বেড়েছে পেঁয়াজের অনেক ঝাজ : মসলার বাজারও গরম

কোরবানিকে সামনে রেখে বেড়েছে কাঁচামরিচ ও পেঁয়াজের দাম

 

আলম আশরাফ: আসন্ন ঈদুল আজহা ও দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে পেঁয়াজের দাম দফায় দফায় বাড়ছে। খুচরা বাজারে পেঁয়াজ ও কাঁচা মরিচের দাম ফের ১শ টাকা ছাড়িয়েছে। দু দিনের ব্যবধানে কেজিপ্রতি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৩০ টাকা। গত সপ্তায় কাঁচামরিচ ৮০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ১শ ২০ টাকা পর্যন্ত। বেড়েছে সব ধরনের মসলার দাম। বাজারে ক্রেতা কম থাকলেও বাড়তি সবজির দাম।

গত বছর কোরবানির ঈদের সময় প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজের দাম ছিলো ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। সেই পেঁয়াজের কেজি এখন ১শ থেকে ১শ ১০ টাকা। আর আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজের কেজি ১শ টাকা। গত সপ্তায় চুয়াডাঙ্গার বাজারে পেঁয়াজের কেজি ছিলো ৮০ টাকা। দু দিনের ব্যবধানে কেজিতে বেড়েছে ৩০ টাকা। কোরবানির ঈদে পেঁয়াজের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরাও সুযোগ বুঝে দাম বাড়িয়েছেন। মাস দুয়েক আগে থেকে পেঁয়াজের দাম বাড়তে থাকে। গত দু সপ্তা দাম কিছু কমতে থাকায় স্বস্তি ফিরছিলো ক্রেতাদের। কিন্তু হঠাত কোরবানির ঈদের আগে পেঁয়াজের অনেক ঝাজ বাড়লো। ঝরছে ক্রেতারে চোখের জল।

চুয়াডাঙ্গায় পেঁয়াজের পাইকারি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ ৬০ থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। কিন্তু শুক্রবার থেকে দাম প্রতিকেজি ৯০ থেকে ৯৫ টাকা। এর প্রভাব পড়ে খুচরা বাজারে। খুচরা বাজারে গত সপ্তায় দেশি পেঁয়াজ ৮০ টাকা বিক্রি হলেও শুক্রবার বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকা। আমদানিকৃত পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৯৫ টাকা, যা গত সপ্তায় ছিলো ৭৫ টাকার কম। ব্যবসায়ীরা জানান, চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ কম থাকায় পেঁয়াজের দাম বাড়ছে; আরো বাড়তে পারে। আদা, রসুন ও ডালের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

গরম মসলার বাজারও গরম: কয়েক মাস ধরে একই দামে বিক্রি হওয়া গরম মসলার দামও বেড়েছে। কোরবানির ঈদ সামনে রেখে ৪শ টাকার লবঙ্গ এখন বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২শ টাকা। ভালোমানের এলাচি বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৬শ টাকায়। এর দাম ছিলো ১ হাজার ২শ টাকা। সাধারণ এলাচি ৮শ টাকা থেকে বেড়ে হাজার ধরেছে। দারুচিনি ২শ ৫০ টাকা থেকে ৩শ টাকা। যার দাম ছিলো ২শ থেকে ২শ ৫০ টাকা। জিরে প্রতিকেজিতে ৩০ থেকে ৪০ টাকা বেড়ে ২শ ৪০ টাকা থেকে ৩শ ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ধনিয়ার দাম ৬০ টাকা থেকে বেড়ে ৭০ টাকায়।