সুলতানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের বিরোধ তুঙ্গে : চাপা উত্তেজনা

দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদার সুলতানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের নিকট থেকে জোরপূর্বক টাকা নেয়ার অভিযোগে প্রধান শিক্ষক হারুন অর রশিদ জুয়েলসহ কর্তব্যরত ৩ শিক্ষক তাদের ডেপুটেশন বাতিলের আবেদন করেছেন। এ নিয়ে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকদের মাঝে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
জানা গেছে, দামুড়হুদা উপজেলার সুলতানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ২০১৪ সালে দায়িত্ব নেয়ার পর ৩ শিক্ষক নিয়ে বিদ্যালয়টি পরিচালনা করে আসছেন। ২০১৪ সালে বিদ্যুত সংযোগ বাবদ প্রধান শিক্ষক নিজ উদ্যোগে ঠিকাদার আসমান আলীর নিকট থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা সংগ্রহ করেন। ওই টাকার ওপর নজর পড়ে সভাপতি জুলফিকার আলীর। ওই টাকা কৌশলে হাতিয়ে নেয়ার জন্য প্রধান শিক্ষককে চাপ সৃষ্টি করলে অবশেষে রেজুলেশনের মাধ্যমে টাকা সভাপতির কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর থেকে সভাপতি বিভিন্নভাবে টাকা চাইতে থাকে প্রধান শিক্ষকের কাছে। প্রধান শিক্ষক টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সভাপতি বিভিন্ন অজুহাতে উপজেলা শিক্ষা কমিটির কাছে লিখিত অভিযোগ করেন প্রধান শিক্ষকের ডেপুটেশন বাতিলের জন্য। এ খবর পেয়ে সুলতানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হারুন অর রশিদ জুয়েল, সহকারী শিক্ষক নাজমুল হুদা ও সাইদুর রহমান ক্ষিপ্ত হয়ে ডেপুটেশন বাতিলের আবেদন করেন। প্রধান শিক্ষক হারুন অর রশিদ জুয়েল জানান, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা ভিত্তিহীন। আমার বিদ্যালয়ে ২০১৪ সালে সমাপনী পরীক্ষায় ৮২ ভাগ এবং ২০১৫ সালে ৮৩ ভাগ ছাত্রছাত্রী উত্তীর্ণ হয়েছে । এ ঘটনায় বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জুলফিকার আলী জানান ২ হাজার ৫০০ টাকা আমি নিয়েছি। সেটা আমার কাছে আছে। বিদ্যালয়ের অনান্য কাজে খরচ করা হবে।