বিয়ের আগেই বাসর সেরে সটকালেও পিছু ছাড়েনি ষোড়শী

জীবননগর আন্দুলবাড়িয়ায় প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অবস্থান

 

আন্দুলবাড়িয়া প্রতিনিধি: সকালে বিয়ের কথা বলে পূর্বরাতেই বাসর সেরে সটকালেও প্রেমিকা পিছু ছাড়েনি। সে তার প্রেমিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে পিছু ধাওয়া করে। অবশ্য ধরতে না পেরে শেষ পর্যন্ত প্রেমিকের বাড়িতে উঠে বিয়ের দাবিতে অবস্থান নেয়। গতকাল সোমবার বিকেলে সালিস বৈঠকের কথা বলে স্থানীয় সমাজপতিরা প্রেমিক রাজিবের বাড়িতে অবস্থান নেয়া ষোড়শীকে তার পিতার বাড়িতে ফেরালেও বিয়ের দিনক্ষণ চূড়ান্ত করতে পারেনি। সালিসের প্রতিশ্রুতি দিলেও গতকাল সোমবার বিকেল পর্যন্ত তা হয়নি।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, চুয়াডাঙ্গার জীবননগর আন্দুলবড়িয়া মণ্ডলপাড়ার আহাদ আলী ওরফে খোকনের ছেলে কলেজছাত্র রাজিব হাসান রাজিবের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ তুলে একই পাড়ার এসএসসি পরীক্ষার্থী ষোড়শী বলছে, এক বছর যাবত চাকরি পেয়ে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে দেহভোগ করে আসছিলো রাজিব। গত শনিবার মা আত্মীয় বাড়ি বেড়াতে যায়। এ সুযোগে ষোড়শীর ঘরে ঢোকে রাজিব। সকালে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে রাতযাপন করতে থাকে। কথা দিয়ে গভীর রাতে সুযোগ বুঝে ঘর থেকে দৌঁড়ে পালায়। পিছু নিয়ে রাতেই রাজিবের বাড়িতে গিয়ে বিয়ের দাবিতে অবস্থান নেয়।। অবস্থা বেগতিক বুঝে রাজিব বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। সকালে স্থানীয় নেতৃবৃন্দ. মণ্ডল ও মাতবররা সাথে নিয়ে পিতার নিকট বিকেলে সালিস বৈঠকের কথা বলে ষোড়শীকে তার বাড়িতে ফিরিয়ে দেয়।

এদিকে সকালে এ খবর পেয়ে জীবননগর থানার এসআই অচিন্ত্য কুমার পাল সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযুক্ত রাজিব হাসানের বাড়িতে অভিযান চালান। পলাতক থাকায় তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। রোববার রাতে সালিসসভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্য শুনানি শেষে অভিযুক্ত রাজিব সালিস বৈঠকে অনুপস্থিত থাকায় আয়োজকগণ রাজিবের অভিভাবককে আজ মঙ্গলবার হাজির করার দায়িত্ব দিয়ে মুলতবি রাখেন। স্কুলছাত্রীর পিতার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, নেতৃবৃন্দ সালিস বৈঠকে ছেলে-মেয়ের বিয়ে দেয়ার আশ্বাস দেয়ায় মামলা দায়ের করা হয়নি।