টেস্ট নিয়ে শঙ্কা নেই : আইসিসির সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত

মাথাভাঙ্গা মনিটর: আইসিসির প্রশাসনিক ও আর্থিক কাঠামো পরিবর্তনে ‘তিন জমিদারে’র বিতর্কিত খসড়া প্রস্তাব পূর্ণসদস্য অন্য দেশগুলোর প্রবল বিরোধিতার মুখে ভোটাভুটির জন্য সভায় ওঠানো হয়নি। দুবাইতে গতকাল মঙ্গলবার ছয় ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলা আইসিসির সভায় এ নিয়ে পূর্ণসদস্য দেশগুলোর মধ্যে এ সিদ্ধান্ত হয়। সভা শেষে সংবাদ বিবৃতিতে আইসিসি জানিয়েছে, আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো চুক্তি স্বাক্ষর বা প্রস্তাব পাস না হলেও বেশ কিছু ব্যাপারে সর্বসম্মতভাবে একমত হয়েছে বোর্ড। সেখানে প্রথমটিই বাংলাদেশের জন্য শঙ্কা দূর করা দ্বি-স্তরবিষয়ক। ধারায় বলা হয়েছে, যোগ্যতানুযায়ী সব সদস্যের সব ফরমেটে খেলার সুযোগ থাকবে। সদস্য মর্যাদার কোনো পরিবর্তন হবে না।

তবে বেশ কিছু ফাঁক রেখে আর্থিক ও বাণিজ্যিক দাবিগুলো ভালোভাবেই আদায় করেছে জমিদারেরা। একটা ধারায় বলা হয়েছে, টেস্ট ক্রিকেটের উন্নয়ন ও উত্সাহিত করতে সব পূর্ণসদস্যকে (ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড ছাড়া) বার্ষিক ভিত্তিতে আর্থিক সহায়তা দেবে ‘টেস্ট ক্রিকেট তহবিল’। অর্থাৎ ভারত-ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া ছাড়া বাকি সাত দেশের ক্রিকেট বোর্ডের জন্য সমান অধিকার রেখে আইসিসির একটি তহবিল গঠন করা হবে। সাত দেশের জন্য সমান হলে উল্লিখিত তিন দেশের ক্ষেত্রে কী হবে? তহবিলের বড় একটা অংশ যে থাকবে ওই তিন বোর্ডের জন্য, সেটি সহজেই অনুমেয়। বাকিটা সমান ভাগে ভাগ হবে বাকি সবার মধ্যে। আরেকটি ধারায় বলা হয়েছে, আইসিসির শক্ত নেতৃত্বের জন্য প্রয়োজন নেতৃস্থানীয় (মোড়ল) সদস্যগুলোর সংশ্লিষ্টতা। এখানে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের দায়িত্ব নিতে পারে। আইসিসি টুর্নামেন্টগুলোর জন্য নতুন একটি কোম্পানিকে টেন্ডার করার দায়িত্ব দেয়ার কথাও বলা হয়েছে, যেদিকে আগেই নজর ছিলো জমিদারদের। এফটিপি বাতিলের কথা শোনা গেলেও সেটা বাস্তবায়ন হয়নি। তবে কিছু ফাঁক রয়েছে এখানেও। বলা হয়েছে, ২০১৫ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত এফটিপি বহাল রাখার ব্যাপারে আইনি বাধ্যবাধকতা আছে এবং আর্থিকভাবে লাভজনক এমন দ্বিপক্ষীয় এফটিপি চুক্তি কার্যকর থাকবে। বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় স্বস্তি, টেস্ট মর্যাদা হারানোর শঙ্কা আপাতত দূর হয়েছে। সভা শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে সব সিদ্ধান্ত জানাবে আইসিসি।

এদিকে ‘ক্রিকইনফো’কে বিসিবি মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বলেছেন, বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে আইসিসিকে চিঠি দিয়ে পজিশন পেপারের ব্যাপারে নিজেদের অবস্থান জানিয়েছে। প্রথম দেশ হিসেবে আমরাই এটা করেছি।