হলুদের বিষ্ময়কর বিভিন্ন গুন

 

মাথাভাঙ্গা অনলাইন :

মানবজাতি আড়াই হাজার বছরের বেশি সময় ধরে হলুদ ব্যবহার করে আসছে। প্রথম দিকে রঙ হিসেবে একে কাজে লাগানো হতো। ধীরে ধীরে তার প্রবেশ ঘটে খাদ্যতালিকায়। পাশাপাশি ঔষধি হিসেবেও এর যথেষ্ট নামডাক রয়েছে। সব মিলিয়ে দৈনন্দিন জীবনে এর প্রয়োগ ব্যাপক। বহুবিধ ব্যবহারিক গুণের কারণে তাই বিশ্বের বেশির ভাগ দেশের প্রয়োজনীয় মসলা হলুদ

 

ভিটামিন ‘বি৬’ আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ, পটাশিয়াম ও ফাইবারের চমত্কার উত্স হলুদ। তরকারিতে রাখুন হলুদ। এর উপস্থিতিতে রান্না করা খাবার জীবাণুমুক্ত হয়। বেড়ে যায় হজম ক্ষমতা।

হলুদে লিপোপোলাইস্যাকারাইড নামে এক ধরনের পদার্থ রয়েছে, যা রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।

অ্যান্টিবায়োটিক ও অ্যান্টিসেপটিক হিসেবে কাজ করে। মুখ জ্বালাপোড়া করছে? তাহলে গরম পানিতে হলুদ মিশিয়ে কুলিকুচি করতে পারেন। শরীরের কোনো অংশ পুড়ে গেলে পানির সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে লাগিয়ে নিন। আর কাটা-ছেঁড়ায়ও ব্যবহার করতে পারেন হলুদ।

বিষণ্নতা কমিয়ে দেয়। এ কারণে বহুকাল আগ থেকেই চীনারা হলুদের ভেষজ চিকিত্সা করে চলেছে। মানসিক চাপ কমাতে কিংবা দুর্বলতা দূরে রাখতে অথবা জ্বরের প্রকোপ কমাতে দুধের সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে খেতে পারেন।

লিভার থেকে বিষাক্ত উপাদান সরিয়ে ফেলে এবং রক্ত চলাচল ভালো রাখে হলুদ। জন্ডিস কমাতেও কাজে লাগে।

শৈশবের লিউকোমিয়া প্রতিরোধ করে এ মসলা। তাছাড়া অ্যালঝেইমার প্রতিরোধক হিসেবেও কাজ করে।

কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। গবেষণায় প্রমাণিত, আমরা খাবারে যে পরিমাণ হলুদ নিই, তাতেই ক্ষতিকর কোলেস্টেরল দূর হয়; যা অনেক ধরনের কার্ডিওভাসকুলার রোগ সারিয়ে দেয়।

নিয়ন্ত্রণে রাখে ডায়াবেটিস। রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমিয়ে ইনসুলিনের লেভেল ঠিক রাখতে সহায়তা করে হলুদ।

এটি ক্যান্সার সেলের বৃদ্ধি রোধ করে। প্রস্টেট, কোলন, ব্রেস্ট প্রভৃতি ক্যান্সারে উপকারী। হলুদ দিয়ে রেঁধে ফেলুন ফুলকপি; গ্লান্ড ক্যান্সার দূরে রইবে।

হলুদ খাওয়ার সময় যকৃত্ থেকে এক ধরনের পাচক রস স্বচ্ছন্দ গতিতে নিঃসৃত হয়, যা ওজন স্বাভাবিক রাখে।

ত্বকের জন্য ভীষণ উপকারী। এ মসলায় কারকিউমিনের উপস্থিতি রয়েছে। এ উপাদান সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির ফলে তৈরি ফ্রি র্যাডিকেল ধ্বংস করে। তাছাড়া ফরসা হতে অনেকেই হলুদের সঙ্গে চন্দন মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করে থাকেন। এছাড়া কাঁচা হলুদ বেটে শরীরে লাগাতে পারেন।

আয়ুর্বেদিক শাস্ত্রমতে, এটি রক্ত শুদ্ধ করে। তাই গুঁড়ো কিংবা ট্যাবলেট আকারে খেতে পারেন হলুদ। তবে হূদরোগীদের কম খাওয়া উচিত।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *