মদনাডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় দুজন আহত

মেহেরপুর অফিস: মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কে মেহেরপুর সদর উপজেলার মদনাডাঙ্গা কলেজের পাশে মাইক্রোবাসের সাথে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুজন গুরুতর আহত হয়েছেন। স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল ভর্তি করেছে। আহতরা হলেন- মেহেরপুর সদর উপজেলার গাড়াডোব গ্রামের কাচারিপাড়ার দ্বীন মোহাম্মদের স্ত্রী কোহিনূর বেগম (৬০) ও তার ছেলে মিয়ারুল ইসলাম (৩০)।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মিয়ারুল ইসলামের স্ত্রী রওশনারা মুন্নি সন্তান সম্ভবনা হওয়ায় মেহেরপুর শহরের অ্যাপেলো ক্লিনিকে ভর্তি করান। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে সেখানে সিজার করে ছেলে সন্তান হয়। বাচ্চার শ্বাসকষ্ট হওয়ায় ওই দিন সন্ধ্যায় মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গতকাল শুক্রবার বেলা ১০টার দিকে ওই বাচ্চাটি মারা যায়। মৃত বাচ্চার দাফনের জন্য মিয়ারুল মোটরসাইকেল যোগে তার মা কোহিনূর বেগমসহ নবজাতক মরা বাচ্চাটি নিয়ে নিজ গ্রামে রওনা দেয়। পথিমধ্যে মদনাডাঙ্গা টেকনিক্যাল কলেজের কছে পৌঁছুলে বিপরীত দিক থেকে আসা দ্রুতগামী একটি মাইক্রোবাসের (যার নং ঢাকা মেট্রো-ট ১১-২৬০৯) সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মোটরসাইকেলটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। সড়কের ওপর ছিটকে পড়েন মিয়ারুলসহ তার মা ও মরা সন্তান। এতে তারা গুরুতর আহত হয়েছেন। লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।

জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত ডাক্তার সাঈদ আরেফিন জানান, মিয়ারুলে একদিনের বাচ্চা বাবু সকালে মারা যায়। তিনি এবং তার মা বাড়ি ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হলে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করেন। তাদেরকে প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তবে দুজনের অবস্থা ভালো না।

মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত ওসি) মেহেদী হাসান জানান, সড়ক দুর্ঘটনা হয়েছে শুনে এসআই আহসান হাবিরেব নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে পুলিশের টিম পাঠাই। সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল ও মাইক্রোবাসসহ চালক মুরাদুল ইসলামকে থানার হেফাজতে রাখা হয়েছে। মাইক্রোবাসের চালকের বাড়ি কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলার নওদাপাড়ায়। তিনি ওই গ্রামের আলী আহম্মেদের ছেলে।