রাস্তায় স্ত্রীকে নির্মম নির্যাতনের পর অপহরণের অপচেষ্টা!

অপহরণকারীদের আটকের পর থানায় দিলেও ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা তালতলার প্রিয়া খাতুনকে (২৭) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চাচাতো বোন মমতাজকে সাথে নিয়ে মোমিনপুর ইউপি চেয়ারম্যানের নিকট যাওয়ার পথে বোয়ালমারী বাসস্ট্যান্ডের অদূরে প্রিয়াকে তার স্বামী লিটনসহ স্বামীর লোকজন মারধর করে মুখ বেঁধে অপহরণের চেষ্টা চালায়। প্রিয়া এ অভিযোগ করে বলেছেন, ‘মুখ বেঁধে যখন চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের দিকে নিচ্ছিলো ওরা, তখন ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট ইউনুচ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে আমাকে উদ্ধার করেন। অপহরণকারীদের ধরে থানায় দেন। পরে থানা থেকে ওদের ছেড়ে দেয়া হয়। আমাকে আমার লোকজন হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করিয়েছে।’

ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে তালতলা কুঠিপাড়ার মৃত বরকত মাস্টারের মেয়ে প্রিয়া খাতুন বলেন, আনুমানিক ৭ বছর আগে মাছেরদাড়ির রমিজ উদ্দীনের ছেলে লিটন উদ্দীনের সাথে বিয়ে হয়। পিতার বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে ট্রাক কেনার জন্য লিটনের হাতে তুলে দিই। ১৫ লাখ টাকার স্ট্যাম্পও করি। পরে শুনি ট্রাক নিজ নামে কিনেছে। এ নিয়ে দাম্পত্য কলহ দানা বাধে। মারপিট শুরু করে। অগত্যা পিতার বাড়ি গিয়ে অবস্থান করি। শুনছি সে দ্বিতীয় বিয়ে করেছে। নির্যাতন ও যৌতুক মামলা করি। এ মামলার কথা শুনেই লিটন একের পর এক খুনের হুমকি দিতে শুরু করে। গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চাচাতো বোন মমতাজকে সাথে নিয়ে মোমিনপুর ইউপি চেয়ারম্যানের নিকট যাচ্ছিলাম। বোয়ালমারী বাসস্ট্যান্ডের নিকট পৌঁছুলে মোটরসাইকেলযোগে লিটনসহ তার লোকজন সেখানে পৌঁছায়। প্রকাশ্যে নির্যাতন করে। এতো করে মানুষের সহযোগিতা চাই। কেউ এগিয়ে আসেনি। তাদের সামনে থেকেই আমার মুখ বেঁধে অপহরণের চেষ্টা করে। ঘোড়ামারা ব্রিজের নিকট ট্রাফিক সার্জেন্ট আমার মুখ বাঁধা দেখে উদ্ধার করেন। আমি বিষয়টি জানালে লিটনসহ ওদেরকেও আটক করে সদর থানায় দেন।

প্রিয়া খাতুন আরো বলেন, থানায় লিখিত অভিযোগ করতে চাইলেও নেয়নি। শুনছি ওদের ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। পরে আমাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ বিষয়ে সার্জেন্ট ইউনুচের সাথে মোবাইলফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেছেন, এক মহিলাকে উদ্ধার করে তাকেসহ কয়েকজনকে থানায় দিয়েছি। পরে কী হয়েছে তা অবশ্য বলতে পারবো না। এ বিষয়ে সদর থানার ওসি তদন্ত বলেছেন, মহিলা কোনো অভিযোগ করেননি।