সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের জনসভা

স্টাফ রিপোর্টার: বৃহত্তর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন জেলা থেকেও আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা এ সমাবেশে যোগ দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বিএনপির নির্দলীয় সরকারের দাবির মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় সরকারের রূপরেখা দেন। এরপর গত সপ্তায় প্রধানমন্ত্রী টেলিফোন করে সংলাপের প্রস্তাব দিলে হরতালের পর সে আমন্ত্রণ গ্রহণ করতে রাজি থাকার কথা জানান তিনি।

সংলাপের আবহ সৃষ্টির পর তা এগিয়ে নেয়া নিয়ে দু রাজনীতিক দল পরস্পরকে উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানায়। এর মধ্যে দু পক্ষ নিজের অবস্থানে অটল থাকার কথা বললে সংলাপ নিয়ে এখন অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। সরকার সংলাপ চায় না অভিযোগ করে নির্দলীয় সরকারের দাবিতে সোমবার থেকে আবার টানা ৬০ ঘণ্টা হরতাল ডেকেছে ১৮ দল। ওই হরতাল শুরুর একদিন আগে জেল হত্যা দিবসে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের স্মৃতিবিজড়িত সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের সর্বশেষ প্রস্তুতি নিচ্ছে আওয়ামী লীগ। ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর ৩ নভেম্বর কারাবন্দি অবস্থায় হত্যা করা হয় তার চার সহচর, মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনাকারী নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এম মনসুর আলী ও এএইচএম কামরুজ্জামানকে। দিবসটি উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের আগে সকালে ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি এবং বনানী কবরস্থানে জাতীয় নেতাদের কবরে ফুল দেবে আওয়ামী লীগ। এছাড়া ভোর থেকে বঙ্গবন্ধু ভবন ও কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ দলের সব কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে।