সেই জাহাঙ্গীর এবার চাঁনপুর-পুরন্দপুর সড়কে ঘুরতে বেরিয়ে পিটুনির শিকার

স্টাফ রিপোর্টার: বয়স যাই হোক, ওটা আমার বিয়ে করা বউ। এ কথা বললেও বিশ্বাস না করে টাকা-পয়সা কেড়ে নিয়ে মারধর করে ছেড়েছে সেই জাহাঙ্গীর হোসেনকে। এই জাহাঙ্গীর হোসেন এক সময় সুমিরদিয়া বলাকাপড়ায় ভাড়ায় থাকতেন, সেখানে ভাড়ায় থাকাকালে গৃহপরিচারিকার শ্লীলতাহানিসহ নানা অভিযোগে অভিযুক্ত হন তিনি। গতকাল অবশ্য জাহাঙ্গীর হোসেনসহ তার সাথে থাকা তরুলতাকে থানায় নেয়া হয়। তরুলতা সত্যি সত্যিই বিয়ে করা বউ বলে জানালে পুলিশ প্রাথমিক প্রমাণ পেয়ে ছেড়ে দেয়।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের কুন্দিপুর-চাঁনপুর সড়কের মধ্যবর্তী স্থানে একদল যুবক অসমবয়সীদের ঘনিষ্ঠ হয়ে বসা দেখে প্রশ্ন তোলে। মোটরসাইকেলযোগে জাহাঙ্গীর সরে পড়তে গেলে সন্দেহ ঘনীভূত হয়। জাহাঙ্গীর তার সাথে থাকা যুবতীকে বিয়ে করা স্ত্রী বলে দাবি করলেও যুবকেরা তা না শুনে মারধর শুরু করে। এক পর্যায়ে খবর পৌঁছায় থানায়। সদর থানার একদল পুলিশ পুরন্দপুর সড়কের উদ্দেশে রওনা হয়। পুলিশ পৌছুনোর আগেই জাহাঙ্গীর ও তার সাথে থাকা যুবতী তরুলতাকে ছেড়ে দেয়া হয়। পুলিশ দুজনকে থানায় নেয়। দুজনই স্বামী-স্ত্রী বলে দাবি করে। পুলিশ প্রাথমিকভাবে প্রমাণপত্র পরীক্ষা করে ছেড়ে দেয়ার সাথে সাথে পুরন্দপুর-চাঁনপুর সড়কের ওই যুবকদের বিরুদ্ধে মামলার আহ্বান জানায়। এ আহ্বানে অবশ্য জাহাঙ্গীর সাড়া না দিয়ে বাড়ি ফেরেন বলে জানিয়েছেন তার সাথে থাকা কয়েকজন।

স্থানীয়রা জানিয়েছে, গ্লুকোজসহ বিভিন্ন কেমিক্যাল জাতীয় মালামাল প্যাকেটজাত করে বাজারে বিক্রি করে এই জাহাঙ্গীর। নকল নাকি আসল কেমিক্যাল প্যাকেটজাত করে তা অবশ্য এলাকাবাসীর কাছে স্পষ্ট নয়। কিছুদিন আগে বলাকামোড়ের অদূরে ভাড়ায় বসবাস করাকালে জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে গৃহপরিচারিকার শ্লীলতাহানির অভিযোগ উত্থাপন হয়। এরপর জাহাঙ্গীর ওই মহল্লা ছেড়ে চুয়াডাঙ্গা এতিমখানাপাড়ায় ভাড়ায় বসবাস শুরু করে। গতকাল চুয়াডাঙ্গা ইসলামপাড়ার তরুলতাকে সাথে নিয়ে ঘুরতে বেরিয়ে বিপাকে পড়ে।