লাইবেরিয়ায় জরুরি অবস্থা

 

মাথাভাঙ্গা মনিটর: প্রাণঘাতি ইবোলা ভাইরাসে আক্রান্ত লাইবেরিয়ায় জরুরি অবস্থা জারিকরেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট এলেন জনসব সারলিফ। টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে দেয়াএক ভাষণে তিনি বলেছেন, এ ঘাতক ব্যাধির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কিছুকিছু ক্ষেত্রে জনগণকে দেয়া স্বাধীনতা স্থগিত রাখতে হবে।

লাইবেরিয়ারপাশাপাশি গিনি,সিয়েরা লিওন ও নাইজেরিয়ায় ইবোলা ভাইরাস আঘাত হেনেছে এবংএতে এ পর্যন্ত অন্তত ৯৩০ ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে শুধুলাইবেরিয়ায় মারা গেছে ২৮২ জন। এ রোগের বিস্তার রোধ করার কার্যকর উপায় বেরকরার জন্য বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞরা জেনেভায় দু দিনব্যাপি বৈঠকচালিয়ে যাচ্ছেন। ইবোলার বিষয়ে বিশ্বব্যাপি স্বাস্থ্য খাতে জরুরি অবস্থাজারি করা প্রয়োজন কি-না তা খতিয়ে দেখা হবে এ বৈঠকে।
উল্লেখ্য,ইবোলাহচ্ছে ভাইরাসবাহিত একটি রক্তপ্রদাহজনিত জ্বর যা এরইমধ্যে মানব ইতিহাসেরঅন্যতম ঘাতকব্যাধি হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এতে আক্রান্তদের শতকরা ৯০ জনেরইমৃত্যু হচ্ছে। এ রোগে আক্রান্তদের সংস্পর্শে যাওয়া প্রায় প্রতিটি ব্যক্তিইআক্রান্ত হচ্ছে এ প্রাণঘাতি ব্যাধিতে। প্রেসিডেন্ট সারলিফ লাইবেরিয়ায় ৯০দিনের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বলেছেন,জনগণের জীবন রক্ষার জন্য সরকারেরপাশাপাশি প্রতিটি নাগরিককে আন্তরিকভাবে প্রচেষ্টা চালাতে হবে। তার মতে, অজ্ঞতা ও দারিদ্রের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় অনুশাসন না মানার কারণে এরোগ ছড়াচ্ছে। এ ব্যাপারে জনগণকে সচেতন হতে হবে।