হরিণাকুণ্ডু থেকে আম ব্যাগিং পদ্ধতিতে রফতানি হচ্ছে বিদেশে

 

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলা খাদ্যে উদ্বৃত উপজেলার খেতাব অর্জনের পর এবার ফলের রাজা আম বিদেশে রফতানি করে বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনের এক সোনালী ইতিহাস গড়তে যাচ্ছে। কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের সহায়তায় এ বছর হরিণাকুণ্ডু উপজেলার ব্যাগিং পদ্ধতিতে আম উৎপাদনে আগ্রহী চাষিদের তালিকা তৈরি করে তাদেরকে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। পরে বিদেশে আম রফতানিকারকদের সাথে চাষিদের চুক্তিবদ্ধ করতে সহায়তা করা হয়। চুক্তি মোতাবেক সুন্দর, আকর্ষণীয়, লাবন্যময় স্বাস্থ্যসম্মত কীটনাশক মুক্ত আম উৎপাদন নিশ্চিত করতে নিবিড় পরিচর্যা প্রদান অব্যাহত রাখা হয়।

ইতোমধ্যে চায়না থেকে মান সম্মত ব্যাগ প্রাপ্তি এবং পরানোর কৌশল চাষিদের জন্য সহজ লোভ্য করা হয়। এ সকল স্তর শেষে আম পাকার মরসুমের শুরুতে রফতানিকারদের সাথে বাগানে বসে চাষিরা আমের মূল্য নির্ধারণ করে। এবার তারা মরসুমে প্রথমে প্রাপ্ত হিম সাগর আম বাগান থেকে বিক্রয় মূল্য পাচ্ছে ৪০ টাকা এবং ব্যাগিং করা একই আম বিক্রি করছে ৮৫ টাকা কেজি। সাধারন আমের চেয়ে ব্যাগিং করা আম প্রতিটি ব্যাগ পরানোসহ আনুসঙ্গিক খাতে ১০ টাকা ব্যয় ধরলেও প্রতি কেজিতে অতিরিক্ত ৩৫ টাকা লভ্যাংশ ঘরে তুলছে আম চাষিগণ।

ঝিনাইদহ জেলায় প্রথম বিদেশে আম রফতানি করে বৈদেশিক উপার্জন করছে হরিণাকুণ্ডু উপজেলার মালিপাড়া গ্রামের চাষি শহিদুল ইসলাম বিপ্লব। তার মতো আরও কয়েকজন চাষি এ বছর পরীক্ষা মূলক ভাবে ব্যাগিং পদ্ধতি অবলম্বলন করে আম চাষে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছে। এসকল চাষিদের প্রাথমিক সাফল্য দেখে আগামী মরসুমে অনেক সাধারণ আম বাগানের মালিক ব্যাগিং করে আম চাষের প্রত্যয় ব্যক্ত করছে। উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের বিশিষ্ট আম চাষী বদর উদ্দীন মোল্লা তার ২ একর বিশিষ্ট সমগ্র বাগানটি আগামী মরসুমে ব্যাগিং পদ্ধতি অবলম্বন করার কথা জানান। পাশাপাশি অনেক পতিত জমির মালিকগন পড়ে থাকা জায়গায় আম বাগান করে নিজের ও দেশের ভাগ্য বদলাতে অবদান রাখবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।