আশা জাগিয়েও পারলো না বাংলাদেশ

মাথাভাঙ্গা মনিটর: প্রথম কোনো বহুজাতিক টুর্নামেন্টে শিরোপা জয়ের স্বপ্ন পূরণ হলো না এবারও। ভারতের বিপক্ষে নিদাহাস ট্রফি টি-টোয়েন্টি সিরিজের ফাইনালে দুর্দান্ত একটা আশা জাগিয়েছিলো বাংলাদেশ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা আর হলো না। ১৬৭ রানের টার্গেটে শেষ বলে ভারতের প্রয়োজন ছিলো পাঁচ রানের। সেই বলে ছক্কা মেরে চার উইকেটের নাটকীয় জয় তুলে নেয় ভারত। তাই পঞ্চমবারের মতো ফাইনালে উঠেও বহুজাতিক টুর্নামেন্টে ট্রফি জেতার অপেক্ষায় থাকতে হলো টাইগারদের।

ফাইনালে জয়ের জন্য ১৬৭ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ভারত দুর্দান্ত সূচনা করেছিলো। ৩৭ রানের মধ্যে শেখর ধাওয়ান ও সুরেশ রায়নার উইকেট হারায়। এর মধ্যে রোহিত শর্মা ও লুকেস রাহুলের ব্যাটে প্রত্যাবর্তন করে ভারত। তবে হঠাৎই দুই উইকেট হারিয়ে ভারত চাপে পড়ে যায়। ৫৬ রান করে অধিনায়ক রোহিত শর্মা ও রাহুল (২৪) আউট হয়ে যান। ১৪ ওভার শেষে ভারতের সংগ্রহ দাঁড়ায় চার উইকেটে ১০৪ রান।

এরপর সমান তালেই লড়েছে বাংলাদেশ। ১৮তম ওভারে মুস্তাফিজ মাত্র ১ রান দিয়ে এক উইকেট তুলে নেন। শেষ দুই ওবারে ৩৪ রান প্রয়োজন ছিলো ভারতের। কিন্তু পরের ওভারে রুবেল ২২ রান দিয়ে ভারতের কাজকে সহজ করে দেয়। যে কারণে শেষ ওভারে সৌম্য দুর্দান্ত প্রচেষ্টা চালিয়েও জয় আটকাতে পারেননি। জয়ের মূল নায়ক বলতে হবে দিনেশ কার্তিককেই। শেষ দিকে মাত্র ৮ বল থেকে দুটি চার ও তিনটি ছক্কার মারে ২৯ রান করে ভারতের জন্য অসম্ভবকে সম্ভব করে দেন তিনি।

এর আগে ভারতকে ১৬৭ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেটে ১৬৬ রান করেছে সাকিব আল হাসানের দল। দুর্দান্ত একটা সূচনার আভাস দিয়ে আউট হয়ে যান দুই ওপেনার লিটন দাস ও তামিম ইকবাল। চতুর্থ ওভারের দ্বিতীয় বলে দলীয় ২৭ রানে ওয়াশিংটন সুন্দরের বলে সুরেশ রায়নার হাতে ধরা পড়েন লিটন।

ওয়ানডাউনে তামিমের সঙ্গে জুটি বাঁধেন সাব্বির রহমান। কিন্তু দলের স্কোরে কোনো রান যোগ হওয়ার আগেই দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হয়ে যান তামিমও। চাহালের বলে সীমানার দড়ির একেবারে উপরে শারদুল ঠাকুরের হাতে ধরা পড়েন তিনি। পঞ্চম ওভারের শেষ বলে দলীয় ৩৩ রানে আউট হন সৌম্য সরকার। চতুর্থ উইকেটে সাব্বিরকে আশা জাগাতে থাকলেও জুটিতে ৩৫ রান করে ফিরেন মুশফিকও। দলীয় ১০৪ রানে পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে ফিরেন মাহমুদউল্লাহ (২১)। সাব্বিরের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হন তিনি। এরপর রান আউট হন অধিনায়ক সাকিব।

আর দলীয় ১৪৭ রানে সবচেয়ে সফল ব্যাটসম্যান সাব্বিরও ফিরেন সাজঘরে। ৫০ বল থেকে সাতটি চার ও চারটি ছক্কায় সাব্বির করেন ৭৭ রান। দলীয় স্কোরে এক রান যোগ হতেই ফিরেন রুবেল হোসেনও। তবে শেষ দিকে মিরাজ কিছুটা উত্তেজনা ছড়ান। ৭ বল থেকে দুটি চার ও একটি ছক্কায় ১৯ রান করেন মিরাজ। স্বাধীনতার ৭০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ভারত ও বাংলাদেশকে নিয়ে ত্রিদেশীয় এই টি-টোয়েন্টি সিরিজ আয়োজন করে শ্রীলঙ্কা।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *