সৌদিতে আরো ৬ হাজির মৃত্যু

মাথাভাঙ্গা অনলাইন : বাংলাদেশী আরো ছয় হাজি মৃত্যুবরণ করেছেন। এ নিয়ে সোমবার দুপুর পর্যন্ত সৌদিতে মৃত বাংলাদেশীর সংখ্যা দাঁড়ালো ৫১।

সর্বশেষ মারা যাওয়া বাংলাদেশীরা হলেন কুমিল্লা জেলার ব্রাক্ষ্মনপাড়া উপজেলার আছিয়া বেগম।তার পাসপোর্ট নং AF4282120G

তিনি রোববার মক্কার আল হেরা হাসপাতালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। আছিয়া বেগম এ বছর পবিত্র হজ পালনের উদ্দেশে আনাস ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরিজম নামে একটি এজেন্সির মাধ্যমে সৌদি আরব আসেন।

ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ উপজেলার মো. অলি বেপারি(৮৫),  তার পাসপোর্ট নং AF8962079।

তিনি গত বৃহস্প্রতিবার মক্কায় মারা যান। অলি বেপারি ১৯ সেপ্টেম্বর সৌদি এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে পবিত্র হজ পালনের উদ্দেশে সৌদি আরব আসেন।

আব্দুল মালেক খন্দকার(৬৩), পাসপোর্ট নং AF19404721।কুমিল্লা জেলার বড়ুরা উপজেলার আব্দুল মালেক রোববার মক্কায় ইন্তেকাল করেন। তিনি  বদপুর ট্রাভেলসের  মাধ্যমে হজ করার উদ্দেশ্যে গত ২৯ সেপ্টেম্বর সৌদি আরব আসেন।

চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার সালেহ আহমেদ ভুইয়া (৬৮) তার পাসপোর্ট নং AF5530639। সালেহ ভুইয়া এ বছর  তাকওয়া অতিথি ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলসের মাধ্যমে হজ পালনের উদ্দেশে ১০ সেপ্টেম্বর সৌদি আরব আসেন।

মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার আব্দুর রাজ্জাক মাতব্বর তার পাসপোর্ট নং AF6932991।তিনি মঙ্গলবার মক্কায় মারা যান। আব্দুর রাজ্জাক এ বছর  সাবিউল জান্নাত এয়ার ট্রাভেলসের মাধ্যমে হজ পালনের উদ্দেশে ২৯ সেপ্টেম্বর সৌদি আরব আসেন।

কুমিল্লা জেলার কোতোয়ালী উপজেলার মোহাম্মদ এছাক মিয়া(৫৩),  তার পাসপোর্ট নং AF2485679।  তিনি মঙ্গলবার মিনাতে মারা যান। এছাক মিয়া এ বছর  তানজিল এভিয়েশন সার্ভিসের মাধ্যমে হজ পালনের জন্য সৌদি আরব আসেন।

এ বছর হজ করতে এসে ৫১ জন বাংলাদেশীর মধ্যে ৩৯ জন মক্কায়, নয়জন মদীনায় ও  তিনজন জেদ্দায় মারা যান। এদের মধ্যে পুরুষ ৪৩ জন ও মহিলা আটজন।

ইতিমধ্যে হজের ফিরতি ফ্লাইট শুরু হয়ে গেছে। আর এই হজ ফ্লাইট নিয়ে যাত্রীদের দুর্ভোগের যেন অন্ত নেই।

ভুক্তভোগী হাজিরা জানান, রোববার সকাল ১১টায় জেদ্দা বিমানবন্দর থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তাদের দেশে ফেরার কথা ছিল। সে অনুযায়ী রাত ২টার সময় মক্কা হজ মিশন থেকে তাদের জেদ্দা এয়ারপোর্টের উদ্দেশে গাড়িতে নেয়া হয়। ভোর রাতে সেখানে পৌঁছানোর পর জানানো হয় যে, বাংলাদেশ থেকে এখনো বিমান না আসায় যথাসময়ে ফ্লাইট ছাড়বে না। পরে ওই ফ্লাইট শিডিউল ঘোষণা করা হয় রাত ৭টা ৪০ মিনিটে।

বিমান সিডিউলে বিপর্যয় হওয়ায় জেদ্দা বিমানবন্দরে হাজিরা অবস্থান করেছেন।