টি-টোয়েন্টিতে ফিফটির অপেক্ষায় বাংলাদেশ

স্টাফ রিপোর্টার: ২০০৬ সালের ২৮ নভেম্বর খুলনা বিভাগীয় স্টেডিয়ামে নিজেদের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি খেলেছিলো বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষ ছিলো জিম্বাবুয়ে। সেই একই মাঠে একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে বাংলাদেশ স্পর্শ করতে যাচ্ছে একটি মাইলফলক। বিভাগীয় স্টেডিয়ামের নাম বদলে হয়ে গেছে শেখ আবু নাসের স্টেডিয়াম। এখানেই আজ শুক্রবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের শেষ ম্যাচটি হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের ৫০তম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচটি জিম্বাবুয়েরও ছিলো প্রথম টি-টোয়েন্টি। আর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির সেটি ছিলো মাত্র নবম ম্যাচ।
আজ শুক্রবার বাংলাদেশের ৫০তম ম্যাচটি হতে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির ৪৮৪তম ম্যাচ। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলেছে এখনও পর্যন্ত ২২টি দল। সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছে পাকিস্তান। আজ শুক্রবার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটি হতে যাচ্ছে পাকিস্তানের ৯৮তম টি-টোয়েন্টি। সবচেয়ে কম খেলেছে পাপুয়া নিউগিনি ও বারমুডা, তিনটি করে। টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের চেয়ে কম টি-টোয়েন্টি খেলেছে কেবল জিম্বাবুয়েই। বাংলাদেশের ৫০তম ম্যাচটি হতে যাচ্ছে জিম্বাবুয়ের ৪৮তম ম্যাচ। সেই প্রথম ম্যাচে খেলা বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের একাদশ থেকে এ সিরিজের বাংলাদেশের স্কোয়াডে আছেন দুজন- মাশরাফি বিন মুর্তজা ও সাকিব আল হাসান। জিম্বাবুয়ের স্কোয়াডে আছেন চারজন – হ্যামিল্টন মাসাকাদজা, এল্টন চিগুম্বুরা, চামু চিবাবা ও শন উইলিয়ামস। পরিসংখ্যানের বিচারে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির সফলতম দলের নাম পাপুয়া নিউগিনি! তবে ম্যাচই খেলেছে তারা মাত্র তিনটি। দুটি জিতে যাওয়ায় জয়ের হার ৬৬.৬৬ শতাংশ! জয় দুটিও আয়ারল্যান্ড ও নেপালের বিপক্ষ। অন্তত ৫টি ম্যাচ খেলার মানদণ্ড বিবেচনায় নিলেও সফলতম দলটির নাম চমক জাগানিয়া। ৩৮ ম্যাচের ২৩টিই জিতে আফগানিস্তানের জয়ের হার ৬০.৫২! যদিও সেই জয়গুলোর বেশির ভাগই সহযোগী দেশগুলোর বিপক্ষে। টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর মধ্যে সফলতম টি-টোয়েন্টি দল দক্ষিণ আফ্রিকা, জয়র হার ৬০.৪৯ শতাংশ। ৪৯ ম্যাচের মাত্র ১৫টিতে জিতে বাংলাদেশের জয়ের হার ৩১.২৫ শতাংশ।