টি-টোয়েন্টিতে রেকর্ড গড়ে জিতলো ইংল্যান্ড

মাথাভাঙ্গা মনিটর: কুইন্টন ডি কক ও হাশিম আমলার উড়ন্ত সূচনার পর জেপি দুমিনির খুনে ব্যাটিঙে ৪ উইকেটে ২২৯ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। সুপার টেনে প্রথম ম্যাচে হারা ইংল্যান্ডকে ঘুরে দাঁড়াতে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড গড়তে হবে।

এ সংস্করণের বিশ্বকাপে এর আগে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড দক্ষিণ আফ্রিকারই। ২০০৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৬ উইকেটে করা ২০৫ রান তাড়া করে জিতেছিলো গ্রায়েম স্মিথের দল।  মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে গতকাল শুক্রবার টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকাকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন ডি কক ও আমলা। এ দুজনের তাণ্ডবে সাত ওভারেই কোনো উইকেট না হারিয়ে ৯৬ রান তোলে দলটি। এ সময়ে ১৩.৩৯ গড়ে রান তোলে তারা। কোনো বোলারই তাদেরকে আটকাতে না পারায় ষষ্ঠ ওভারেই পঞ্চম বোলারকে আনতে বাধ্য হন ইংল্যান্ড অধিনায়ক। পরের ওভারে আবারও নতুন বোলার, আদিল রশিদ। এ লেগস্পিনারও ১৩ রান দেন। অবশেষে নিজের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে দলকে ‘ব্রেক থ্রু’ এনে দেন মইন আলী। ক্যাচ আউট হয়ে ফেরার আগে ২৪ বলে ৭টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৫২ রান করেন ডি কক।

তিন নম্বরে নেমে ঝড় তোলেন এবি ডি ভিলিয়ার্সও, তবে বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি তার ইনিংস। আদিল রশিদকে পরপর দুবার সীমানা ছাড়া করার এক বল পরেই এগিয়ে এসে মারতে গিয়ে মিস টাইমিংয়ে মর্গ্যানকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন এই ডান-হাতি ব্যাটসম্যান (৮ বলে ১৬)।

খানিক পর আলির দ্বিতীয় শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান আমলাও। এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরার আগে সর্বোচ্চ ৫৮ রান করেন ডান-হাতি এই ব্যাটসম্যান। ৩১ বলের ঝড়ো ইনিংসে ৭টি চার ও ৩টি ছক্কা হাঁকান তিনি।

দিন শেষে ইংল্যান্ড ও আলি আপশোসের কারণ হয়ে থাকতে পারেন আমলার এ ইনিংস; ম্যাচের চতুর্থ ওভারে এই স্পিনারের বলেই মিড অফে ক্যাচ তুলেছিলেন আমলা। কিন্তু তা ধরতে ব্যর্থ হন রিস টপলি। ওই সময় আমলার রান ছিলো ৯! নিয়মিত বিরতিতে চারটি উইকেট হারালে বড় ইনিংসের সম্ভাবনা কিছুটা কমে যায়। তবে পাঁচ নম্বরে নামা জেপি দুমিনি ঝড় তুললে শেষ পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ইনিংস গড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। পঞ্চম উইকেটে ডেভিড মিলারের সাথে ২৭ বলে অবিচ্ছিন্ন ৬০ রানের জুটি গড়েন দুমিনি। ২৮ বলে ৩টি করে চার ও ছক্কায় ৫৪ রান করেন। আর ১২ বলে ২টি করে চার ছক্কায় ২৮ করেন মিলার।