মেহেরপুরে কর্মশালায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক

শিক্ষার মূল ভিত্তি প্রাক-পাথমিক বিদ্যালয়

 

মেহেরপুর অফিস: প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (পলিসি অ্যান্ড অপারেশন) ফারুক জলিল বলেছেন, দেশের ৩০ ভাগ অভিভাবক তাদের শিশুদের অক্ষরজ্ঞান শেখাতে অক্ষম। এজন্য ওই সকল শিশুদের জীবনের প্রথম বিদ্যালয়ে গিয়ে হোঁচট খেতে হয়। কেননা তারা লেখাপড়ার সাথে একদমই পরিচিত নয়। বিদ্যালয়ে ভর্তি এবং লেখাপড়া শেখার জন্য শিশুদের মানসিকভাবে তৈরি করার উপযুক্ত মাধ্যম হচ্ছে প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয়। এখানে যাওয়া-আসা এবং খেলার মাধ্যমে অক্ষরজ্ঞান শিখে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির উপযুক্ত হয় শিশুরা। তাই জিও-এনজিওসহ সবার সহযোগিতার ভিত্তিতে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করতে হবে। গতকাল রোববার দুপুরে মেহেরপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।

জিও-এনজিও সমন্বয়ে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা বাস্তবায়নে সেভ দি চিলড্রেন ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস এ কর্মশালার আয়োজন করে। জেলা প্রশাসক মাহমুদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের খুলনা উপপরিচালক শেখ রায়হান উদ্দীন, মেহেরপুর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আলমগীর হোসেন, মেহেরপুর রিপোর্টার্স ইউনিটি সভাপতি রফিক-উল আলম, সেভ দি চিলড্রেন মেহেরপুর ব্যবস্থাপক ফারুক হোসেন, শিশুদের জন্য কর্মসুচী ব্যবস্থাপক হোসনে আরা, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এসএম তৌহিদুজ্জামান, গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুস সালাম, মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুক্তার হোসেন, জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন প্রকল্প পরিচালক এবিএম শহিদুল ইসলাম প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন সেভ দি চিলড্রেন মেহেরপুরের উপব্যবস্থাপক খলিলুর রহমান। শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তা ও প্রাক প্রাথমিক শিক্ষা প্রকল্প বাস্তবায়নে কর্মরত এনজিও প্রতিনিধিবৃন্দ এ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।