৭১১ বিদ্রোহী ও ৫১ এমপির ভাগ্য নির্ধারণ ২০ মার্চ : দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষায় কঠোর আওয়ামী লীগ

 

স্টাফ রিপোর্টরা: সদ্য অনুষ্ঠিত পৌরসভা ও আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ২ ধাপের নির্বাচনে ৭১১ বিদ্রোহী প্রার্থী এবং নেপথ্যে থেকে তাদের পৃষ্ঠপোষকতা ও মদদ দেয়া ৫১ এমপির ভাগ্য নির্ধারণ হবে আগামী ২০ মার্চ। ওই দিন সন্ধ্যা ৭টায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে তাদের চূড়ান্তভাবে বহিষ্কার করা হবে কি-না সেই সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে।  এর মধ্যে পৌরসভা নির্বাচনে বিদ্রোহী থাকায় ৬৯ জনকে এবং ইউপি নির্বাচনে বিদ্রোহী থাকায় ২ শতাধিক বিদ্রোহীকে দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। স্থায়ীভাবে কেন বহিষ্কার করা হবে এই মর্মে ৬৯ জনের কাছে কারণ দর্শানো নোটিস পাঠানো হয়েছে। নোটিসের জবাব ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে জমা পড়েছে। তবে বিদ্রোহী কারো কাছ থেকে যৌক্তিক কোনো জবাব আসেনি বলে সূত্র জানিয়েছে।

অপরদিকে পৌরসভা নির্বাচনে বিদ্রোহীদের মদদ দেয়া ২৫ এমপি এবং ইউপিতে বিদ্রোহীদের পক্ষে কাজ করা ২৬ এমপির বিরুদ্ধে সাংগঠনিক তদন্ত করছে আওয়ামী  লীগ। দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে সরেজমিন পরিদর্শন ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে রিপোর্ট প্রস্তুত করছেন। এর মধ্যে পৌরসভায় নেপথ্যে থেকে বিদ্রোহীদের মদদ দেয়া ২৫ এমপির বিরুদ্ধে তদন্ত রিপোর্ট কেন্দ্রে জমা দিয়েছেন সাংগঠনিক সম্পাদকরা। খুব শিগগিরই ইউপি নির্বাচনে বিদ্রোহীদের পক্ষে অবস্থান নেয়া ২৬ এমপির তদন্ত প্রতিবেদন সাংগঠনিক সম্পাদকরা কেন্দ্রে জমা দিবেন। আর ২০ মার্চ দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় তাদের ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত আসবে।

জানা গেছে, দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। এক্ষেত্রে দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করার অভিযোগে ৭১১ বিদ্রোহী প্রার্থীকে দল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হতে পারে। তবে স্থানীয় সংসদ সদস্যদের দল থেকে আপাতত স্থায়ীভাবে বহিষ্কার নাও করা হতে পারে। এক্ষেত্রে তাদের আপতত সতর্ক করে দিয়ে আগামী জাতীয় নির্বাচনে মনোনয়ন না দেয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হতে পারে। প্রসঙ্গত, পৌরসভায় বিদ্রোহীদের মদদ দেয়ার অভিযোগে সংসদ সদস্য গোলাম রাব্বানিকে দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করে জেলা আওয়ামী লীগ। এছাড়া তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করতে কেন্দ্রে সুপারিশও করা হয়।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে যারা দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হবেন কিংবা দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ড করবেন তাদের বিরুদ্ধে দলের সর্বোচ্চ শাস্তি দেয়া হবে।