সামনে পহেলা বোশেখ তাই মনগড়া ছুটি আলমডাঙ্গার ভেটেরিনারি ইনস্টিটিউটে

 

স্টাফ রিপোর্টার: খেয়াল খুশি মতো চলছে আলমডাঙ্গার ভেটেরিনারি ট্রেনিং ইনস্টিটিউট। পহেলা বোশেখের ছুটির সাথে বাড়তি দু দিনের ছুটি দিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। গতকাল বুধবার গিয়ে দেখা গেয় প্রতিষ্ঠানটি তালাবদ্ধ। তবে কোনো কর্মকর্তাকে পাওয়া না গেলেও কৌশল হিসেবে পতাকা টাঙিয়ে রাখা হয়েছে যথারীতি। দীর্ঘদিন ধরে সরকারি এ ভেটেরিনারিতে অনিয়ম বাসা বাঁধলেও দেখার যেন কেউই নেই।

অভিযোগকারীরা জানান, আলমডাঙ্গা উপজেলায় প্রতিষ্ঠিত ভেটেরিনারি ট্রেনিং ইনস্টিটিউট। এটি উপজেলা শহর থেকে ৭ কিলোমিটার দূরে মফস্বল এলাকায় কুমারী গ্রামে প্রতিষ্ঠিত। গ্রামীণ এলাকায় হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘদিন ধরে অনিয়মের মধ্যেই চলছে। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা চলেন খেয়াল খুশি মতো। কে কখন আসেন আর কে কখন চলে যান তা সাধারণ মানুষের বোঝার উপায় নেই। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ ডা. শিশির কুমার বিশ্বাস ১৫ দিনের ছুটি নেন। তার দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী অধ্যাপক রবিউল ইসলাম মনগড়াভাবে মঙ্গলবার চার দিনের ছুটি ঘোষণা করেন। ফলে ইনস্টিটিউটের ৩৭ জন আবাসিক শিক্ষার্থীসহ দূরের কর্মকতা-কর্শচারীরা ছুটিতে বাড়ি চলে যান। বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় এ প্রতিবেদক ওই ইনস্টিটিউটে গেলে দেখা যায় পতাকা টানানো থাকলেও প্রতিষ্ঠানটিতে তালা মারা। ১০টা ৪০ মিনিটে দেখা হয় অফিস সহকারী হামিদুল হকের সাথে। তিনি জানান, ‘ইনস্টিটিউট ৪ দিনের ছুটি চলছে। রোববার খুলবে।’ লুঙ্গি পরিহিত অবস্থায় দেখা হয় ল্যাবরেটরি অ্যাটেনডেন্ট মজনু হক ও পোল্ট্রি অ্যাটেনডেন্ট আমিনুল্লাহর সাথে। তারা বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমরা কিছু বলতে পারবো না। কর্তৃপক্ষ জানে।’ সাংবাদিক আসার খবর পেয়ে বেলা ১১টার দিকে তালাবদ্ধ ইনস্টিটিউটে আসেন প্রভাষক ডা. মাহাজাবিব নাহার। তিনিও কিছু না বলে এড়িয়ে যান এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন। মোবাইলফোনে কথা বলা হয় দায়িত্বপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সহকারী অধ্যাপক রবিউল ইসলামের সাথে। তিনি ছুটি দেয়ার প্রসঙ্গটা এড়িয়ে গিয়ে বলেন, ‘আমি আমার স্ত্রীর সাথে ডাক্তারের কাছে এসেছি।’ ছুটি দেয়ার প্রসঙ্গে বার বার জানতে চাইলে বলেন, ‘না ছুটি দেয়া হয়নি। পহেলা বোশেখ উপলক্ষে হয়তো ছাত্ররা গোপনে বাড়িতে চলে গেছে। আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো।’ এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আজাদ জাহান বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠানে মনগড়া ছুটি দেয়ার কোনো বিধান নেই। তারা কিভাবে ছুটি দিয়েছেন সেটা তাদের কর্তৃপক্ষ জানে। তবে আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করবো।’