যৌতুকের বলি : বিয়ের ৬ মাসের মাথায় লাশ হলো সোহাগী

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগে লাশ ফেলে দ্রুত সটকেছে স্বামীর লোকজন

স্টাফ রিপোর্টার: বিয়ের ৬ মাসের মাথায় লাশ হয়েছে জীবননগর আন্দুলবাড়িয়া কুলতলার মেয়ে সোহাগী (২০)। গতকাল রোববার সকালে তাকে মৃত অবস্থায় তার স্বামী চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের হারদা চাঁদপুরের রিঙ্কুর লোকজন আলমসাধুযোগে লাশ নিয়ে হাসপাতালের জরুরী ওয়ার্ডের সামনেই রেখে সটকে পড়ে। এদের দাবি- সোহাগী তার স্বামীর বাড়িতেই বিষপান করে। হাসপাতালে নেয়ার পথে সে মারা যায়।
সোহাগীর পিতা কুলতলার নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন। চুয়াডাঙ্গা সদর থানার এসআই ইবনে খালিদ মামলার তদন্তভার পেয়েছেন। তিনি বলেছেন, ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর নিশ্চিত করে জানা যাবে সোহাগীর প্রকৃত কারণ। তবে যৌতুকের দাবিতে নির্যাতনের এক পর্যায়ে সোহাগী যে বিষপান করেছে তা প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। ফলে আত্মহত্যায় প্ররোচনার বিষয়টিকেই গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের তিতুদহ ইউনিয়নের হারদা চাঁদপুরের রমজান আলীর ছেলে রিঙ্কুর সাথে ৬ মাস আগে বিয়ে হয় জীবননগর আন্দুলবাড়িয়া কুলতলার নজরুল ইসলামের মেয়ে সোহাগীর। বিয়ের কয়েকদিনের মাথায় স্বামীসহ স্বামীর বাড়ির লোকজন যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন শুরু করে। মেয়ের সুখের কথা ভেবে সোহাগীর পিতা যাবতীয় আসবাবপত্র দেন। সম্প্রতি দু লাখ টাকা দাবি করে রিঙ্কু। যৌতুকের এ টাকার দাবিতে নির্যাতনও করতে থাকে রিঙ্কুসহ রিঙ্কুর বাড়ির লোকজন। এরই এক পর্যায়ে গতকাল রোববার ভোরে রিঙ্কুসহ তার পরিবারের সদস্যরা সোহাগীকে নিকটস্থ চিকিৎসকের নিকট নিয়ে বিষপান করেছে বলে জানায়। তবে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হলে জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এ সময় লাশ ফেলে রিঙ্কুর লোকজন দ্রুত সটকে পড়ে। খবর পেয়ে কুলতলা থেকে নজরুল ইসলামসহ তাদের লোকজন হাসপাতালে ছুটে আসেন। পুলিশে অভিযোগ করেন। ময়নাতদন্ত করা হয়। বিকেলে লাশ পিতার গ্রাম কুলতলায় নিয়ে দাফন কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।