চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি বাংলাদেশের জন্য বড় অগ্রগতি

 

স্টাফ রিপোর্টার: দীর্ঘ ১১ বছরের বন্ধ্যত্ব কাটিয়ে ২০১৭ আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সরাসরি খেলার যোগ্যতা অর্জন করা বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য একটি বড় অগ্রগতি বলে মনে করছেন সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার সুমন। সর্বশেষ ২০০৬ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অংশগ্রহণ করা বাংলাদেশ দলের অধিনায়কত্ব করা সুমন এবারের আসরে আইসিসি নির্বাচিত দূতদের একজন।

সুমন বলেন, ‘এ বছরের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সরাসরি খেলার যোগ্যতা অর্জন করা নিশ্চিতভাবেই আমাদের দেশের ক্রিকেটের জন্য একটা বড় অর্জন। এর ফলে বর্তমান সময়ে ওয়ানডে ক্রিকেটে আমাদের দক্ষতা বাড়ানোর একটা সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।’ সাম্প্রতিক সময়ে বিশেষ করে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে বাংলাদেশ দলের দ্রুত উন্নতি ঘটছে।

অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ২০১৫ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নেয়ার পর নিজ মাঠে ওয়ানডে ক্রিকেটে ভারত, পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবুয়ে ও আফগানিস্তানকে হারিয়ে সিরিজ জিতেছে টাইগাররা।

এ সময়ের মধ্যে দেশের বাইরেও দুটি ওয়ানডে সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ। যার মধ্যে নিউজিল্যান্ডে হোয়াইটওয়াশ হলেও সম্প্রতি শ্রীলঙ্কায় স্বাগতিকদের সঙ্গে সমতা রেখে সিরিজ শেষ করেছে মাশরাফি বিন মর্তুজার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ দল। তবে সুমনের বিশ্বাস আগামী মাসে ইংল্যান্ডসহ আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে টাইগারদের জন্য সহায়ক হবে। বিষয়টি ব্যাখ্যা করে সুমন বলেন, ‘চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য আমরা গত দুই বছর যাবত পরিকল্পনা করে আসছি।’

তিনি আরো বলেন, ‘দেশের বাইরে আমাদের খুব বেশি সাফল্য নেই। তবে এখন আমরা প্রস্তুত। অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডে আমরা ২০১৫ বিশ্বকাপ খেলেছি। শ্রীলঙ্কায় গত সিরিজে আমাদের আত্মবিশ্বাস অনেক বেড়েছে।’ এই (চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি) টুর্নামেন্টের জন্য ভিন্নভাবে পরিকল্পনা গ্রহণ করাটা গুরুত্বপূর্ণ ছিলো। যে কারণে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে আমরা আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলছি। ইংলিশ কন্ডিশনে প্রস্তুতির জন্য এটা অনেক বেশি সহায়ক হবে। এ বছরের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আপনারা একটা ভিন্ন বাংলাদেশকে দেখবেন।’

নিজেদের সর্বশেষ ২০০৬ সালে ভারতে অনুষ্ঠিত এ টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ দল কেবল জিম্বাবুয়েকে হারিয়েছিল। বাকি দুই ম্যাচে হেরে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হয়েছিল টাইগারদের। তবে এ অভিজ্ঞতা ২০০৭ বিশ্বকাপে সাফল্য পেতে সহায়ক হয়েছিলো। তিনি বলেন, ‘যদিও তিন ম্যাচের মধ্যে দুটিতে আমরা হেরেছিলাম। তবে আমরা অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করেছিলাম। ২০০৭ বিশ্বকাপের সাফল্যের মূলে ছিলো ২০০৬ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির অভিজ্ঞতা।’

২০০৭ বিশ্বকাপে ভারতকে ৫ উইকেটে হারানোটা সীমিত ওভারের ক্রিকেটে বাংলাদেশের ক্রিকেটের বদলে যাওয়ার জন্য ছিলো বিশেষ কিছু। ২০০৬ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে ছিলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা ও সাকিব আল হাসান এবং দুজনেই বাংলাদেশের ক্রিকেটের অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের সাম্প্রতিক সাফল্যে বড় ভূমিকা রেখেছেন মাশরাফি ও সাকিব। অবশ্য এরা ছাড়াও মুশফিকুর রহিম, তামিম ইকবাল ও মাহমুদুল্লাহর মতো অভিজ্ঞ খেলোয়াড়রাও তাদের ভূমিকা সঠিকভাবে পালন করেছেন। আমাদের বর্তমান দলটিতে অনেক তরুণ মেধাবী খেলোয়াড়ও রয়েছেন। অভিজ্ঞ ও তরুণদের সংমিশ্রণেই আমাদের বর্তমান সাফল্য।’