মহেশপুরে বিএনপির গ্রুপিং থাকায় অবরোধে কর্মসূচি পালনে কোনো সাড়া নেই

মহেশপুর প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের মহেশপুরে বিএনপিতে গ্রুপিং থাকায় ৬ জানুয়ারি থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ডাকা অবরোধ কর্মসূচি পালনে কোনো সাড়া নেই। দায়সারাগোছের মতো পালিত হচ্ছে অবরোধ। বিএনপির কোনো নেতার পক্ষে মাঠে-ময়দানে মিছিল-মিটিং হচ্ছে না। বর্তমানে মহেশপুর বিএনপি তিনটি গ্রুপে বিভক্ত। এর মধ্যে সাবেক এমপি মহেশপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম মাস্টার, জাসাসের কেন্দ্রীয় নেতা কণ্ঠশিল্পী মনির খান ও উপজেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনায়ার মোমিনুর রহমান। এদের পক্ষে নেতা-কর্মীরা উপজেলা বিএনপির বিভিন্ন কর্মসূচি আলাদা আলাদাভাবে পালন করে থাকলেও অবরোধের মতো কর্মসূচি পালন করতে দেখা যাচ্ছে না।

৩ জানুয়ারি মনির খান গ্রুপ সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি ভবনে ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করে এবং শহিদুল ইসলাম মাস্টার পালন করেন পৌর চত্বরে অফিসের সামনে। অথচ অবরোধে ৭ম দিন পার হলেও কোনো গ্রুপের কর্মসূচি পালনে কোনো সাড়া নেই। অবরোধে পালনে কোনো গ্রুপের মিছিল-মিটিং বা সমাবেশ করতে দেখা যায়নি। সারাদেশে যেমন কোনো দূর পাল্লার যানবাহন ছেড়ে যাচ্ছে না তেমন মহেশপুর থেকে কোনো দূরপাল্লার যানবাহন ছেড়ে যাচ্ছে না। তা ছাড়া সব কিছু স্বাভাবিকভাবে চলছে। গত সাত দিনে অবরোধের কোনো আলামত মহেশপুরে পাওয়া যায়নি। এসব বিষয়ে মাঠ পর্যায়ে নেতাকর্মীরা জানান, তারা গ্রেফতার আতঙ্কের কারণে কোনো কর্মসূচি পালন করতে পারছেন না। তাদের মধ্যে মামলা হামলার ভয় ব্যাপকভাবে কাজ করছে। কারণ মহেশপুর থানায় বা ঝিনাইদহ আদালতে অধিকাংশ নেতা-কর্মীদের নামে এখনও মামলা রয়েছে। যার কারণে তারা মাঠে নামতে পারছেন না।

এ বিষয়ে থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোমিনুর রহমান জানান, দীর্ঘদিন মহেশপুর বিএনপিতে গ্রুপিং থাকার কারণে নেতাকর্মীরা বিএনপির সাথে নেই যার কারণে কর্মসূচি পালিত হচ্ছে না। তাছাড়া ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে সব কর্মসূচি পালন করার সময় আমারসহ নেতা কর্মীদের নামে মামলা হামলা আছে, ফলে বর্তমান কর্মসূচি পালন করা খুবই কষ্টকর হচ্ছে। তিনি আরও জানান, ৮ জুন ২০১৪ তারিখে কেন্দ্রীয় যুগ্মসম্পাদক রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক পত্রে মহেশপুর উপজেলা সকল রাজনৈতিক কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত স্থগিত ঘোষণা করায় কোনো কার্যক্রম করা সম্ভব হচ্ছে না। গ্রুপের অন্যতম নেতা মনির খান জানান, আমি অঙ্গ সংগঠনে আছি, মূল কমিটিতে যারা আছে তারা যদি পালন না করে তাহলে আমার অঙ্গ সংগঠন কী করতে পারে।