স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সালিস : অভিযুক্ত শিক্ষক সাময়িক বরখাস্ত

কুষ্টিয়া গোস্বামী দুর্গাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আনিসুজ্জামানের বিরুদ্ধে ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগ

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: কুষ্টিয়ার গোস্বামী দুর্গাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গণিত শিক্ষক আনিসুজ্জামানের বিরুদ্ধে ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগ তুলে তাকে স্কুল থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে পরীক্ষার প্রশ্ন বলে দেয়ার কথা বলে বাড়িতে যেতে বলে। ওই ছাত্রী বাড়িতে গেলে শিক্ষক তাকে ধর্ষণ করে। গতকাল ওই ছাত্রীর শারিরীক পরিবর্তন দেখে তার পিতা-মাতা তাকে জিজ্ঞাসা করলে সে তার স্কুলের শিক্ষক আনিসুজ্জামান তাকে বেশ কয়েকদিন ধর্ষণ করেছে বলে জানায়।

কুষ্টিয়ার ইবি থানাধীন গোস্বামী দুর্গাপুর গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে আনিসুজ্জামান দুর্গাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গণিত শিক্ষক। তার কাছে প্রাইভেট পড়ে বিদ্যালয়েরই মাজু গ্রামের এক ছাত্রী। গত ৪ মাস আগে ১ম সাময়িকী পরীক্ষার সময় বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ওই ছাত্রীকে পরীক্ষার প্রশ্ন বলে দেয়ার কথা বলে বাড়িতে ডাকে। বাড়িতে কোনো লোকজন না থাকায় শিক্ষক আনিসুজ্জামান ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। প্রায় ৩/৪ মাস অতিবাহিত হলে ওই ছাত্রীর শারিরীক পরিবর্তন আসতে থাকে। নজরে পড়ে তার পিতা-মাতার। ছাত্রীর মা তাকে জিজ্ঞাসা করলে সে জানায়, আনিসুজ্জামান স্যার তাকে বেশ কয়েকদিন ধর্ষণ করেছেন। গতকাল ওই ছাত্রীর পিতা স্কুল ম্যানেজিং কমিটিকে জানালে গতকাল বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়মাঠে সালিসের আয়োজন করে। ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রী উপস্থিত জনতার সামনে ঘটনা খুলে বলতে বলে। সে জানায়, ১ম সাময়িক পরীক্ষার সময় তার প্রাইভেট শিক্ষক আনিসুজ্জামান প্রশ্ন বলে দেবে বলে তাকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে ধর্ষণ করেন। এরপরও কয়েকদিন ওই শিক্ষক তাকে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ তোলে।  এ সময় উপস্থিত ম্যানেজিং কমিটি ও গ্রামবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে ওই ধর্ষক শিক্ষককে মারধর করার চেষ্টা করে।

গতকাল সারাদিন দুর্গাপুর স্কুলমাঠ ছিলো লোকে ভরপুর। জনগণকে শান্ত করার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে ওই অভিযুক্ত শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয়। এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এহসানুল হক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হাজি সেলিনুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে জানান, স্কুলছাত্রীর অভিযোগে শিক্ষক আনিসুজ্জামানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ওই শিক্ষক কলেজে পড়ার সময় আলমডাঙ্গার এক সাবেক প্রধান শিক্ষকের মেয়ের সাথেও অনৈতিক কার্যকলাপ করেছিলো বলে বিদ্যালয়ের শিক্ষকমণ্ডলি জানায়। ওই মেয়েকে বিয়ে না করায় সে আত্বহত্যা করেছিলো।