স্বামী রেখে মোবাইলফোনে প্রেমালাপ : ঘর ছেড়ে চুয়াডাঙ্গা স্টেশনে কাজল : প্রেমিক লিজন বিয়েতে গররাজি হওয়ায় শেষ পর্যন্ত দুজনেই জেলহাজতে

 

স্টাফ রিপোর্টার: কিছুদিন চোখাচোখির পর মোবাইলোফোনে চুটিয়ে প্রেমালাপ। এরপর পরকীয়ার আহ্বানে ব্যাগ ব্যাগেজ গুছিয়ে ট্রেন ধরে চুয়াডাঙ্গা স্টেশনে এসে অপেক্ষা। পরকীয়া প্রেমিক-প্রেমিকার দেখা হলো ঠিকই। তাদের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের দৃশ্য দেখে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ দুজনের একজনকেও আর ছাড়লো না, দুজনকেই আটকে গতকাল বিকেলে আদালতে সোপর্দ করেছে।

প্রেমিকা কাজলের দাবি বিয়ে করতে হবে, প্রেমিক লিজন তাতে রাজি না হওয়ায় মূলত জেলহাজতের ভাত খেতে হচ্ছে দুজনকে। স্থানীয়রা এ তথ্য জানিয়ে বলেছে, পরশু রাতে ট্রেনযোগে চুয়াডাঙ্গা স্টেশনে পৌছান কামরুন নাহার কাজল। তিনি তার প্রেমিক লিজনের অপেক্ষার প্রহর গুনতে থাকেন। এক সময় দুজনের দেখা হয়। প্রথমে পাশাপাশি বসে দুজন গল্প জুড়ে দিলেও পরে উভয়ের মধ্যেই মতবিরোধ দেখা দেয়। এক পর্যায়ে পুলিশে খবর পৌঁছায়। দুজনকেই আটক করে থানায় নেয়া হয়।

কাজল তার পরিচয় দিতে গিয়ে বলে, বাপের বাড়ি রাজশাহীর বাগবাড়ির বাসুপাড়ায়। স্বামী পুলিশ সদস্য। কিছুদিন মেহেরপুরে চাকরি করেছে। ওই সময় মেহেরপুর স্টেডিয়ামপাড়ার জাহান আলীর ছেলে সামিউল ইসলাম লিজনের সাথে পরিচয় হয়। পরে স্বামী বদলির আদেশ নিয়ে মেহেরপুর ছাড়লে আমি ফিরি বাপের বাড়ি। লিজনের সাথে দেড় বছর ধরে মোবাইলফোনে যোগাযোগ। ওর কথা মতোই তো বাড়ি থেকে বের হয়ে এসেছি। এখন বিয়ে করছে না। অপরদিকে লিজন বলেছে, বিয়ের তো কথা হয়নি। কথা ছিলো দেখা হবে। দেখা করতে এসেছি। এখন বিয়ে করতে বলছে বলেই তো আমাদের আর বনছে না।

দুজনের কথায় পুলিশ পড়ে ধন্ধে। শেষ পর্যন্ত পুলিশ দুজনকেই কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে গতকাল আদালতে সোপর্দ করে। আদালত জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দেন।