স্কুলছাত্রীকে উত্ত্যক্তকারী কেইউপি দাখিল বালিকা মাদরাসাসুপার সাময়িক বরখাস্ত

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: ৫ম শ্রেণির ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে আলমডাঙ্গার কেইউপি মাদরাসাসুপার নুর মোহাম্মদ কালুকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গতকাল সোমবার গ্রামবাসী ও মাদরাসা ম্যানেজিং কমিটির যৌথসভায় মাদরাসার সুনাম ও ভাবমুর্তি ক্ষুণ্ণ করার অভিযোগে তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।

জানা গেছে, আলমডাঙ্গার কেইউপি দাখিল মাদরাসাসুপার শেখপাড়ার মওলা বক্সের ছেলে নূর মোহাম্মদ কালু। তিনি বর্তমানে আলমডাঙ্গা শহরের গোবিন্দপুর এলাকায় বসবাস করেন। ওই এলাকায় তিনি ইংলিশ অ্যান্ড অ্যারাবিক মিডিয়াম স্কুল নামে নতুন করে একটি কিন্ডারগার্টেন খুলেছেন। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় তিনি শহরের ব্যস্ততম স্থান আলিফ উদ্দীন মোড়ে উপস্থিত ছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শিরা জানিয়েছেন, ওই সময় গোবিন্দপুর এলাকার কয়েক যুবক তাকে স্কুলছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ তুলে বেদম পেটায়। ঘটনাটি শহরে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে।

পরদিন ওই ঘটনাটি দৈনিক মাথাভাঙ্গাসহ বেশ কয়েকটি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। পত্রিকা পড়ে কাঠাভাঙ্গা, উদয়পুর, পোলতাডাঙ্গা গ্রামসহ বিভিন্ন গ্রামবাসী ওই ঘটনা জানতে  পারে। গতকাল কেইউপি দাখিল বালিকা মাদরাসায় সকাল ১০টা থেকে দুপুর পর্যন্ত মিটিং অনুষ্ঠিত হয়। মাদরাসা সভাপতি মজিবার রহমান, সদস্য ফজলুর রহমান, আমজাদ হোসেন, নজরুল ইসলাম, শিক্ষক প্রতিনিধি  তোফাজ্জেল হোসেন, মাহফুজা খাতুন, মোস্তাফিজুর রহমানসহ এলাকার মণ্ডল-মাতবরগণ উপস্থিত ছিলেন। সভায়  মাদরাসার ভাবমূর্তি ও সুনাম ক্ষুণ্ণ করার অভিযোগে সুপার নুর মোহাম্মদ কালুকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।

এদিকে, ওই ঘটনায় সুপারের বিরুদ্ধে নানা অপকীর্তির কাহিনি বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। বাড়াদী গ্রামের আলাউদ্দিনের আলমডাঙ্গা মাদরাসাপাড়ার বাড়িতে ভাড়া থাকতেন তিনি। মহিলাদের অভিযোগের ভিত্তিতে মালিক তাকে ওই বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এরপর শহরের মাছবাজারে ভাড়া থাকতেন তিনি। ছয় মাস আগে লাম্পট্যের অভিযোগে সেখান থেকে চলে আসতে হয় বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী।