ভারত থেকে আসা অধিকাংশ গরুর পায়ে খুরারোগ : কোরবানি করা নিয়ে শঙ্কায় ক্রেতারা

 

মহেশপুর প্রতিনিধি: মহেশপুর উপজেলার স্বরুপপুর ও মাঠিলা সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে আসা অধিকাংশ গরুর পায়ে খুরারোগ হওয়ায় ক্রেতারা কোরবানি দেয়া নিয়ে শঙ্কায় আছে।

জানা গেছে, কোরবানি করার জন্য পশু নিখুত হতে হবে, তা না হলে ওই পশু দিয়ে কোরবানি হবে না। কিন্তু ভারত থেকে আসা বিভিন্ন হাট বাজারে অধিকাংশ গরুর খুরারোগ। ক্রেতারা ওই গরু কিনে বাড়ি নিয়ে এসে পায়ের ব্যথা সারানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হচ্ছে। ফলে ওই গরু জবাই করে বিক্রি করে দিতে হচ্ছে। কারণ বাজারে গিয়ে দালালদের খপ্পরে পড়ে বেশির ভাগ ক্রেতাকে ভারতীয় গরু কিনতে হচ্ছে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ক্রেতা ফতেপুর গ্রামের সেলিম জানান, ভারতীয় গরু কোরবানির জন্য কিনে বিপদে পড়েছি। কারণ ওই গরুর পায়ে খুরা রোগ যা দিয়ে কোরবানি হবে না। ফলে ওই গরু জবাই করে বিক্রি করে আবার নতুন করে গরু কিনতে হয়েছে। সীমান্ত পার হয়ে ভারত থেকে যে সমস্ত গরু আসছে তার অধিকাংশই রোগাক্রান্ত। তাছাড়া ভারত থেকে যত্রতত্র গরু এলেও সরকারিভাবে নজরদারি নেই। যে কারণে ভারতীয় রোগাক্রান্ত গরু বিভিন্ন পশুহাটগুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা পশু সম্পদ কর্মকর্তা প্রকাশ কুমার জানান, গরুর পায়ের ঘা রোগটি একটি ভাইরাস। ভারত থেকে যে সমস্ত গরু আসছে অধিকাংশ গরুর ওই রোগ আছে। এতে আমাদের কিছুই করার নেই।