বেগমপুরের নেহালপুর গ্রামে স্বামী পরিত্যক্তাকে ধর্ষণ : বিচার চেয়ে ধর্ষিতা গ্রামছাড়া

 

দর্শনা অফিস: চুয়াডাঙ্গার নেহালপুর গ্রামে তিন লম্পটের কাণ্ডে হতবাক এলাকাবাসী। গ্রামের দরিদ্র পরিবারের এক স্বামী পরিত্যক্তাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষিতা মাতবরদের কাছে বিচার চেয়ে বিপাকে পড়েছে। ধর্ষকদের হুমকির মুখে ধর্ষিতা ও তার পরিবারের সদস্যরা গ্রাম ছেড়েছে। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের নেহালপুর পশ্চিমপাড়ার এক দিনমজুরের ওই মেয়ের অভিযোগে জানা গেছে, ‘গত শনিবার রাত ১০টার দিকে যখন ঘরে ঘুমিয়ে ছিলাম, তখন গ্রামের কালু মুন্সি ওরফে নজরুল ইসলামের ছেলে রানা ওরফে আব্দুল, হানা শিকদারের ছেলে শহিদুল ইসলাম ওরফে শিকদার ও আব্দুর রবের ছেলে আব্দুল ওরফে ফকির অস্ত্রের মুখে বাড়িতে ঢুকে আমাকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে রানা ঘরের বাইরে বেরানোর সুযোগে আমি কৌশলে পালিয়ে গ্রামের জনৈক ব্যক্তির বাড়িতে আশ্রয় নিই। আমাকে ধরার জন্য পিছু নেয় শিকদার ও ফকির।’ দরিদ্র ও অসহায় হওয়ায় মামলা করার সাহস না পেয়ে পরদিন রোববার ধর্ষণের বিচার দেয়া হয় স্থানীয় গ্রাম্য মাতবরদের কাছে। মাতবরদের কাছে বিচার চাওয়ার অপরাধে রানা ও তার সাঙ্গপাঙ্গ ওই ধর্ষিতার বাড়িতে গিয়ে হত্যার হুমকি দেয়। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রাম ছাড়তে বলা হয় ধর্ষিতাকে। প্রাণভয়ে গতকাল সোমবার সকালে ধর্ষিতা ও তার পরিবারের সদস্যরা গ্রাম ছেড়েছে। এদিকে অভিযুক্ত ধর্ষক ও তার দু সহযোগী বহাল তবিয়তে রয়েছে। রানা এর আগেও এ ধরনের একাধিক ঘটনা ঘটিয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। এলাকাবাসী রানা ও তার সহযোগীদের গ্রেফতারের দাবি তুলেছে। ধর্ষিতাকে খুঁজে বের করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মানবধিকার সংস্থা ও পুলিশের প্রতি দাবি তুলেছে সচেতনমহল। এ ঘটনায় অভিযুক্ত রানার পিতা নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, এ অপরাধের জন্য ছেলেকে শাস্তি দেয়া হয়েছে। এছাড়া ওই ধর্ষিতা ও তার পরিবারের সদস্যদের কেউ হুমকি দেয়নি। তারা স্বেচ্ছায় গ্রাম ছেড়েছে।