ঝড়ে উড়ে গেল পাকিস্তান

মাথাভাঙ্গা মনিটর: হ্যামিল্টনের সেডন পার্কে বড় ধরনের একটা ঝড়ই উঠলো। সে ঝড় অবশ্য নিউজিল্যান্ডের খুব পরিচিত। মার্টিন গাপটিল আর কেন উইলিয়ামসন নামের দুটো ঝড় প্রথম টি-টোয়েন্টিতে হারের দুঃখ ভুলিয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে কিউইদের এনে দিয়েছে দুর্দান্ত এক জয়।
প্রথমে ব্যাট করা পাকিস্তানের ৭ উইকেটে করা ১৬৮ রানের জবাবটা নিউজিল্যান্ড দিয়েছে কোনো উইকেট না হারিয়েই। গাপটিলের ৫৮ বলে ৮৭ আর উইলিয়ামসনের ৪৮ বলে ৭২ রানের দুটি অপরাজিত ইনিংসেই জয়ের বন্দরে নিউজিল্যান্ড। ১০ উইকেটের এই জয়ে দারুণ একটা রেকর্ডও সঙ্গী হয়েছে কিউইদের। এর আগে টি-টোয়েন্টিতে ১৪০ রানের বেশি রান তাড়া করে ১০ উইকেটে জয়ের কোনো নজির ছিলো না। ২০১৩ সালে ঠিক ১৪০ রান করে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১০ উইকেটে হেরেছিলো এ নিউজিল্যান্ডই।
গাপটিল ৮৭ রানের ৬০-ই এসেছে চার-ছক্কায়। ৯ চার ও ৪ ছক্কা মেরেছেন। উইলয়ামসনের ৭২ রানে আছে ১১টি চার। ১০৪ রানই বাউন্ডারি থেকে তুলেছে নিউজিল্যান্ড। এত বড় রান তাড়া করে দশ উইকেটে যেখানে আগে কেউই জেতেনি, গাপটিল-উইলিয়ামসন বুঝিয়ে দিয়েছেন, লক্ষ্য আরও বড় হলেও অসুবিধা ছিলো না। বল যে তখনো বাকি ছিলো ১৪টি! গত ম্যাচ দিয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরা মোহাম্মদ আমিরের ওপর দিয়েই গেছে বড় ঝড়টা। ৩ ওভারে দিয়েছেন ৩৪ রান। অবশ্য আমির বলতে পারেন, পিটুনি খায়নি কে! উমর গুল ২ ওভারে ১৮, গত ম্যাচের নায়ক শহীদ আফ্রিদি ৪ ওভারে ৩৮। ইমাদ ওয়াসিম, ওয়াহাব রিয়াজ, শোয়েব মালিক অসহায় ছিলেন সবাই। বৃথা গেছে উমর আকমলের ২৭ বলে অপরাজিত ৫৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংসটি। ক্যারিয়ার বাঁচাতে কোণঠাসা হয়ে পড়া আকমল গত ম্যাচেও ভালো ব্যাটিং করেছিলেন। প্রায় দু বছর পর টি-টোয়েন্টিতে ফিফটির ইনিংস খেলা আকমল গতকাল ৪টি করে চার ও ছয় মেরেছেন। কিন্তু শেষের দিকে আফ্রিদি, ইমাদরা বেশি কিছু করতে না পারায় পাকিস্তানকে সন্তুষ্ট থাকতে হয় ১৬৮ রানেই। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে ১টি করে উইকেট নেন মিচেল স্যান্টনার, কোরি অ্যান্ডারসন, অ্যাডাম মিলনে ও গ্র্যান্ট এলিয়ট। তবে দলের সেরা বোলার ছিলেন মিচেল ম্যাকক্লেনাহান। ২৩ রানে ২ উইকেট নিয়ে নিয়েছে সিরিজে সমতা ফেরাতে বড় ভূমিকা রেখেছেন। তবে যেদিন গাপটিল-উইলিয়ামসনরা ঝলসে ওঠেন, বাকি সবাই হয়ে যায় স্রেফ পার্শ্বচরিত্র!