গুজরাটের লজ্জার রেকর্ডে কোয়ালিফায়ারে মোস্তাফিজের দল

মাথাভাঙ্গা মনিটর: মোস্তাফিজুর রহমান ও ডেভিড ওয়ার্নারে সওয়ার হয়ে গত আইপিএলের শিরোপা জিতেছে সানরাজার্স হায়দরাবাদ। এবার মোস্তাফিজ খেলেছেনই মাত্র এক ম্যাচ। তবে ওয়ার্নার তো আছেন! ওয়ার্নারে আরও একবার সওয়ার হয়ে কোয়ালিফায়ারে পৌঁছে গেছে হায়দরাবাদ। গুজরাট লায়নসকে ৮ উইকেটে হারিয়ে প্রথম চারে থাকা নিশ্চিত করেছেন ওয়ার্নাররা। হায়দরাবাদের সামনে গতকাল সমীকরণটা ছিলো পরিষ্কার। অন্যদের হাতে ভাগ্য ছেড়ে না দিতে চাইলে জিততেই হবে। না হলে গতকাল কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের হারের অপেক্ষায় থাকতে হতো তাদের। ম্যাচের প্রথমার্ধে মনে হচ্ছিলো সেটাই করতে হবে হায়দরাবাদকে। ডোয়াইন স্মিথ ও ঈশান কিষান যে ভয়ঙ্কর মূর্তে দেখা দিয়েছিলেন! ৯.৩ ওভারেই ১০০ রান তুলে ফেলেছিল গুজরাট দুই ওপেনার।

ওপেনিং জুটিটা ভাঙলো ১০.৫ ওভারে, ১১১ রানে। ৩৩ বলে ৫৪ রান করা স্মিথ যখন এলবিডব্লু হলেন রশিদ খানের বলে। তখনো গুজরাট ভাবতে পারেনি কী ঝড়টা অপেক্ষা করছে তাদের জন্য। দলের ১২০ রানে আউট কিষানও। ভারতের সাবেক অনূর্ধ্ব-১৯ অধিনায়ক আউট হয়েছেন ৬১ রান করে (৪০ বল)। স্কোরে কোনো পরিবর্তন হওয়ার আগেই আউট আরও দুই ব্যাটসম্যান। উইকেটে এলেন রবীন্দ্র জাদেজা। কিন্তু উইকেট বৃষ্টি থামাতে পারেননি এই অলরাউন্ডার। ২০ রানে অপরাজিত থেকে দেখলেন কীভাবে অন্যপ্রান্তে আউট হচ্ছেন সঙ্গীরা। মাত্র ৪৩ রানে ১০ উইকেট হারিয়ে ১৫৪ রানে অলআউট গুজরাট।

আইপিএলের ইতিহাসে এতো কম রানে ১০ উইকেট হারায়নি কোনো দল। এর আগের রেকর্ডটি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর। এ মরসুমে কলকাতার বিপক্ষে ৪৭ রানের মধ্যে ১০ উইকেট হারিয়েছিলো বেঙ্গালুরু।

২৫ রানেই দুই উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল হায়দরাবাদ। কিন্তু ওয়ার্নারের অপরাজিত ৬৯ ও বিজয় শংকরের ৬৩ রানে ১১ বল বাকি থাকতে ম্যাচ জিতেছে হায়দরাবাদ।