ভালাইপুর মোড়ে রুগণ্ গরু জবাই ॥ সস্তায় মাংস বিক্রিতে সন্দেহ ঘনীভূত

স্টাফ রিপোর্টার: সত্যিই কি মরা গরু? নাকি রুগণ্? দুটির একটি হলেও কি জবাই করে বিক্রি করা বৈধ? সচেতন যুবসমাজ যখন এ প্রশ্ন তুলে খবর দেয় পুলিশে, প্রশাসনকেও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার জন্য আহ্বান জানায় তখন কসাই শুরু করে তড়িঘড়ি করে গোস্ত বিক্রি। পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল ভালাইপুর মোড়ে পৌঁছুলেও বিক্রেতার বিরদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। আর যখন প্রশাসনিক কর্তার গাড়ি পৌঁছায় সেখানে, তার অনেক আগেই কসাই মাংস বিক্রি করে চটি-দা গুটিয়ে চম্পট। স্থানীয়রা এসব তথ্য দিয়ে তদন্তের দাবি জানিয়েছে।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের আলুকদিয়ার আকন্দবাড়িয়া মোল্লাপাড়ার মামুনের একটি রুগণ্ গরু বিক্রির ঘোষণা দেয়। ভালাপুর-আলুকদিয়া এলাকার কসাই সিন্ডিকেটের এক হোতা ৩৮ হাজার টাকা দাম তোলে। পরশু এ দামাদামি হলেও গতকাল দশ হাজার টাকা কমিয়ে ২৮ হাজার টাকা দেয়া হয়। এ নিয়ে ক্রেতা বিক্রেতাদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ও হয়। একপর্যায়ে গতকাল সকালে ভালাইপুর মোড়ে জবাই করে। মাংস বিক্রির একপর্যায়ে স্থানীয়দের মধ্যে কানঘোঁষা শুরু হয়। চতুর কসাই চক্র হুট করে মাংসের দাম কমিয়ে দুশ টাকা কেজি হাঁকতে শুরু করেন। একদিকে এ মাংস বিক্রি বাড়ে, অন্যদিকে সন্দেহও ঘনীভূত হয়। খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার একটি পুলিশ দল ঘটনাস্থলে পৌঁছুলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ অনেকেই বলেন, মাংস বিক্রি হয়ে গেছে। তাছাড়া গরুটা তো আর মরা ছিলো না। এরপর যখন প্রশাসনিক কর্মকর্তার গাড়ি সেখানে যায়, তখন কসাইয়ের দোকানে মাংসশূন্য। কৌতূহল মানুষের ভিড়। কসাইরা ভিড়ের মাঝে লাপাত্তা।