ক্লাব বিশ্বকাপও বায়ার্নের

মাথাভাঙ্গা মনিটর: মরক্কোর রাজা কাসাব্লাঙ্কাকে ২-০ গোলে হারিয়ে ক্লাব বিশ্বকাপ জিতেছে ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখ। এ নিয়ে ২০১৩ সালে পাঁচটি টুর্নামেন্ট জিতলো জার্মানির এ ক্লাবটি। ক্লাব বিশ্বকাপ বিজয়ীরা ২০০০: করিন্থিয়ান্স (ব্রাজিল); ২০০৫: সাও পাওলো (ব্রাজিল); ২০০৬: ইন্তারনাসিওনাল (ব্রাজিল); ২০০৭: এসি মিলান (ইতালি); ২০০৮: ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড (ইংল্যান্ড); ২০০৯: বার্সেলোনা (স্পেন); ২০১০: ইন্টার মিলান (ইতালি); ২০১১: বার্সেলোনা (স্পেন); ২০১২:  করিন্থিয়ান্স (ব্রাজিল); ২০১৩: বায়ার্ন মিউনিখ (জার্মানি)

এর আগে এ বছর চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, বুন্দেসলিগা, জার্মান কাপ ও উয়েফা সুপার কাপ জিতে পেপ গার্দিওয়ার দল। সেমিফাইনালে ব্রাজিল তারকা রোনালদিনিয়োর আতলেতিকো মিনেইরোকে হারিয়ে চমক দেখিয়েছিলো স্বাগতিক ক্লাবটি। কিন্তু ফাইনালে বায়ার্নের জয় অনুমিতই ছিলো। মরক্কোর মারাকাশে গত শনিবার রাতে প্রথমার্ধে ব্রাজিলের ডিফেন্ডার দান্তে ও মিডফিল্ডার তিয়াগো আলকানতারার গোলে জয় নিশ্চিত হয়ে যায় জার্মান চ্যাম্পিয়নদের। দ্বিতীয়ার্ধে কাসাব্লাঙ্কা কয়েকটি আক্রমণ শানালেও গোল পায়নি ফরোয়ার্ডরা। হালকা মেজাজে খেলে প্রথমবারের মতো ক্লাব বিশ্বকাপ উচিয়ে ধরে বায়ার্ন ফুটবলারা।

অবশ্য কোচ পেপ গার্দিওয়ার এটি তৃতীয় শিরোপা। এর আগে বার্সেলোনার হয়ে দু বার ক্লাব বিশ্বকাপ জিতেছিলেন তিনি। রোনালদিনিয়োর মিনেইরোর সান্ত্বনার জয়। এর আগে তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন গোয়ানজো এভারগ্রান্দেকে ৩-২ গোলে হারিয়ে সান্ত্বনার জয় পেয়েছে দক্ষিণ আমেরিকার চ্যাম্পিয়ন আতলেতিকো মিনেইরো। সেমিফাইনালে মরক্কোর রাজা কাসাব্লাঙ্কার কাছে ৩-১ গোলে হেরে গিয়েছিলো ব্রাজিল তারকা রোনালদিনিয়োর মিনেইরো। লালকার্ড দেখলেন রোনালদিনিয়ো। গোয়ানজো এভারগ্রান্দেকে তাদের হারাতে হয়েছে লড়াই করে। সেমিফাইনালের মতোই বাঁকানো দারুণ এক ফ্রি-কিকে গোল করেছেন রোনালদিনিয়ো। ২-১ গোলে পিছিয়ে থাকার পর সাবেক বর্ষসেরা ফুটবলারের এ গোলেই সমতায় ফেরে মিনেইরো। তবে ম্যাচের নির্ধারিত সময়ের তিন মিনিট বাকি থাকতে প্রতিপক্ষে খেলোয়াড়কে লাথি মেরে লালকার্ড দেখেন রোনালদিনিয়ো। তবে ইনজুরি সময়ে লুয়ানের গোলে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে মিনেইরো।