রাজধানীতে ৯ ভরি সোনাসহ ১২ ডাকাত আটক

মাথাভাঙ্গা অনলাইন : রাজধানীর শেওড়াপাড়া থেকে ১২ ডাকাতকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ সময় তাদের কাছে থেকে ৯ ভরি সোনা ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন সূত্রে এ তথ্য জানানো হয়।
আটকরা হলেন- লিয়াকত (৪২), আব্দুল মতিন (৫০), ওসমান আলী (৪৯), এমরামুল হক (২৮), মোতাহার ওরফে মোতা (২৮), হাকিম মোল্লা (৩৩), রোকন মিয়া (৪৫), ফজলুর রহমান (২৮), নয়ন মিয়া (২৮), সুমন মোল্লা (৩৩), আব্দুল শহীদ (৩৮) ও এবাদুল্লা (৪০)।
ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান  জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর তারা ডাকাতির সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছে।
তিনি আরো জানান, ডাকাত দলটি অনেকদিন ধরে মিরপুর ও তেজগাঁয়ের বিভিন্ন বাসা- বাড়িতে ডাকাতি করে আসছিল। তারা বাড়ির গ্রিল কেটে ডাকাতি করতো। সোমবারও তারা ডাকাতি করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ ঘটনায় কাফরুল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পাশাপাশি মিরপুর ও তেজগাঁও এলাকায় ইতোপূর্বে সংঘটিত কোনো ডাকাতির সঙ্গে তাদের সম্প‍ৃক্ততা আছে কিনা সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
ডাকাতি করার কৌশল সম্পর্কে মাসুদুর রহমান জানান, ডাকাতদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় ডাকাতির সময় তারা কখনো সাধারণ বেশে, কখনো জাঙ্গিয়া পরে, লুঙ্গি মালকোচা দিয়ে, লুঙ্গির ওপরে হাফপ্যান্ট পরে ক্ষেত্র বিশেষে মুখোশ পরে ও অস্ত্রের ভয়ভীতি দেখিয়ে ডাকাতি করে থাকে।
তিনি আরো জানান, আটকরা বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ঘুরে ডাকাতি করার স্থান ঠিক করে। সাধারণত যে এলাকায় লোকজনের আনাগোনা ও পুলিশের টহল কম, এমন জায়গায় ডাকাতি করার জন্য স্থান ঠিক করে তারা।
এরপর নির্ধারিত স্থানের আশেপাশের ফাঁকা জায়গায় বা দেওয়াল ঘেরা ফাঁকা জায়গায় বা ময়লা আবর্জনার পাশে ডাকাতি করার কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি আগেই রেখে আসে। ডাকাতি করার সময় তারা পিস্তল, চাপাতি, চাকুসহ বিভিন্ন ধারালো অস্ত্র ব্যবহার করে।
দরজা বা গ্রিল ভাঙার কাজে তারা সাধারণত বড় ধরনের রেঞ্জ, শাবল, কাটার ইত্যাদি ব্যবহার করে। দরজা ভেঙে প্রবেশ করার পর ভেতরে থাকা লোকজনদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে হাত-পা ও চোখ বেঁধে ফেলে। তারপর যত দ্রুত সম্ভব, আলামারি, ড্রয়ার বিভিন্ন জায়গা থেকে সোনা-দানা, টাকা-পয়সা মোবাইল ফোনসহ সহজে বহনযোগ্য মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে চলে যায়।