সচেতন গ্রামবাসীর প্রতিরোধে ভেস্তে গেলো কাজ : ইউএনও’র হস্তক্ষেপ কামনা

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার মাখালডাঙ্গায় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নিম্নমানের ইট দিয়ে রাস্তা ফ্লাট সোলিংকরণ কাজের অভিযোগ উঠেছে। গত সোমবার সকাল ৯টার দিকে মাখালডাঙ্গা গ্রামে রাস্তা ফ্লাট সোলিংকরণ কাজের জন্য স্থানীয় ইউপি সদস্য আশরাফুল হক ঠাণ্ডু এবং একই গ্রামের মৃত গফুর মণ্ডলের ছেলে হাসান মণ্ডল বাগানপাড়ায় নিম্নমানের ইট দিয়ে কাজ শুরু সময় প্রতিরোধ করে ওই গ্রামের সচেতন জনসাধারণ। এছাড়া গতকাল মঙ্গলবার সকালে কাজে বাঁধা দিলে দেখে নেয়ার হুমকি দেন ইউপি সদস্য আশরাফুল হক ঠাণ্ডু এবং হাসান মণ্ডল।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়নের মাখালডাঙ্গা গ্রামে এলজিএসপি প্রকল্পে আওতায় বাগানপাড়ার হাফিজুলের বাড়ি থেকে আমজাদের দোকান পর্যন্ত ১৬৫ ফিট কাঁচা রাস্তা ফ্লাট সোলিংকরণ কাজের অনুমোদন করেন চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান। সে অনুযায়ী গত সোমবার সকালে ৩ নং ওয়ার্ডের সদস্য আশরাফুল হক ঠাণ্ডু এবং স্থানীয় মাতবর হাসান মণ্ডল গ্রামের বাগানপাড়ার রাস্তায় ইট দিয়ে কাজ শুরু করার প্রক্রিয়া শুরু করলে স্থানীয় জনসাধারণ প্রতিরোধ করে কাজ বন্ধ করে দেয়। এ সময় মেম্বার ও মাতবর জনসাধারণের সাথে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। গ্রামের লোকজনকে মেম্বার ও মাতবর জোরপূর্বক রাস্তার কাজ করবে এবং বাঁধা দিলে দেখে নেবে বলে হুমকি দেয়।
গ্রামবাসীরা জানান, সরকার দেশের উন্নয়নে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে থাকে। কিন্তু সেই টাকার সদ্ব্যবহার করেন না স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। ইউনিয়নে প্রতিবছর অনেক টাকার কাজের বরাদ্দ এলেও সর্ববোচ্চ ১০ ভাগ কাজ করে বাকি টাকা নিজ পকেটে ঢোকান স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা। গত সোমবার সকালে গ্রামের বাগানপাড়ায় ফ্লাট সোলিংকরণ কাজের জন্য নিম্নমানের ইট ব্যবহার করার সময় সচেতন লোকজন বাধা দিলে তাদের ওপর চড়াও হন ইউপি সদস্য আশরাফুল হক ঠাণ্ডু এবং একই গ্রামের মৃত গফুর মণ্ডলের ছেলে হাসান মণ্ডল এবং তারা কাজে বাঁধা দিলে দেখে নেয়ারও হুমকি দেন।
এ প্রসঙ্গে স্থানীয় ইউপি সদস্য আশরাফুল হক ঠাণ্ডু ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঘটনাটি সত্য। কিন্তু ওই কাজের জন্য আমাকে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে মাত্র ৫০ হাজার টাকা। ৫০ হাজার টাকার পুরো কাজ করলে লাভ থাকবে কী? এছাড়া চেয়ারম্যান যা স্থির করেছেন তাই আমাদের করতে হচ্ছে। বিষয়টি সম্পর্কে জানতে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহমানের সাথে মোবাইলফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ব্যস্ত আছেন বলে জানান। এমতাবস্থায় রাস্তার কাজে নিম্নমানের ইটের স্থলে ভালো মানের ইট ব্যবহারসহ বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী গ্রামবাসী।