মহেশপুরে দালালের খপ্পরে পড়ে সৌদি আরবে পাচার হয়ে যাওয়া চামেলীর বাঁচার আকুতি

 

মহেশপুর প্রতিনিধি: মহেশপুর উপজেলার আজিবাড়ি নওদা গ্রামের মোশারেফ হোসেনের ছেলে করিম আলী এবং একই গ্রামের সালমা খাতুন ও ঢাকার বনানীর রিক্রুটিং এজেন্সির দালাল আব্দুল হালিমের খপ্পরে পড়ে চৌগাছা উপজেলার কয়ারপাড়া গ্রামের বজলুর রহমানের মেয়ে চামেলী খাতুন (২০) এখন সৌদি আরবে বন্দিদশায় অর্ধাহারে অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন। তার ওপর চলছে অমানুষিক পাশবিক নির্যাতন। তিনি সরকারসহ দেশের মানবাধিকার সংগঠনগুলোর কাছে বাঁচার আকুতি জানিয়েছেন।

এলাকাবাসী ও পারিবারিকসূত্রে জানা গেছে, ২২ জুলাই বাংলাদেশ সময় বেলা ২টায় তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে চামেলী খাতুন জানান, গত ১ মাস ধরে করিম দালাল চক্র তার পেছনে লেগে তাকে বিভিন্ন ধরনের প্রলোভন দেখিয়ে বিদেশে ভালো চাকরি দেয়ার কথা বলে গত ১৭ জুলাই দুপুর ১২টা ৫৫মিনিটে ঢাকা শাহা জালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে সৌদির উদ্দেশে পাঠায়। বাংলাদেশ সময় রাত ৩টায় চামেলী সৌদি আরবের দামমাম বিমান বন্দরে পৌঁছায়। সেখান থেকে একজন লোক তাকে নিয়ে যায়।

চামেলী আরও জানান, নিয়ে যাওয়ার পর থেকে তাকে ইতোমধ্যে দুবার হাত বদল করা হয়েছে। তাকে একটি ঘরের মধ্যে আটকে রেখে বাইরে থেকে তালা দিয়ে দেয়া হচ্ছে। তারা ইচ্ছামত তালা খুলে ঘরে ঢুকে তার ওপর পাশবিক নির্যাতন করছে। ঠিকমত খেতে দেয়া হচ্ছে না। চামেলী জানান, তার বাবা ২য় বিয়ে করে অন্যত্র বসবাস করছেন এবং তার মা ঢাকার গাজীপুরে একটি বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করেন। চামেলী ২০১৫ সালে চৌগাছা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে অভাবের তাড়নায় ঢাকার একটি গার্মেন্সে কাজ নেন। সেখান থেকে দালালরা তাকে ফুঁসলিয়ে নিয়ে সৌদি আরবে পাচার করে দেয়। বর্তমানে তিনি বাঁচার জন্য দেশের মানবাধিকার সংগঠন ও সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।