কোহলিদের দেখা যাবে না চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে?

 

মাথাভাঙ্গা মনিটর: আইসিসিতে লভ্যাংশ ও ‘তিন মোড়ল’ প্রশ্নে ভোটাভুটিতে হেরে গেছে ভারত। ভারতের দাবি রীতিমতো প্রত্যাখ্যাতই হয়েছে আইসিসির বোর্ড সভায়। এখন ভারত কী করবে? ইংল্যান্ডে ১ জুন থেকে শুরু হতে যাওয়া চ্যাম্পিয়নস ট্রফিকে পাল্টা অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করবে? পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি থেকে ভারতের নাম প্রত্যাহার করে নেয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে ভারতের। এ কারণেই নাকি ২৫ এপ্রিল দল ঘোষণার শেষ সময় পেরিয়ে গেলেও শুধু ভারত দল দেয়নি।

বিশ্ব ক্রিকেটে নিজেদের প্রভাব-প্রতিপত্তি কমে যাওয়ার ব্যাপারটি মেনে নিতে পারছে না বিসিসিআই। পাল্টা হিসেবেই আইসিসিকে এক দফা জবাব দিতে চায় বলে ধারণা করা হচ্ছে। কোহলিদের ছাড়া আট শীর্ষ দলের এই টুর্নামেন্ট রং হারাবে সন্দেহ নেই। ক্রিকেট মহলের প্রশ্ন, ভারত কি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে থাকবেই না? জটিলতা আরেক দিক দিয়ে আছে। ধরা যাক এর মধ্যে ভারতের বোধোদয় হলো। তারা দল ঘোষণা করল। কিন্তু ২৫ এপ্রিলের মধ্যে দল ঘোষণা না করেও কি অংশ নেওয়া যাবে এই টুর্নামেন্টে? এই বিষয়টিও এখন পরিষ্কার নয়। আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, ২৫ এপ্রিলের মধ্যে যেকোনো স্কোয়াড ঘোষণা করে ফেললে ২৫ মের পর্যন্ত দলে যেকোনো পরিবর্তন আনা যায়। কিন্তু আগে দলই তো ঘোষণা করেনি ভারত!
বিশ্লেষকেরা বলছেন, আইসিসিকে চাপে রাখার কৌশল হিসেবেই ভারত এমন দল ঘোষণা স্থগিত রেখেছিল। যেন চাপ তৈরি হয় বাকি বোর্ডগুলোর ওপরে। কিন্তু গতকাল বোর্ড সভার ভোটাভুটিতে হারার পর স্পষ্ট হয়ে গেছে, বিসিসিআইয়ের এই কৌশল কাজে আসেনি। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড এখন কী করবে? জানা গেছে, বোর্ডের সাধারণ সম্পাদক এখন একটি বিশেষ সাধারণ সভা ডাকবেন। সেখানেই পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হবে। এর আগে দল ঘোষণা কোনো সম্ভাবনাই নেই। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে অংশগ্রহণ করা নিয়েও একাধিক মত আছে ভারতীয় বোর্ডে। বৈশ্বিক প্রতিযোগিতাতে অংশগ্রহণ করার বিষয়ে ক্রিকেটের বিশ্ব সংস্থার সঙ্গে সদস্য দেশগুলোর যে চুক্তি আছে, সেটাও একটা বাধা। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে অংশ না নিলে মোটা অঙ্কের জরিমানা গুনতে হবে ভারতকে।