বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যে দিয়ে চলছে ঝিনাইদহ শিক্ষা প্রকৌশলী অফিস !

 

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহ শিক্ষা প্রকৌশল অফিসের প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলীসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনিয়ম চরমে উঠেছে। এ যেন মামার বাড়ি যার যেমন ইচ্ছা সে তেমন অফিসে আসে যায়। গতকাল বুধবার সকালে শিক্ষা প্রকৌশল অফিসে গিয়ে দেখা যায় দুজন হিসাব রক্ষক একজন কম্পিউটার অপারেটর একজন এমএলএসকে। প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার রুমে তালা ঝুলানো দেখে পাশের একটি রুম খোলা পাওয়া গেলো। তাকে জিজ্ঞাসা করে জানা গেলো যে তিনি এই অফিসের সহকারী প্রকৌশলী। তিনি এখনেই থাকেন। এই মাত্র প্রস্তুত হচ্ছেন অফিসের জন্য পাশের রুম তার অফিস। অফিস কয়টা থেকে শুরু হয় জিজ্ঞাসা করতে তিনি জানান, ৯টা থেকে? এখন ৯টা ৩০ বাজে আপনি এখন ও অফিসে বসেন নাই বললে তিনি বলেন আমি তো অফিসেই আছি। নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলামের অফিসে না আসার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্যার রাজশাহী থেকে আসবেন ২ দিন সপ্তাহিক ছুটি তাছাড়া আজ যশোর যাবেন। তাকে ২ জেলায় অফিস করতে হয়। সাংবাদিকদের তিনি আরও বলেন, কোন কোন দিন তিনি ঝিনাইদহ অফিস করেন? এ প্রশ্নের উত্তরে বলেন তার ঠিক নেই। তবে তিনি আজ যশোর যেতে পারেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রধান নির্বাহীর নিজের বাড়ি রাজশাহী তাই তিনি দুই যায়গাই অফিস করার অজুহাতে সরকারি গাড়ি ব্যবহার করে প্রায় বাড়িতে আসা যাওয়া করেন।

উনি কোন দিন অফিসে আসবেন অন্য কর্মকর্তারা জানে না। তাই তাদের অফিসে আসা যাওয়ার ইচ্ছা নির্ভর করে সম্পূর্ণ নিজের ওপর। পাশের অফিস শিক্ষা ভবনের নিচ তলায় শিক্ষা প্রকৌশল অফিসের আর এক উপসহকারী প্রকৌশলীকে পাওয়া গেলো। এই মাত্র তিনি আফিসে উপস্থিত হলেন। তার অফিসে দেরির কারণ জিজ্ঞাসা করলে কোনো উত্তর না দিয়ে বলেন আমি হরিণাকুণ্ডুর দায়িত্বে আছি। এভাবেই বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যে দিয়ে চলছে ঝিনাইদহ শিক্ষা প্রকৌশলী অফিস।

নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলামের সাথে ফোনে কথা বললে তিনি জানান, আজ যশোর অফিস করে দুপুর ১২টায় ঝিনাইদহ অফিসে এসেছেন। তার শিডিউল অনুযায়ী বুধবার-বৃহস্পতিবারে যশোর ও বাকি ৩ দিন ঝিনাইদহে অফিস করেন। জরুরি প্রয়োজনে এর ব্যাত্রিক্রম ঘটে। গাড়িতে বাড়ি যাওয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন আমি যখন বাড়ি যায় গাড়ি তখন গ্যারেজে থাকে। তিনি বাড়ি যান বাসে অথবা ট্রেনে।