফাউল করেন চেন চিয়াও। দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। সাথে বাংলাদেশ দলকে আনন্দে ভাসিয়ে পেনাল্টির বাঁশিও বাজান রেফারি। পেনাল্টি থেকে গোল করেন শামসুন্নাহার। ৩৬ মিনিটে আরও একটি পেনাল্টিতে ২-১ গোলে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। এবারও সেটি এনে দেন অধিনায়ক কৃষ্ণা। পেনাল্টিটি গোলে পরিণত করেন সেই শামসুন্নাহারই। প্রথমার্ধ শেষে স্কোরলাইন এই ২-১-ই। দ্বিতীয়ার্ধে আরও গোলের নেশায় আক্রমণে ঝাঁপায় সংখ্যায় একজন এগিয়ে থাকার সুবিধায় বলীয়ান বাংলাদেশের মেয়েরা। ৫৪ মিনিটে দলকে ৩-১ গোলে এগিয়ে নেন কৃষ্ণা। তাইপের বক্সের মধ্যে বাম প্রান্ত দিয়ে ঢুকে দুর্দান্ত শটে দর্শনীয় ওই গোল। ৭৭ মিনিটে ৪-১ হয়ে যায় স্কোরলাইন। কৃষ্ণার একটি শট ঠেকাতে করতে গিয়ে নিজেদের জালেই বল জড়িয়ে দেন তাইপের সু ইউ হুসুন। ৮৮ মিনিটে ব্যবধান কমান উ ইয়ো জো। খেলার একেবারে শেষ মুহূর্তে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন তাইপের তেং পেই লিন। নয়জন নিয়ে ম্যাচ শেষ করে চীনা তাইপে। আর বাংলাদেশের কিশোরীরা শেষ করে সীমাহীন উচ্ছ্বাসে। ম্যাচশেষে ল্যাপ অব অনারও দিয়েছে তারা। নগদ পুরস্কারও মিলল গ্যালারিতে হাজার পাঁচ-ছয় দর্শকের তুমুল করতালিতে।