বিশ্ব টুকিটাকি : বাঘ নিজে আসছে না শিকারে, বাবা-মাকে পাঠানো হচ্ছে খাদ্য হিসেবে

বাঘ নিজে আসছে না শিকারে, বাবামাকে পাঠানো হচ্ছে খাদ্য হিসেবে

মাথাভাঙ্গা মনিটর: মোটা অঙ্কের ক্ষতিপূরণের আশায় নিজের বাবা-মাকে বাঘের খাবার হিসেবে পাঠানো হচ্ছে। এই চাঞ্চল্যকর দাবি ভারতের কেন্দ্রীয় সংস্থার। ঘটনার কেন্দ্রস্থল উত্তরপ্রদেশের পিলিভিট ব্যাঘ্র প্রকল্প। গত পাঁচ মাসে এই ব্যাঘ সংরক্ষণ প্রকল্প লাগোয়া গ্রামগুলোয় ব্যাপক হারে বেড়েছে বাঘের হানায় মৃত্যুর ঘটনা। নথিবদ্ধ হয়েছে ৭টি মৃত্যু। প্রতি ক্ষেত্রেই শিকার প্রবীণ গ্রামবাসী। সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে ঘটনাস্থলে যায় Wildlife Crime Control Bureau বা WCCB। এই কেন্দ্রীয় সংস্থার বিশেষজ্ঞদের দাবি‚ বাঘ নিজে আসছে না শিকারে। বরং মানুষ যেচে যাচ্ছে তার খাদক হয়ে। সরকারি তরফে ধারনা, সংলগ্ন গ্রামের বিভিন্ন পরিবার তাদের প্রবীণ সদস্যদের পাঠিয়ে দিচ্ছে বনের গভীরে। তারপর বাঘের হানায় মৃত্যু হচ্ছে। হয়তো বাঘ তাদের খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করছে না। কিন্তু শত্রু ভেবে আক্রমণ করছে। তাতেই কার্যসিদ্ধি। কিছুদিন পরে বনের গভীর থেকে প্রবীণ প্রবীণার দেহ খুঁজে আনছে বাড়ির লোকজন। তারপর মাঠে ফেলে রেখে বলা হচ্ছে বাঘ হানা দিয়েছিল গ্রামে। তাতেই মৃত্যু হয়েছে। এর ফলে পাওয়া যাচ্ছে মোটা ক্ষতিপূরণ। এভাবেই অর্থ লাভের পথ খুঁজে নিয়েছে দরিদ্র গ্রামবাসীরা। এতে একদিকে পরিবারের উপর থেকে বোঝাও কমছে। আবার ঘরে অর্থও আসছে। এমনকী‚ সন্তানদের মুখ চেয়ে‚ ভবিষ্যতে তাদের দারিদ্র্য থেকে দূরে রাখতে স্বেচ্ছায় বাঘের টোপ হচ্ছেন গ্রামের বয়স্ক বাসিন্দারা ! ধারণা প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে।

নিজেকে হিটলার দাবি করলেন ১২৮ বছরের বৃদ্ধ

মাথাভাঙ্গা মনিটর: নিজেকে অ্যাডলফ হিটলার বলে দাবি করেছেন ১২৮ বছরের এক বৃদ্ধ। আর্জেন্টিনার সালতার বাসিন্দা ওই বৃদ্ধের নাম হারমান গুটেনবার্গ। তার দাবির পর এনিয়ে বেশ আলোচনা শুরু হয়েছে দক্ষিণ আমেরিকা জুড়ে। এল প্যাট্রিওটা নামের একটি সংবাদপত্রকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে তিনি এই দাবি করেন। তার দাবি, ১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে হারের পর তিনি জার্মানি ছেড়ে আর্জেন্টিনায় চলে আসেন। শুধু তাই নয়, বদলে ফেলেন নিজের পরিচয়। জার্মান গোয়েন্দারা হারমান গুটেনবার্গের নামে পাসপোর্ট বানিয়ে দেয়। কিন্তু সবাই জানে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে পরাজয়ের পর ১৯৪৫ সালের ৩০ এপ্রিল আত্মহত্যা করেন হিটলার। কিন্তু বৃদ্ধের ওই দাবি নতুন করে ভাবাচ্ছে বিশ্বকে। কারণ তারও দাবির পক্ষে যে কিছু সমর্থন রয়েছে। ২০১৬-র জুলাইয়ে এবেল বাস্তির লেখা ‘হিটলার ইন একজাইল’ (নির্বাসনে হিটলার) নামে একটি বই প্রকাশিত হয়। ওই বইটিতেও দাবি করা হয়, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসি বাহিনীর পরাজয়ের পর, হিটলার আর্জেন্টিনায় চলে আসেন এবং সেখানে দশ বছর আত্মগোপন করে থাকেন। এরপর তিনি প্যারাগুয়ে চলে যান। এফবিআই-এর প্রকাশিত একটি রিপোর্টেও দাবি করা হয় যে, হিটলার মরেননি, তিনি আর্জেন্টিনায় পালিয়ে যান। হিটলার ১৮৮৯ সালে জন্মগ্রহণ করছেন। বেঁচে থাকলে তার বয়সও হতো ১২৮।
বৃদ্ধ তার শেষ ইচ্ছের কথাও জানিয়েছেন। তিনি ‘আত্মজীবনী’ (অ্যাডলফ হিটলারের) লিখবেন। তার বিশ্বাস, এই আত্মজীবনী বিশ্বের মানুষের কাছে হিটলার সম্পর্কে অনেক ধারণা পাল্টে দেবে

চীনে প্রবল বৃষ্টিতে ৫৬ জনের মৃত্যু

মাথাভাঙ্গা মনিটর: চীনের মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলের ১১টি প্রদেশে ২৯ জুন থেকে ভারী বর্ষণ চলছে। এতে ৫৬ জনের মৃত্যু ও আরও ২২ জন নিখোঁজ রয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বেসামরিক মন্ত্রণালয় একথা জানিয়েছে। মন্ত্রণালয় জানায়, বন্যায় মোট ২৭ হাজার বাড়িঘর ধসে পড়েছে এবং ৩৭ হাজার বাড়িঘরের ক্ষতি হয়েছে। জেজিয়াং, আহুই, জিয়ানঝি, হুবেই, হুনান, গুয়াংডং, চোংকিং, সিচুয়ান, গুইঝৌ, ইউনান ও গুয়াংজি ঝুয়াং প্রদেশে প্রবল বর্ষণের সঙ্গে শিলাবৃষ্টি হয়েছে। প্রাকৃতিক এই তাণ্ডবে আনুমানিক ২৫২৭ কোটি ইউয়ান (৩৭২ কোটি মার্কিন ডলার) ক্ষতি হয়েছে। গত সোমবার ২০টি প্রদেশে দুর্গতদের ত্রাণ সহায়তার জন্য কেন্দ্র সরকার ১৮৮ কোটি ইউয়ান বরাদ্দ দিয়েছে।

জার্মানিতে সড়ক দুর্ঘটনায় পুড়ে মৃত ১৮ বাসযাত্রী

মাথাভাঙ্গা মনিটর: জার্মানির বাভারিয়ার উত্তরে স্টামবাখ এলাকায় গতকাল সোমবার সড়ক দুর্ঘটনায় এক বাসের ভেতর পুড়ে ১৮ জন নিহত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পুড়ে যাওয়া ১১টি মরদেহ এরই মধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, যাত্রীবাহী একটি বাসের সঙ্গে একটি লরির সংঘর্ষে এ দুর্ঘটনা ঘটে। বাসের ভেতর ৪৬ যাত্রী ও দুই চালক ছিল। যাত্রীদের বয়স ৪১ থেকে ৮১ বছরের মধ্যে। তারা ইতালির লেক গার্ডায় ছুটি কাটাতে যাচ্ছিল। লরির সঙ্গে সংঘর্ষের পর পুরো বাসে আগুন ধরে যায়। আগুনের ভেতর থেকে ৩০ জন বেরিয়ে আসতে পেরেছে। তবে তাদের মধ্যে দুই নারী গুরুতর আহত হয়েছেন। লরিচালকের কোনো ক্ষতি হয়নি। তবে লরির পেছন দিকটা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

যে সড়কে দুর্ঘটনা ঘটেছে, সেখানে ওই মুহূর্তে ধীরগতিতে যান চলাচল করলেও কী করে বাস-লরি সংঘর্ষ হলো তা এখনো পরিষ্কার নয়। এ ছাড়া পুরো বাসে কী করে এত দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ল, সে ব্যাপারেও তাত্ক্ষণিক কিছু জানাতে পারেননি ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা। তবে জানা গেছে, লরিটি বালিশ ও ম্যাট্রেস বহন করছিল।