বৃটেন-কানাডা কমনওয়েলথের উদ্বেগ : হতাশা

স্টাফ রিপোর্টার: অর্ধেকের বেশি সংসদীয় আসনে ভোটারদের অধিকার প্রয়োগের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা এবং নির্বাচন হওয়া আসনগুলোতে ভোটারের উপস্থিতি কম হওয়ায় হতাশ যুক্তরাজ্য। একই সাথে মানুষের মৃত্যু, রাজনৈতিক হয়রানি ও তীব্র উত্তেজনায় গভীরভাবে উদ্বিগ তারা। গতকাল দেশটির পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ব্যারোনেস সাঈদা ওয়ারসি এক বিবৃতিতে এ হতাশা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এদিকে সদ্যসমাপ্ত নির্বাচনে অর্ধেকের বেশি আসনে মুক্তভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না থাকা অত্যন্ত হতাশাজনক বলে মনে করে কানাডা। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রী জন বেয়ার্ড গতকাল এক বিবৃতিতে এ হতাশা ব্যক্ত করেন। কমনওয়েলথ মহাসচিব কমলেশ শর্মাও গতকাল এক বিবৃতিতে অংশগ্রহণ ও ভোটারের উপস্থিতি কম হওয়াকে হতাশাজনক বলে মন্তব্য করেন। সবার অংশগ্রহণে ৫ জানুয়ারির নির্বাচনটি আয়োজনে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যে পৌঁছাতে না পারার প্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন যে অবস্থান গ্রহণ করেছে তার সঙ্গে সহমত পোষণ করে কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, একটি নতুন নির্বাচনের বিষয়ে দেশের বড় রাজনৈতিক দলগুলোর সদিচ্ছাকে স্বাগত জানায় কানাডা। একই সঙ্গে প্রকৃত অংশগ্রহণে পরবর্তী নির্বাচনটি আয়োজনের বিষয়ে দ্রুত একটি সমঝোতায় পৌঁছতে সব পক্ষের প্রতি আহ্বান জানান। এমন নির্বাচনের ফল সব বাংলাদেশির কাছে গ্রহণযোগ্য হবে বলে আশা করেন তিনি। জরুরি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গণতান্ত্রিক জবাবদিহি শক্তিশালী করতে পরিষ্কার ও দ্ব্যর্থহীনভাবে সব রাজনৈতিক দলকে একসঙ্গে কাজ করার ওপর জোর দিয়ে বৃটিশ মন্ত্রী তার বিবৃতিতে বলেন, ভবিষ্যতে ভয়ভীতির আশঙ্কা ও প্রতিশোধ বাদ দিয়ে সব দলের অংশ গ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের আয়োজনের সদিচ্ছা ও সক্ষমতা বাড়ানো প্রয়োজন। জনগণের স্বার্থে কাজ করার জন্য নতুন সরকার ও সব রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বানও জানান তিনি। বৃটিশ মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ১০ম জাতীয় সংসদের নির্বাচনের ফল আমরা লক্ষ্য করেছি। বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী এটি হয়েছে। আন্তর্জাতিক সমপ্রদায়ের অন্যদের মতো যুক্তরাজ্য বিশ্বাস করে যে, পরিপক্ব ও কার্যকর গণতন্ত্রের সত্যিকার প্রকাশ হলো শান্তিপূর্ণ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন, যেখানে ভোটারদের প্রকৃত ইচ্ছা প্রকাশ পায়। সব পক্ষ থেকে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও আইনবহির্ভূত সহিংসতার নিন্দা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, যুক্তরাজ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার বাংলাদেশ। অধিক স্থিতিশীল, সমৃদ্ধ ও গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের যে আকাঙক্ষা এখানে রয়েছে তার প্রতি সমর্থনের অঙ্গীকার পূনর্ব্যক্ত করেন তিনি।