হরতাল বেড়ে টানা ৮৪ ঘণ্টা : রাজধানীতে ভাঙচুর ককটেল বিস্ফোরণ অগ্নিসংযোগ

চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুরসহ সারাদেশেই ১৮ দলের বিক্ষোভ : পাল্টা মিছিল আওয়ামী লীগের

স্টাফ রিপোর্টার: নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধয়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে ৭২ ঘণ্টা হরতাল আহ্বানের পর বিএনপির শীর্ষ নেতাদের গ্রেফতারের প্রতিবাদে হরতাল আরো ১২ ঘণ্টা বাড়িয়ে টানা ৮৪ ঘণ্টা করা হয়েছে। সারাদেশেই বিরোধীদলীয় নেতাকর্মী ধরপাকড় শুরু হয়েছে। মেহেরপুরের গাংনী পুলিশ গ্রেফতার অভিযানে নামলেও গতরাতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গার তেমন কাউকে গ্রেফতার করার খবর পাওয়া যায়নি।

আজ রোববার থেকে টানা ৮৪ ঘণ্টা হরতালের সমর্থনে গতকাল শনিবার সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তবে এসব ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। দুপুরের পর থেকে বিক্ষিপ্তভাবে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় নগরীতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ কয়েকজনকে আটক করে। এদিকে চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরে বিএনপিসহ ১৮ দলীয় জোট নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করেছে। চুয়াডাঙ্গা বিএনপির একাংশ এ দুজন মনোনয়ন প্রত্যাশীর মিছিল প্রায় একই সাথে বের হওয়ায় তার প্রভাব পড়ে শহরের সর্বসাধারণের মাঝে। পুলিশ বাধা হয়ে দাঁড়ালেও তা তোয়াক্কা না করে মিছিলকারীরা হরতালের সমর্থনে মিছিল করেছে। আজ সকাল থেকেই চুয়াডাঙ্গা মেহেরপুরসহ সারাদেশে জোরালো পিকেটিং করা হতে পারে। পুলিশেও বাড়তি প্রস্তুতি নিয়েছে। বিজিবিও প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে।

ঢাকা অফিস জানিয়েছে, গতকাল শনিবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে যাত্রাবাড়ীর কুতুবখালীতে একটি বিআরটিসি দোতলা বাসে অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে যাত্রাবাড়ী ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততোক্ষণে পুরোপুরি ভস্মীভূত হয় বাসটি। বিআরটিসির এ বাসটি নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকা আসছিলো। যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভারের পূর্বপ্রান্তে এলে দুর্বৃত্তরা বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে জানান যাত্রাবাড়ী থানার এসআই এমরানুল ইসলাম। তিনি বলেন, ফ্লাইওভারের ওঠার মুখে জ্যাম ছিলো। ওই জ্যামের মধ্যেই বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। কেন্দ্রীয় নেতাদের গ্রেফতারের প্রতিবাদে ও আগামী ৮৪ ঘণ্টার হরতালের সমর্থনে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা ও পৌর ১৮ দলীয় জোটের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য জেলা বিএনপি একাংশের সভাপতি মুহা. অহিদুল ইসলাম বিশ্বাসের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিলটি বিকেল ৪টায় কোর্টমোড় থেকে বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় কোর্টমোড়ে সমাবেশে মিলিত হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা পৌর ১৮ দলীয় জোটের আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম মনি। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপি একাংশের সভাপতি কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মুহা. অহিদুল ইসলাম বিশ্বাস। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি সদর উপজেলা ১৮ দলীয় জোটের আহ্বায়ক অ্যাড. এমএম শাহাজাহান মুকুল, জেলা বিএনপির সহসভাপতি আব্দুল হালিম হিরু, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হাসান ইমাম বকুল, যুগ্মসম্পাদক মাহমুদুল হক পল্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক রউফুন নাহার রীনা, দফতর সম্পাদক আবু আলা সামসুজ্জামান, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. হেদায়েত হোসেন আসলাম, জেলা জামায়াতে ইসলামীর শুরা সদস্য অ্যাড. আসাদুজ্জামান, জামায়াতে ইসলামী নেতা মফিজুর রহমান, সদর উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি অ্যাড. আব্দুল মজিদ মোল্লা, পৌর বিএনপির সহসভাপতি আওরঙ্গজেব বেল্টু, সাধারণ সম্পাদক হাবিবুল্লা ছটি,  পৌর জামায়াতে ইসলামীর সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মাসুদ পারভেজ রাসেল, সদর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হাজি আব্দুল খালেক, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক খালিদ মাহমুদ লিটন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক হাজি আব্দুল মান্নান, জেলা ওলামাদলের আহ্বায়ক মাও. আনোয়ার হোসেন, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব সাইফুর রশিদ ঝণ্টু, জেলা ছাত্রদলের যুগ্মআহ্বায়ক শাহাজাহান খান, তানভির আহমেদ রাজিব, ইসলামী ছাত্রশিবিরের জেলা সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম, জেলা তরুণদলের আহ্বায়ক মাবুদ সরকার প্রখুম।

গতকাল শনিবার সকাল ১১টার দিকে কোর্ট মোড়স্থ জেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয় থেকে হরতাল সমর্থনে জেলা বিএনপির অর্থ বিষয়ক সম্পাদক চুয়াডাঙ্গা সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী মো. জাহাঙ্গীর আলমের উদ্যোগে ও জেলা জাতীয়তাবাদী সংগ্রাম কমিটির সদস্য সচিব জেলা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি মো. আবু বক্কর সিদ্দিক বকুলের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। চুয়াডাঙ্গা চৌরাস্তা মোড়ে মিছিলটি পুলিশি বাধায় পড়লেও বাধা অতিক্রম করে চুয়াডাঙ্গা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হবি, জেলা বিএনপির সহসভাপতি আইনুর হোসেন পচা, জেলা বিএনপির সহসভাপতি আরশেদ আলী কালু, জেলা মৎস্যজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক ওহিদুল ইসলাম ওহিদ, কৃষকদলের সভাপতি হামিদুল হক নেতাজি প্রমুখ।

সরোজগঞ্জ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, চুয়াডাঙ্গার সরোজগঞ্জ হরতালরিরোধী মিছিল ও সমাবেশ করেছে যুবলীগ ও ছাত্রলীগ। গতকাল শনিবার বিকেল ৪টার দিকে সরোজগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ থেকে মিছিলটি বের হয়। মিছিলে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সহস্রাধিক নেতাকর্মী অংশ নেন। সরোজগঞ্জ বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সরোজগঞ্জ ধানের হাটে গিয়ে সমাবেশ করে নেতা-কর্মীরা সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সদর থানা যুবলীগের যুগ্মআহ্বায়ক নিলুয়ার হোসেন, সদর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি জুয়েল রানা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলী আহাম্মদ হাসানুজ্জামান মানিক, সহসভাপতি আশিকুর রহমান আশিক, কেন্দ্র ছাত্রলীগের উপবিশ্ববিদ্যালয় বিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মুন্না, থানা ছাত্রলীগের যুগ্মসম্পাদক শঙ্কর কুমার শর্মা, সাবেক ক্রীড়াসম্পাদক আজিজুল হক টুটুল, জাহিদুল, জাকির, জিল্লু, সবুর, শাহাবুল, মেহেদি, আক্তার, সুজন কুদ্দুস, গুরু মানিক, রুবেল, মসনাথ, জব্বার, মোমিন, ছোট জুয়েল, মেফুজ, ছোট মানিক প্রমুখ।

দামুড়হুদা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, দেশব্যাপি ৮৪ ঘণ্টার আহূত হরতাল সফল করার লক্ষ্যে দামুড়হুদায় ১৮ দলীয় জোটের নেতৃবৃন্দ বিক্ষোভ মিছিল করেছে। গতকাল শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বিক্ষোভ মিছিলটি ব্রিজমোড় থেকে শুরু হয়ে উপজেলা শহরের চৌরাস্তার মোড়ে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। ফলে ১৮ দলীয় জোট নেতৃবৃন্দ চৌরাস্তার মোড়েই সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ১৮ দলীয় সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক উপজেলা বিএনপির সভাপতি লিয়াকত আলী শাহ, থানা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল হাসান তনু, দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন জামায়াতের আমির প্রভাষক শরীফুল আলম মিল্টন। উপস্থিত ছিলেন জেলা যুবদলের যুগ্মআহ্বায়ক মোকারম হোসেন, উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি তোফাজ্জেল হোসেন, কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবুল কাশেম, সদর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আ. রহমান মালিথা, হাইলী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ আলী শাহ মিন্টু, সহসভাপতি পিয়ার আলী, নতিপোতা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি কামরুজ্জামান টুনু, কুড়ুলগাছি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আতিয়ার রহমান, হাউলী ইউনিয়ন জামায়াতের আমির নজরুল ইসলাম, সভাপতি আ. ওয়াহেদ, উপজেলা ওলামা দলের সভাপতি ইউনুচ আলী মোল্লা, বিএনপি নেতা একরামুল মেম্বার, ইসমাইল হোসেন, শামসুল মেম্বার, আলেফ খা, জামায়াত নেতা আবুল বাসার, যুবদল নেতা আ. রহিম, মন্টু মিয়া, শামসুল, তোতাম, স্বজল, ছাত্রদল নেতা ফিরোজ হাসান মন্টু, মাহফুজুর রহমান মিল্টন, আরিফুল ইসলাম আরিফ, ইমতিয়াজ হোসেন, তাজ আলম, শাকিল, তোতা, সাজু, আরিফ, দেলোয়ার, নুর সালাম, মানিক, বাবু, প্রমুখ বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেয়।

দামুড়হুদা প্রতিনিধি আরও জানিয়েছেন, গতকাল শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ১৮ দলীয় জোটের ডাকা হরতালের প্রতিবাদে দামুড়হুদায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ হরতালবিরোধী বিক্ষোভ মিছিল করেছে। বিক্ষোভ মিছিলটি বাসস্ট্যান্ড থেকে শুরু হয় এবং উপজেলা শহরের চৌরাস্তার মোড় পার হয়ে রাজধানী গার্মেন্টেসের সামনে পৌঁছুলে মিছিলের সামনে কে বা কারা একটি ককটেল জাতিয় বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। বোমাটি বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। বোমাটি বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হওয়ার সাথে সাথে ওই এলাকার দোকানগুলো তড়িঘড়ি বন্ধ হয়ে যায়। এ ঘটনা পর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পুনরায় সংগঠিত হয়ে হাতে লাঠি নিয়ে আবারো মিছিল শুরু করে। দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল আলম ঝন্টু, সদর ইউনিয়ন আ.লীগের যুগ্মসম্পাদক ইমতিয়াজ হোসেন, উপজেলা যুবলীগ নেতা অ্যাড. আবু তালেব, হযরত আলী, ছোট হযরত আ.লীগ নেতা আ. মালেক, জনাব আলী, মতি, যুবলীগ নেতা শরিফুল, আজিবার, হাবিব, জাহিদুল মেম্বার, ছোট ভুট্টু, রকিবুল, পিন্টু, ডলার, মালেক, ওসমান, আতিয়ার, সোহেল, খালেক, শামিম, মিনারুল, শান্তি, আরিফুল, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জামিরুল ইসলাম, সহসভাপতি মোছা করিম, দামুড়হুদা কলেজ ছাত্রলীগের আহ্বায়ক শাহিন মোল্লা, আব্দুল করিম প্রমুখ বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেয়। মিছিল শেষে উপজেলা পরিষদের গেটের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা আওয়ামী লীগের শান্তিপূর্ণ মিছিলে যারা বোমা হামলা চালিয়েছে তাদেরকে অবিলম্বে চিহ্নিত করে গ্রেফতার করতে পুলিশ প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানান।

এ বিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি আহসান হাবীব (পিপিএম) জানান, এ সংক্রান্তে দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন আ.লীগের যুগ্মসম্পাদক ইমতিয়াজ হোসেন একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে ঘটনাস্থল থেকে কিছু কাগজের টুকরা ছাড়া তেমন কোনো আলামত পাওয়া যায়নি এবং এ এঘটনায় কেউ হতাহতও হয়নি।

দামুড়হুদা অফিস জানিয়েছে, দামুড়হুদায় ১৮ দলীয় জোটের আহ্বানে ৮৪ ঘণ্টা হরতালের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেল ৪টায় ব্রিজরোডের আড়ৎপট্টি থেকে ১৮ দলের সংগ্রাম কমিটির উপজেলা আহ্বায়ক লিয়াকত আল শাহ’র নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিলটি উপজেলা চৌরাস্তা মোড়ে শেষ হয়। মিছিল শেষে বক্তব্য রাখেন দামুড়হুদা উপজেলা ১৮ দলীয় সংগ্রাম কমিটির লিয়াকত আলী শাহ্, সংগ্রাম কমিটির যুগ্মআহ্বায়ক আবুল কাশেম, তোফাজ্জেল হোসেন, উপজেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মোকাররম হোসেন, সেক্রেটারি রফিকুল হাসান তনু, নতিপোতা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি কামরুজ্জামান টুনু, হাউলী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ শাহ মিন্টু, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর দামুড়হুদা উপজেলা আমির নায়েব আলী, সেক্রেটারি মাও. আব্দুল গফুর, দামুড়হুদা ইউনিয়ন আমির চেয়ারম্যান শরিফুল আলম মিল্টন, সেক্রেটারি মনিরুল আলম মুকুল, হাউলী ইউনিয়ন আমির নজরুল ইসলাম, সাবেক থানা আমির মাও. আব্দুস সাত্তার, দামুড়হুদা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুর রহমান মালিতা, সাবেক ইউনিয়ন বিএনপির সেক্রেটারি একরামুল হক, একরামুল মেম্বার, সামছুল, আব্দুল গনি, তোতাম, ফিরোজ হাসান মন্টু, ইমান আলী, মিল্টন, আরিফ, ফরহাদ, জনি, সবুজ, রানা, মঞ্জু প্রমুখ। বক্তারা বলেন, দেশের শীর্ষ নেতাদের আটক রেখে পাতানো নির্বাচন করতে দেয়া হবে না। যেকোনো মূল্যে ষড়যন্ত্রমূলক নির্বাচন প্রতিহত করা হবে। সেই সাথে বিএনপি কেন্দ্র নেতাদের গ্রেফতারের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানানো হয়।

মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, এমকে আনোয়ার, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুল আওয়াল মিন্টু ও চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের মুক্তি ও বাড়িতে বাড়িতে পুলিশি তল্লাশী এবং ৮৪ ঘণ্টা হরতালের সমর্থনে সাবেক এমপি বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মাসুদ অরুনের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল করেছে সদর উপজেলা বিএনপি। বারাদীবাজার প্রাঙ্গণে মিছিলপূর্ব পথসভায় সভাপতিত্ব করেন আরজুল্লাহ মাস্টার বাবলু। প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাসুদ অরুন বলেন, সরকারের বিদায় ঘণ্টা বেজে গেছে। নির্যাতন, নিপীড়ন, গ্রেফতার করেও শেষ রক্ষা হবে না। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্মসম্পাদক মাহাবুবুর রহমান, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, বিএনপি নেতা অলি মোহাম্মদ, হাজি ফজলু খান, আবুল হাসেম, আলিহিম মেম্বার, শাহান আলী প্রমুখ। হরতাল সমর্থনে এর আগে সকালে মাসুদ অরুনের নেতৃত্বে বিএনপি ও অংগ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ শহরে গণসংযোগ করে।

মেহেরপুর অফিস আরও জানিয়েছে, হরতালের সমর্থনে গতকাল শনিবার বিকেলে মেহেরপুর জেলা বিএনপি শহরে মিছিল করেছে। মেহেরপুর জেলা বিএনপি যুগ্মআহ্বায়ক আনছার-উল হকের নেতৃত্বে দলের শাহাজীপাড়াস্থ কার্যালয় থেকে বের হয়ে বড়বাজার এলাকা প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়। এর আগে এক সমাবেশে আনছার-উল হক বলেন, হত্যা, নির্যাতন ও গ্রেফতার করে আন্দোনল ঠেকানো যাবে না। সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা আনোয়ারুল হক কালু, অ্যাড. মোখলেছুরর রহমান স্বপন, জেলা য্বুদলের আহ্বায়ক জহুরুল ইসলাম বড়বাবু, যুগ্মআহ্বায়ক প্রভাষক ফয়েজ আহমেদ, সদর থানা যুবদলের সভাপতি হাসিবুজ্জামান স্বপন, পৌর যুবদলের সহসভাপতি আনিসুর রহমান লাবলু, যুগ্মসম্পাদক সামছুল আযম লিন্টু, জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি আলমগীর ইকবাল আলম, জেলা তৃণমূল দলের সভাপতি ওমর ফারুক লিটন, তারেক পরিষদের আহ্বায়ক রাশেকুল ইসলাম, যুবদল একরামূল হক একা, ইমন বিশ্বাস, কামরুজ্জামান পলাশ, ছাত্রনেতা হাসানুজ্জামান বিট্টু, রনি, জনি, সানি প্রমুখ।

গাংনী প্রতিনিধি জানিয়েছেন, হরতাল বর্জনের আহ্বান জানিয়েছে মেহেরপুর গাংনী শহরে হরতালবিরোধী লাঠি মিছিল করেছে আওয়ামী লীগ। গতকাল শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেকের নেতৃত্বে মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। বাসস্ট্যান্ডে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্যদিয়ে তা শেষ হয়। বিএনপি-জামায়াত ও হরতালবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেয় নেতাকর্মীরা। হরতালে দোকানপাট খোলা রাখা ও যানবাহন চালানোর আহ্বান জানানো হয়। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, আশরাফুল আলম চেবি, উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি ফজলুল হক, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সানোয়ার হোসেন বাবলু, যুবলীগ নেতা ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নবীর উদ্দীন, আওয়ামী লীগ নেতা ইউপি মেম্বার ওসমান গনি, আব্দুল হামিদ, কাথুলী ইউপি আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক, জাকির হোসেন বাচ্চু, পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি খোরশেদ আলম, সাধারণ সম্পাদক পল্টু, আল হামদু, আব্দুল কুদ্দুস, বাবু ও কবিরসহ নেতৃবৃন্দ।

জীবননগর ব্যুরো জানিয়েছে, গতকাল শনিবার জীবননগর পৌর বিএনপি বিক্ষোভ মিছিল করে। বিকেলে উপজেলা শহরের আখ সেন্টারের সামনে অবস্থিত পৌর বিএনপির অফিস থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। পৌর ও উপজেলা বিএনপির ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পৌর বিএনপি সভাপতি শাহজাহান কবীর ও সাধারণ সম্পাদক মাহতাব উদ্দিনের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিলটি শহর প্রদক্ষিণ করে। মিছিলে উপরোক্ত নেতৃবৃন্দ ছাড়াও অংশগ্রহণ করেন উপজেলা বিএনপির একাংশ বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবু হাসান, সাবেক পৌর চেয়ারম্যান আশরাফুল হক, বিএনপি নেতা সাবদার রহমান, পৌর ওয়ার্ড বিএনপি নেতা কাউন্সিলর নূর নবী শাহ্, আহাম্মদ আলী, রবি সর্দ্দার, রবিউল ইসলাম রবু, আমিনুল ইসলাম, ছানোয়ার হোসেন, কিনারউদ্দিন, নজরুল ইসলাম, ইউনিয়ন বিএনপি নেতা বদরউদ্দিন বাদল, হাফিজুর রহমান, আতিয়ার রহমান বদি, ডালিম, টোকন, শামীম, শ্রমিক নেতা আব্দুস সামাদ, আশাবুল হক, যুবদল নেতা মনির, হামিদ, বকুল, আজমত, ইছাহাক এবং ছাত্রদল নেতাদের মধ্যে শামীম, ইকরামুল মিঠু, খোকন, জুয়েল, জাহিদ, রাসেল, মানিক, সাইদুর, প্রমুখ।

আলমডাঙ্গা ব্যরো জানিয়েছে, গতকাল শনিবার বিকেলে আলমডাঙ্গার হারদী ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও হরতালকে বেগবান করার লক্ষ্যে মতবিনিময়সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মহিনুল ইসলাম। প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি হাজী ইফতেখারুজ্জামান খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক হামজান মালিথা, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্মআহ্বায়ক বাকী বিল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল ইসলাম, সিদ্দিকুর রহমান, সহসভাপতি আব্দুল মান্নান, সাধারণ সম্পাদক জমির ইদ্দন, আব্দুল হান্নান, দপ্তর সম্পাদক আব্দুস সাততার, রাজা মিয়া, আজগর আলী, ডাবলু, সহসভাপতি আব্দুল লতিফ, মঙ্গল মিয়া, নজরুল ইসলাম, কুদ্দুস আলী, তাজদ্দিন আহমেদ ও আমির আলী। বক্তব্য রাখেন কল্যাণপার্টির সভাপতি আবুজেল, চাঁদ আলী, উপজেলা যুবদলের যুগ্মআহ্বায়ক নাসির উদ্দিন, জামায়াত সদস্য রবিউল ইসলাম, রিন্টু, মিল্টন আলী, আ. সাইদ, শহিদুল ইসলাম, জামাত আলী, আব্দুর রহমান, ডা. খাজা করিম, মনির হোসেন, আজাদ প্রমুখ।