৬ জন ভোটার ম্যানেজ করতে প্রার্থীরা মরিয়া

চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের স্থগিত হওয়া ৩ নং ওয়ার্ড নির্বাচন ॥ আজ বাছাই

বেগমপুর প্রতিনিধি: গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও আইনি জটিলতায় স্থগিত হয়ে যায় ৩ নং ওয়ার্ডের পুরুষ সদস্য নির্বাচন। আইনি জটিলতা কাটিয়ে পুনরায় ৩ নং ওয়ার্ডের নির্বাচনী তফশিল ঘোষণা করা হয়েছে। ১৩ জন ভোটারের বিপরীতে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করে জমা দিয়েছেন ৭ জন প্রার্থী। যেকোনো মূল্যে ৬ জন ভোটার ম্যানেজ করতে প্রার্থীরা মরিয়া হয়ে উঠেছেন বলে জানা গেছে। নির্বাচনী এলাকায় গুঞ্জণ বইছে এক একটি ভোটারদের দাম হাঁকানো হয়েছে ২ লাখ টাকারও ওপরে।
আইনি জটিলতা থাকায় মাখালডাঙ্গা, নেহালপুর ও বেগমপুর ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ৩ নং ওয়ার্ডের পুরুষ সদস্য নির্বাচন স্থগিত হয়ে যায়। আইনি জটিলতা কাটিয়ে পুনরায় তফশিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। গত সোমবার ছিলো মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন। শেষ দিনে ১৩ জন ভোটারের বিপরীতে ৭ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র কিনে জমা দিয়েছেন। প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন শফিকুল ইসলাম, আব্বাস আলী, আখলাকুর রহমান আজাদ, জহুরুল ইসলাম, মহাবুল ইসলাম লাল্টু, মানিকুজ্জামান মানিক ও নুরুল ইসলাম। মাখালডাঙ্গা ইউনিয়নে কোনো ভোটার না থাকলেও সে এলাকা থেকে প্রার্থী হয়েছেন ৫ জন। বাকি একজন নেহালপুর ইউনিয়নে এবং একজনের বাড়ি বেগমপুর ইউনিয়নে। প্রশ্ন উঠেছে প্রতিজন প্রার্থীর একজন প্রস্তাবকারী এবং একজন সমর্থনকারীর দরকার। সে হিসেবে ভোটার সংখ্যা ১৩ জন, প্রার্থী সংখ্যা ৭ জন। তাহলে কে পায়নি একজন প্রস্তাবকারী অথবা সমর্থনকারী? আজ বুধবার যাচাই-বাছাই হলেই বোঝা যাবে কার ভাগ্যে জোটেনি একজন প্রস্তাব বা সমর্থনকারী। আগামী ২০ আগস্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ায় একজন ভোটার যাবেন হজে। এ টানাপোড়নের মধ্যে ইউপি চেয়ারম্যান ভোটদান থেকে নিজেকে বিরত রাখার আভাস দিয়েছেন। ফলে বাকি ১১টা ভোটের মধ্যে ৬ জন ভোটারকে টার্গেট করে প্রার্থীরা সারাক্ষণ ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। তবে স্থানীয় নির্বাচনে ভোটার না থাকা ইউনিয়নের লোকজন প্রার্থী হওয়ার না তা নিয়ে অনেকের মনে প্রশ্ন জেগেছে।
এদিকে এলাকায় গুঞ্জণ রয়েছে একজন ভোটারের মূল্য ২ লাখ টাকার ওপরে হাঁকানো হয়েছে। তাই খোশ মেজাজে আছেন ভোটাররা। অপরদিকে আবারও আইনি জটিলতা সৃষ্টি করে সঠিক সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া নিয়েও যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। এদিকে জেলা পরিষদের একজন মহিলা সদস্য বলেন, জেলা পরিষদের সদস্যদের সম্মানি ৩৫ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ২৫ হাজার টাকা করা হয়েছে। যদিও এখন পর্যন্ত সম্মানির টাকা হাতে পাননি। তার ওপর চড়া মূল্যে ভোট ম্যানেজ করে লাভ কী?