রাজধানীতে অগ্নিসংযোগ ককটেল বিস্ফোরণ : চুয়াডাঙ্গায় মিছিল মেহেরপুরে গাছ ফেলে অবরোধ

তফশি স্থগিত ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে ১৮ দলীয় জোটের তৃতীয় দফার ৭২ ঘণ্টার অবরোধের আজ দ্বিতীয় দিন

 

স্টাফ রিপোর্টার: বিরোধীদলের ডাকা তৃতীয় দফা অবরোধের প্রথম দিনে শনিবার রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অগ্নিসংযোগ, ককটেল বিস্ফোরণ ও যানবাহন ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। তবে চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর ও ঝিনাইদহ ছিলো অনেকটাই শান্ত। অবরোধ কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানিয়ে চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরে আন্দোলনকারীরা মিছিল ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেছে। চুয়াডাঙ্গা বিএনপির তিনটি অংশ পৃথক পৃথকভাবে অবরোধ পালনের আহ্বান জানিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ ও মিছিল করে। মেহেরপুরের বেশ কয়েকটি সড়কে গাছ ফেলে অবরোধ করে রাখা হয়। কমপক্ষে ২০টি ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়েছে।

অবরোধের শুরুতেই ভোর থেকে রাজধানী ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে অবরোধকারীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক অবরোধের চেষ্টা করে। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মারমুখি আচরণের কারণে তারা রাজপথে দাঁড়াতেই পারেনি। কড়া নজরদারির মধ্যেই শহরের বিভিন্ন জায়গায় ককটেল বিস্ফোরণ আর গাড়ি ভাঙচুর করে অবরোধকারীরা। নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, একতরফা নির্বাচনের তফশিল স্থগিত ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে ১৮ দলীয় জোট এ অবরোধ কর্মসূচি পালন করে আসছে। তৃতীয় দফা অবরোধেও ঢাকার সাথে সারাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রায় বিচ্ছিন্ন। বিভিন্ন স্থানে রেললাইন উপড়ে ফেলায় রেল চলাচল স্বাভাবিক ছিলো না। শুক্রবার অবরোধমুক্ত থাকায় সদরঘাটে যাত্রীদের ভীড় থাকলেও শনিবার যাত্রী কম থাকায় লঞ্চ চলাচলে সিডিউল বিপর্যয় ঘটে। রাজধানীর টার্মিনালগুলো থেকে দূরপাল্লার কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুরে বাস-ট্রাক চলতে দেখা যায়নি। তবে সড়কে করিমন-নসিমন অটোর অধিক্য পূর্বের অবরোধের দিনগুলোর তুলনায় অনেক বেশি।

১৮ দলের ডাকে ৭২ ঘণ্টা অবরোধের প্রথম দিন জেলা বিএনপি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল শহীদ হাসান চত্বরে পৌঁছুলে পুলিশ বাধা দেয়। নেতা-কর্মীরা বাধার মুখে রাস্তায় বসে সমাবেশ করে। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি এম জেনারেল ইসলাম। বক্তব্য রাখেন অ্যাড. ওয়াহেদুজ্জামান বুলা, শহিদুল ইসলাম রতন, মজিবুল হক মালিক মজু, আবু জাফর মন্টু, নজরুল ইসলাম চেয়ারম্যান, সাহাদৎ হোসেন মাস্টার, রবিউল ইসলাম লিটন, মোকাররম হোসেন, আশরাফ বিশ্বাস মিল্টু, মোখলেছুজ্জামান মোখলেছ, শরিফুজ্জামান সিজার, মো. ফজলুর রহমান, প্রভাষক আতিয়ার রহমান, স্বাধীন অধিকারী, মহিদুল ইসলাম, আরিফুজ্জামান পিন্টু, মঞ্জুরুল জাহিদ, রাজিব খান, আবুল বাশার প্রমুখ। সমাবেশে বক্তারা বলেন, অবিলম্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে। পুলিশের উদ্দেশ্য বলেন, আপনারা নিরপেক্ষ থাকেন। পরে আবার মিছিল করে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা ও পৌর ১৮ দলীয় জোটের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার বেলা ১১টার দিকে শহীদ হাসান চত্বর থেকে মিছিল শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কেদারগঞ্জস্থ দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা পৌর ১৮ দলীয় জোটের আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম মনি। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপি একাংশের যুগ্মসম্পাদক মাহমুদুল হক পল্টু। বিশেষ অতিথি ছিলেন দফতর সম্পাদক আবু আলা সামছুজ্জামান, জেলা জামায়াত ইসলামীর শুরা সদস্য অ্যাড. আসাদুজ্জামান, পৌর ১৮ দলীয় জোটের যুগ্মআহ্বায়ক জামায়াত ইসলামী নেতা মফিজুর রহমান, পৌর জামায়াতে সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মাসুদ পারভেজ রাসেল, সদর উপজেলা জামায়াতের আমির আব্দুর রউফ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক হাজি আব্দুল মান্নান, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব সাইফুর রশিদ ঝণ্টু, জেলা ছাত্রদলের যুগ্মআহ্বায়ক শাহাজাহান খান, তানভির আহমেদ রাজিব, ইসলামী ছাত্রশিবিরের জেলা সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম, জেলা ওলামাদলের আহ্বায়ক মাও. আনোয়ার হোসেনসহ এর অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

জেলা বিএনপির অর্থ বিষয়ক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের উদ্যোগে বেলা সাড়ে ৩টায় কোর্টমোড়স্থ জেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি আইনুর হোসেন পচা। প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি আরশেদ আলী কালু। প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক আবুক বক্কর সিদ্দিক বকুল। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা মৎস্যজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক ওহিদুল ইমলাম ওহিদ, জেলা কৃষকদলের সভাপতি হামিদুল হক নেতাজী, আলমডাঙ্গা থানা মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক মশিউর রহমান বাবু, তৃণমূল দলের আহ্বায়ক প্রিন্স, যুগ্মআহ্বায়ক আশরাফুল আলম, সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, রায়হান উদ্দিন, শহিদুল ইসলাম বাবলু, সাইদ আলী, শুকুর আলী, বাবলু মিয়া, রুবলে, জাহিদ ছাত্রদল নেতা শহীদ আফ্রিদী বিতু প্রমুখ।

মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, অবরোধের প্রথম দিনে গতকাল শনিবার মেহেরপুরের ৪টি সড়কে অবরোধ করেছেন ১৮ দলীয় জোটের নেতা-কর্মীরা। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা সড়কে সদর উপজেলার রাজনগর, মেহেরপুর-মুজিবনগর সড়কে সদর উপজেলার বন্দর ও মুজিবনগর উপজেলার গোপালনগর এবং মেহেরপুর-কাথুলী সড়কে সদর উপজেলার কায়েমকাটার মোড়ে অবরোধ করে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধের পাশাপাশি টায়ারে আগুন দিয়ে বিক্ষোভ করেন জোটের নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা।

জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি তারিক মো. সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে কায়েমকাটার মোড়ে ১০/১২টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় অবরোধকারীরা। এ সময় বিক্ষোভ মিছিলে অন্যান্যের মধ্যে জেলা বিএনপির দফতর সম্পাদক আব্দুর রহিম, বিএনপি নেতা রায়হানুল কবির, জামায়াত নেতা গোলাম রসুল, জেলা ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি সোহেল রানা ডলার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। পরে সেখানে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন ১৮ দলের নেতা-কর্মীরা। মুজিবনগর উপজেলার কেদারগঞ্জ মোড়ে ৪/৫টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় অবরোধকারীরা। অবরোধ কর্মসূচির নেতৃত্বে ছিলেন মেহেরপুর-১ আসনের বিএনপির সাবেক এমপি মাসুদ অরুন। গোপালনগরে বিক্ষোভ মিছিল শেষে জেলা জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির মাও. সিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে মুজিবনগর উপজেলার কেদারগঞ্জ মোড়ে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মেহেরপুরের সাবেক এমপি মাসুদ অরুন। বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুজিবনগর উপজেলা আমিরুল ইসলাম, মুজিবনগর উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি খান জাহান আলী, জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি সাইফুল ইসলাম, মুজিবনগর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রশিদ প্রমুখ। র‌্যালি ও সমাবেশে ১৮ দলীয় জোটের শ শ নেতা-কর্মী অংশগ্রহণ করেন। সদর উপজেলার বন্দরমোড়ে জেলা জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি ফারুক হুসাইনের নেতৃত্বে বিক্ষোভ করেন ১৮ দলীয় জোটের নেতা-কর্মীরা। তারা সড়কে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা জামায়াতের আমির মাও. রুহুল আমিন, সদর থানা বিএনপির সহসভাপতি খালেকুজ্জামান মজনু, সাংগঠনিক সম্পাদক নেতা শাহাবুদ্দিন, জামায়াত নেতা আব্দুল জাব্বারসহ ১৮ দলীয় জোটের শ শ নেতা-কর্মী। মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা সড়কের রাজনগর নামক স্থানে সড়কের ওপর ডালপালা ফেলে টায়ারে আগুন দিয়ে সড়ক অবরোধ করেন ১৮ দলীয় জোটের শ শ নেতা-কর্মী। এ সময় বিক্ষোভ সমাবেশের নেতৃত্ব দেন জামায়াত নেতা আব্দুল জব্বার। উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির কোষাধ্যক্ষ আরজুল্লাহ মাস্টার বাবলু, সদর থানা বিএনপির সহসভাপতি নেতা আলীহিম মেম্বার, জয়নাল আবেদীন, রাশিদুল ইসলাম, ডা. হাশেম প্রমুখ। ১৮ দলীয় জোটের অবরোধের প্রথম দিনে আন্তঃনগর ও দূরপাল্লার বাস-ট্রাক চলাচল বন্ধ থাকলেও ছোট ছোট যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে।

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, আলডাঙ্গার জেহালা ইউনিয়নের মুন্সিগঞ্জ পশুহাটে চুয়াডাঙ্গা-আলমডাঙ্গা সড়কের ওপর টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করেছে অবরোধকারীরা। শনিবার ভোরে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার জেহালা ইউনিয়নের মুন্সিগঞ্জ পশুহাটের চুয়াডাঙ্গা-আলমডাঙ্গা সড়কের ওপর ৮/১০ জনের একদল মুখোশধারী অবরোধকারীরা সড়ক অবরোধ করে। সংবাদ পেয়ে মুন্সিগঞ্জ ফাঁড়ি পুলিশের ইনচার্জ এএসআই মিজান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে আগুন নেভায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অবরোধকারীরা পালিয়ে যায়।

আলমডাঙ্গা ব্যুরো জানিয়েছে, আলমডাঙ্গা উপজেলা ও পৌর বিএনপি আলমডাঙ্গার আলমডাঙ্গ-হালসা-কুষ্টিয়া সড়ক অবরোধ করে। অবরোধে ১৮ দলীয় নেতা-কর্মীরা যোগ দেন। পরে কালিদাশপুর মোড়ে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন কালিদাশপুর ইউনিয়ন  বিএনপির সভাপতি আলি হোসেন। প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শেখ সাইফুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুল জব্বার, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান পিন্টু, আলমডাঙ্গা জামায়াতের আমির নুর মোহাম্মদ টিপু, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক এমদাদুল হক ডাবু, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান হাসান, দারুস সালাম, বোরহান উদ্দিন, মহিনুল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম, একরামুল হক বুলু, হাফিজুর রহমান চমক প্রমুখ।

জীবননগর ব্যুরো জানিয়েছে, জীবননগরে বিএনপির তিন গ্রুপ বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে। সকালে উপজেলা বিএনপির একাংশ পৌর মেয়র নোয়াব আলীর দলীয় কার্যালয় এলাকার সামনে নোয়াব আলী গ্রুপ জীবননগর-চুয়াডাঙ্গা সড়কে অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হয়। অবরোধ শেষে শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিল শেষে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন উপজেলা মহিলাদলের সভানেত্রী উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পারহানা আক্তার রিনি, পৌর বিএনপি সভাপতি পৌর প্যানেলমেয়র মশিউর রহমান, পৌর কাউন্সিলর সামসুজ্জামান হান্নু, কাউন্সিলর হযরত আলী, কাউন্সিলর আফতাবউদ্দিন, কাউন্সিলর মাহফুজা খাতুন বিউটি, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক তাজুল ইসলাম, দফতর সম্পাদক আনিছুর রহমান শিপলু, সহসভাপতি হারুন অর রশিদ, ওয়ার্ড সভাপতি মজনুর রহমা, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবু বকর সিদ্দিক, যুবদল সভাপতি আবুল হোসেন তোয়া, আপিল মাহমুদ, কুদ্দুছ আলী, নাহিদা আক্তার রিনা, ছাত্রদল নেতা হাসান, রয়েল, সুমন, তুহিন, রনি প্রমুখ।

বিকেলে পৌর বিএনপি ও অহিদুল-টিপু তরফদার গ্রুপ শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। বিক্ষোভ মিছিল শেষে দলীয় কার্যালয়ে প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। বক্তব্য রাখেন পৌর বিএনপি সভাপতি সাহজাহান কবীর, সাধারণ সম্পাদক মাহতাব উদ্দিন, সাবেক পৌর চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম, অহিদুল গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল খালেক, সাংগঠনিক সম্পাদক সাবদার রহমান, পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবু হাসান, পৌর কাউন্সিলর নবী শাহ্। এছাড়াও ওয়ার্ড বিএনপি নেতাদরে মধ্যে আহাম্মদ আলী, রবি সর্দার, হাসান আলী, সাবেক পৌর কাউন্সিলর আব্দুর রশিদ, হাসানুজ্জামান, আমিনুল ইসলাম, কিনারউদ্দিন, হাবিবুর রহমান, রবিউল ইসলাম রবু, আব্দুর রফিক, ইউনিয়ন বিএনপি নেতা বদরউদ্দিন বাদল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সরোজগঞ্জ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, চুয়াডঙ্গা সরোজগঞ্জ ১৮ দলের  উদ্যোগে অবরোধের ১ম দিন গতকাল শনিবার বিকেলে সরোজগঞ্জ  বাজারে বিক্ষোভ মিছিলি বের করা হয়। মিছিলটি সরোজগঞ্জ বাজারের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে মসজিদ মার্কেটের সামনে রাস্তা বন্ধ করে সমাবেশ করে। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জামায়াতের চুয়াডাঙ্গা সদর থানা আমির আব্দুর রউফ মিয়া, সেক্রেটারি খাইরুল ইসলাম, থানা বিএনপি একাংশের সহসভাপতি সাবেক চেয়াম্যান আব্দুর রাজ্জাক, প্রচার সম্পাদক নুর গনি, সহপ্রচার সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নুরনবী সামদানি, সাধারণ সম্পাদক রুমজান আলী, সহসভাপতি রাইহান উদ্দিন, সহসভাপতি সিরাজুল ইসলাম মেম্বার, সাংগঠনিক সম্পাদক লিটন শেখ ওরফে টিটন মেম্বার,  যুগ্মসম্পাদক আব্দুল মান্নান , আব্দুল রাজ্জাক, সদর থানা যুবদল একাংশের যুগ্মআহ্বায়ক আমিরুল ইসলাম লাল, শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকদলের আহ্বায়ক আব্দুল কাদের প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন মকলেচুর রহমান লিটন। এ সময় চুয়াডাঙ্গা-ঝিনাইদহ সড়কের সরোজগঞ্জ মসজিদ মার্কেটের সামনে ৩ ঘণ্টা রাস্তার ওপর বসে পড়ে  অবরোধ করে রাখে ১৮ দলের নেতা-কর্মীরা।

সরোজগঞ্জ প্রতিনিধি আরও জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রদল সভাপতি আব্দুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েলকে গ্রেফতারের  প্রতিবাদে চুয়াডঙ্গা ডিঙ্গেদহ ছাত্রদল ও যুবদলের উদ্যোগে গতকাল শনিবার সকালে ডিঙ্গেদহ  বাজারে বিক্ষোভ মিছিলি বের করা হয়। মিছিলটি ডিঙ্গেদহ বাজারের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ডিঙ্গেদহ চৌরাস্তা মোড়ে সমাবেশের আয়োজন করা হয়। বক্তব্য রাখেন শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক আশরাফ উদ্দিন রুবেল, পদ্মবিলা ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক হাবিব শেখ, জেলা ছাত্রদলের সদস্য আসাদুজ্জাম টিটু, তৈফিক, মোমিন, রিজোন, রুবেল, শিপন, জুয়েল, রকি, মজনু, মানিক ইমরান, ইনছান, বাদশা প্রমুখ। মিছিল শেষে রাস্তার ওপর ডিজেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে রাস্তায় অবরোধ করে রাখে বিক্ষোভকারীরা।

মুজিবনগর প্রতিনিধি জানিয়েছেন,  অবরোধের প্রথম দিনে মেহেরপুর-মুজিবনগর সড়কের গোপালনগর এলাকায় অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ১৮ দলীয় জোটের নেতা-কর্মীরা। সমাবেশে জেলা জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির মাও. সিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মেহেরপুরের সাবেক এমপি মাসুদ অরুন, মেহেরপুর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম, মুজিবনগর উপজেলা জামাতের সেক্রেটারি খান জাহান আলী, জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি সাইফুল ইসলাম, মুজিবনগর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রশিদ প্রমুখ। সমাবেশ শেষে মাসুদ অরুনের নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল কেদারগঞ্জ মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে আবারো সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় কেদারগঞ্জমোড়ে ৪/৫টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।

ডাকবাংলা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ডাকবাংলা বাজারে গতকাল শনিবার বিকেল ৪টায় সাগান্না ও সাধুহাটি ইউনিয়ন বিএনপির নেতা-কর্মীরা আলোচনাসভা করেন। সভাপতিত্ব করেন সাধুহাটি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি খলিলুর রহমান। প্রধান অতিথি ছিলেন সাগান্না ইউপি চেয়ারম্যান আলাউদ্দীন আল মামুন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাধুহাটি ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি জাহাঙ্গীর আনাম, সাধুহাটি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম, সাধুহাটি ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি কামাল হোসেন, সাগান্না ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মেম্বার, সাগান্না ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, সাধুহাটি ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, জেলা ছাত্রদলের অন্যতম নেতা জাবির খান রুস্তম, ওলিয়ার মেম্বার, জিন্দার মেম্বার, বাজার যুবদলের সভাপতি নাহিদ, ইউনিয়ন যুবদলের প্রচার সম্পাদক রিপন, ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি আল-আমিন, সিনিয়র সভাপতি মো. হাফিজুর রহমান, কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি সেলিম রেজা মিলন, সোহাগ, বিএনপি নেতা আরশাদ আলী প্রমুখ।

মহেশপুর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, ১৮ দলের ডাকা অবরোধ মহেশপুরের পালিত হয়েছে। উপজেলার খালিশপুর সড়কে নেতাকর্মীরা রাস্তা অবরোধ করে রাখে। কোনো যানবাহন চলতে দেয়নি। মহাসড়কে সকাল থেকে নেতাকর্মীরা অবস্থান নিয়ে নসিমন, করিমন, আলমসাধু, টেম্পু, সিএনজি চলতে দেয়নি। তারা একদলীয় নির্বাচনের তফশিল বাতিল করতে বিভিন্ন স্লোগান দেয়।